ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার নালিশ: নিন্দার ঝড় খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য
পরিষদের নেত্রী প্রিয়া সাহার নালিশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ট্রাম্পকে করা তার
নালিশের ভিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সবাই এক
বাক্যে বলছেন, এই বক্তব্য মিথ্যা। তারা এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রিয়া সাহার বক্তব্যের
নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে।
গত ১৮ই জুলাই বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার এমন ২৭ ব্যক্তির বক্তব্য শোনেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে প্রিয়া সাহাও কথা বলেন।
এ সময় প্রিয়া সাহা বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানকে বিলিন করা হয়েছে। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। তিনি বলেন, এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি। একপর্যায়ে ট্রাম্প ওই নারীকে সান্ত্বনা দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানতে চান, কারা এসব করছে। প্রিয়া সাহা বলেন, দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রায় সবাই প্রিয়া সাহার এ বক্তব্যের নিন্দা জানান। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে রয়েছেন। একজনও পাওয়া যায়নি যিনি প্রিয়া সাহার বক্তব্য সমর্থন করেন। এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি লিখেছেন, আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোনো অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। তার অভিযোগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখি। প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সমপ্রদায়ের সমালোচনা করছেন। এটাও ঠিক নয়। যেমনটি নয় প্রিয়া সাহার করা অভিযোগ। সমাজের সকল স্তরে যার বিচরণ এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যার যোগাযোগ, তার এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মীয় সমপ্রতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে এটার ক্ষতি করে ফেলেন। সবার উচিত এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত মানবজমিনকে বলেন, প্রিয়া সাহা ঐক্য পরিষদের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক। কিন্তু তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একান্তই তার নিজের। এ বক্তব্য হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নয়। তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা সংগঠনের পক্ষ থেকেও আমেরিকায় যাননি। এ ব্যাপারে সংগঠন কিছুই জানে না।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের সরকারী প্রতিনিধি দলে ছিলেন না। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা বেসরকারী প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াশিংটন সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে দেশের প্রধান ৪ ধর্মের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের সরকারী প্রতিনিধি দল ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। ওই দলে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসাবে আছেন অ্যাডভোকেট নির্মল চ্যাটার্জি। তিনি হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা। খৃষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে রয়েছেন খৃষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সচিব নির্মল রোজারিও। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিনিধি হিসাবে গেছেন হিন্দু বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অশোক বড়ুয়া এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদ-জামাত শোলাকিয়ার খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ তনয় মাওলানা জুনুদ উদ্দিন মাকতুম। তিনি জমিয়তুল উলামা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। বাংলাদেশ সরকারের ওই প্রতিনিধি দলে তরিকত ফেডারেশনের নেতা তৈয়বুল বশর মাইজভন্ডারিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির ছেলে।
গত ১৮ই জুলাই বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার এমন ২৭ ব্যক্তির বক্তব্য শোনেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে প্রিয়া সাহাও কথা বলেন।
এ সময় প্রিয়া সাহা বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানকে বিলিন করা হয়েছে। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। তিনি বলেন, এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি। একপর্যায়ে ট্রাম্প ওই নারীকে সান্ত্বনা দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানতে চান, কারা এসব করছে। প্রিয়া সাহা বলেন, দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রায় সবাই প্রিয়া সাহার এ বক্তব্যের নিন্দা জানান। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে রয়েছেন। একজনও পাওয়া যায়নি যিনি প্রিয়া সাহার বক্তব্য সমর্থন করেন। এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি লিখেছেন, আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোনো অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। তার অভিযোগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখি। প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সমপ্রদায়ের সমালোচনা করছেন। এটাও ঠিক নয়। যেমনটি নয় প্রিয়া সাহার করা অভিযোগ। সমাজের সকল স্তরে যার বিচরণ এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যার যোগাযোগ, তার এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মীয় সমপ্রতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে এটার ক্ষতি করে ফেলেন। সবার উচিত এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত মানবজমিনকে বলেন, প্রিয়া সাহা ঐক্য পরিষদের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক। কিন্তু তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একান্তই তার নিজের। এ বক্তব্য হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নয়। তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা সংগঠনের পক্ষ থেকেও আমেরিকায় যাননি। এ ব্যাপারে সংগঠন কিছুই জানে না।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের সরকারী প্রতিনিধি দলে ছিলেন না। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা বেসরকারী প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াশিংটন সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে দেশের প্রধান ৪ ধর্মের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের সরকারী প্রতিনিধি দল ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। ওই দলে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসাবে আছেন অ্যাডভোকেট নির্মল চ্যাটার্জি। তিনি হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা। খৃষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে রয়েছেন খৃষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সচিব নির্মল রোজারিও। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিনিধি হিসাবে গেছেন হিন্দু বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অশোক বড়ুয়া এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদ-জামাত শোলাকিয়ার খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ তনয় মাওলানা জুনুদ উদ্দিন মাকতুম। তিনি জমিয়তুল উলামা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। বাংলাদেশ সরকারের ওই প্রতিনিধি দলে তরিকত ফেডারেশনের নেতা তৈয়বুল বশর মাইজভন্ডারিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির ছেলে।
No comments