ওয়াশিংটন যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে
নিজের প্রথম সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিথি হওয়ার জন্য
পুরোপুরি প্রস্তুত ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খান। সেখানে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকার বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে
বিচ্ছিন্ন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। খান গত বছরের
আগস্টে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এমন এক সময়ে তিনি দায়িত্ব নেন যখন
অর্থনীতির দ্রুত পতন হচ্ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ব্যাপক
অবনতি হয়েছিল।
খানের সঙ্গে থাকবেন পাকিস্তানের শক্তিধর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। দুই দেশের সম্পর্ক যখন প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, সেই অবস্থায় সম্পর্কটাকে মেরামতের চেষ্টা করবেন এই দুইজন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করে, যেখানে পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের জন্য ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ শক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে”। তাছাড়া পাকিস্তানের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বহুজাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা জারি রাখেন ট্রাম্প। খান যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তখন পাকিস্তান শুধু আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েনি, বরং বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও পড়েছে তখন তারা। খান যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন, এটাকেই অনেক বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিচ্ছিন্নতার অবসান
রাষ্ট্রদূত অরুন সিং এশিয়া টাইমসকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই স্বীকৃতি দিয়েছে যে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা পাকিস্তানের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তালেবানদের উপর চাপ দেয়া অব্যাহত রাখতে চায়, যাতে তারা আলোচনা অব্যাহত রাখে এবং শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো যায়”। সিং একজন সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক, যিনি পাকিস্তান ডেস্কে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ইসলাইল, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সিং মনে করেন যে, পাকিস্তান বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, সেটার অবসানের চেষ্টা করবেন খান। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের এই অবস্থা থেকে বের করে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে পাকিস্তানকে চাপের মধ্যে রেখেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এবং তাদেরকে ‘গ্রে’ তালিকাভুক্ত করেছে। যদি পাকিস্তান এ ব্যাপারে অগ্রগতি দেখাতে না পারে তাহলে অক্টোবরে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।
বালাকোট হামলা পরবর্তী সময়ে শান্তি স্থাপন
রাষ্ট্রদূত সিং বলেন, চলমান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা কতখানি, তার উপর নির্ভর করছে ওয়াশিংটনে খান সেটাকে কতটা ব্যবহার করতে পারবেন। “শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে আফগান-অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে চালিত রাখা”। তার মতে, একমাত্র পাকিস্তানীরাই এটা করতে পারবে, কারণ মুজাহিদিন গ্রুপগুলোর মধ্যে যাদের প্রভাব রয়েছে।
খান আরও চান যুক্তরাষ্ট্র যাতে পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসার জন্য ভারতকে চাপ দেয়, যেটা বেশ কয়েক বছর ধরে অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে আছে। ভারতের সামরিক স্থাপনাতে একাধিকবার পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী হামলার কারণে এই অঞ্চলে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, সেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল বলে মনে করা হয়। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন যে, হোয়াইট হাউজ ভারতের জবাব দেয়ার অধিকারকে সমর্থন করে।
খানের সঙ্গে থাকবেন পাকিস্তানের শক্তিধর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। দুই দেশের সম্পর্ক যখন প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, সেই অবস্থায় সম্পর্কটাকে মেরামতের চেষ্টা করবেন এই দুইজন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করে, যেখানে পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের জন্য ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ শক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে”। তাছাড়া পাকিস্তানের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বহুজাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা জারি রাখেন ট্রাম্প। খান যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তখন পাকিস্তান শুধু আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েনি, বরং বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও পড়েছে তখন তারা। খান যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন, এটাকেই অনেক বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিচ্ছিন্নতার অবসান
রাষ্ট্রদূত অরুন সিং এশিয়া টাইমসকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই স্বীকৃতি দিয়েছে যে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা পাকিস্তানের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তালেবানদের উপর চাপ দেয়া অব্যাহত রাখতে চায়, যাতে তারা আলোচনা অব্যাহত রাখে এবং শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো যায়”। সিং একজন সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক, যিনি পাকিস্তান ডেস্কে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ইসলাইল, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সিং মনে করেন যে, পাকিস্তান বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, সেটার অবসানের চেষ্টা করবেন খান। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের এই অবস্থা থেকে বের করে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে পাকিস্তানকে চাপের মধ্যে রেখেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এবং তাদেরকে ‘গ্রে’ তালিকাভুক্ত করেছে। যদি পাকিস্তান এ ব্যাপারে অগ্রগতি দেখাতে না পারে তাহলে অক্টোবরে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।
বালাকোট হামলা পরবর্তী সময়ে শান্তি স্থাপন
রাষ্ট্রদূত সিং বলেন, চলমান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা কতখানি, তার উপর নির্ভর করছে ওয়াশিংটনে খান সেটাকে কতটা ব্যবহার করতে পারবেন। “শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে আফগান-অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে চালিত রাখা”। তার মতে, একমাত্র পাকিস্তানীরাই এটা করতে পারবে, কারণ মুজাহিদিন গ্রুপগুলোর মধ্যে যাদের প্রভাব রয়েছে।
খান আরও চান যুক্তরাষ্ট্র যাতে পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসার জন্য ভারতকে চাপ দেয়, যেটা বেশ কয়েক বছর ধরে অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে আছে। ভারতের সামরিক স্থাপনাতে একাধিকবার পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী হামলার কারণে এই অঞ্চলে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, সেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল বলে মনে করা হয়। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন যে, হোয়াইট হাউজ ভারতের জবাব দেয়ার অধিকারকে সমর্থন করে।
No comments