ক্যাম্পাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ডাকা হয় কলগার্লদেরও by ইভান চৌধুরী
বেগম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে বেড়েই চলেছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। বোটানিক্যাল
গার্ডেন, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের দক্ষিণ পাশে, বকুলতলা রোড,
ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, ভিসি রোড, পাওয়ার হাউজের পিছনে এবং আবাসিক হলগুলোর
আশপাশসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন নির্জন এলাকাকে বেছে নিয়েছে সুযোগ সন্ধানিরা।
কখনো সেচ্ছায় আবার কখনো জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে জড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে
মেয়েদের। এমনকি ডাকা হয় কলগার্লদেরও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে এলাকার স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে। তাদেরকে জনশূন্য এলাকায় প্রায়ই অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী এবং দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের চোখে প্রায়ই দিনই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দেখা মেলে। পরে থাকতে দেখা যায়, অসামাজিক কাজের ব্যবহৃত উপাদান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, আমরা যখন দায়িত্ব পালন করি তখন প্রায়ই আমরা অশ্লীল কর্মকাণ্ড দেখতে পাই। বিশেষ করে দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টার দিকে এসব কাজ বেশি দেখা যায়।
কারণ তখন ক্যাম্পাস অনেক জনশূন্য বলা চলে। বেশির ভাগই বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসব হয়ে থাকে। অনেক সময় নিজেরই লজ্জা লাগে।
আবার অন্য দিকে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে জমে উঠে মাদকের আড্ডা। আবার কখনো কখনো ডাকা হয় কলগার্লদের। রাতে মাদক সেবিরা নিরাপদে মাদক সেবন এবং নিজেদের কর্মকাণ্ড অনায়াসেই করতে ক্যাম্পাসকেই বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোর ছাদ, স্বাধীনতা স্মারকের পিছনে, লাইব্রেরির দক্ষিণ পাশ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, হলের আশে পাশেসহ নির্জন জায়গাগুলোতে বসে মাদকের আসর। জড়িয়ে পড়ছে কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরাও।
বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মূলত ক্যাম্পাসকে তাদের মাদক গ্রহণের নিরাপদ স্পট হিসেবে ব্যবহার করলেও তাতে মাথা ব্যাথা নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলেও এড়িয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
ক্যাম্পাসে বহিরাহতদের আনাগোনাও চোখে পড়ার মত। বহিরাগত সন্ত্রাসী আর অপরাধীচক্রের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস। ৭৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রাচীর রয়েছে। তারপরও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অনায়াসেই ঘুরাফেরা করে ক্যাম্পাসে। সরেজমিন দেখা যায়, ক্যাম্পাসে প্রবেশের চারটি ফটকের একটিতেও কোন নিরাপত্তা প্রহরী নেই।
গত চার বছরে অন্তত শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে গোটা ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটলেও চুরির প্রকোপ বেড়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু হল থেকে এক শিক্ষার্থীর মটরসাইকেল চুরি হয়। চুরির দীর্ঘদিনেও মটর সাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন। এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমেটরি থেকে প্রায়ই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। তারপরও কর্তৃপক্ষ নীরবই রয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে প্রক্টর ও পুলিশের টহল দেয়ার কথা থাকলেও তা হয় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
রাতে দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, বিভিন্ন ভবনের পেছনে ও মাঠের মাঝে বসে নিয়মিতভাবেই নেশা গ্রহণ করে। মাঝে মধ্যে মেয়ে (কলগার্ল) নিয়ে আসে ফুর্তি করে বহিরাগতরা। আমরা কিছুই বলতে পারিনা। যাবার সময় আমাদেরকে শাসিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদক ও সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে যেন এমন অসামাজিক কাজে কেউ লিপ্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করবে। একটু ব্যস্ততার কারণে আমরা নিয়মিত টহল দিতে পারছিনা। তবে শীঘ্রই সেটাও আমরা করব। বর্তমান প্রশাসন ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বাস্তবায়নে সর্বদা সচেতন অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে এলাকার স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে। তাদেরকে জনশূন্য এলাকায় প্রায়ই অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী এবং দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের চোখে প্রায়ই দিনই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দেখা মেলে। পরে থাকতে দেখা যায়, অসামাজিক কাজের ব্যবহৃত উপাদান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, আমরা যখন দায়িত্ব পালন করি তখন প্রায়ই আমরা অশ্লীল কর্মকাণ্ড দেখতে পাই। বিশেষ করে দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টার দিকে এসব কাজ বেশি দেখা যায়।
কারণ তখন ক্যাম্পাস অনেক জনশূন্য বলা চলে। বেশির ভাগই বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসব হয়ে থাকে। অনেক সময় নিজেরই লজ্জা লাগে।
আবার অন্য দিকে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে জমে উঠে মাদকের আড্ডা। আবার কখনো কখনো ডাকা হয় কলগার্লদের। রাতে মাদক সেবিরা নিরাপদে মাদক সেবন এবং নিজেদের কর্মকাণ্ড অনায়াসেই করতে ক্যাম্পাসকেই বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোর ছাদ, স্বাধীনতা স্মারকের পিছনে, লাইব্রেরির দক্ষিণ পাশ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, হলের আশে পাশেসহ নির্জন জায়গাগুলোতে বসে মাদকের আসর। জড়িয়ে পড়ছে কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরাও।
বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মূলত ক্যাম্পাসকে তাদের মাদক গ্রহণের নিরাপদ স্পট হিসেবে ব্যবহার করলেও তাতে মাথা ব্যাথা নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলেও এড়িয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
ক্যাম্পাসে বহিরাহতদের আনাগোনাও চোখে পড়ার মত। বহিরাগত সন্ত্রাসী আর অপরাধীচক্রের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস। ৭৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রাচীর রয়েছে। তারপরও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অনায়াসেই ঘুরাফেরা করে ক্যাম্পাসে। সরেজমিন দেখা যায়, ক্যাম্পাসে প্রবেশের চারটি ফটকের একটিতেও কোন নিরাপত্তা প্রহরী নেই।
গত চার বছরে অন্তত শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে গোটা ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটলেও চুরির প্রকোপ বেড়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু হল থেকে এক শিক্ষার্থীর মটরসাইকেল চুরি হয়। চুরির দীর্ঘদিনেও মটর সাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন। এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমেটরি থেকে প্রায়ই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। তারপরও কর্তৃপক্ষ নীরবই রয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে প্রক্টর ও পুলিশের টহল দেয়ার কথা থাকলেও তা হয় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
রাতে দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, বিভিন্ন ভবনের পেছনে ও মাঠের মাঝে বসে নিয়মিতভাবেই নেশা গ্রহণ করে। মাঝে মধ্যে মেয়ে (কলগার্ল) নিয়ে আসে ফুর্তি করে বহিরাগতরা। আমরা কিছুই বলতে পারিনা। যাবার সময় আমাদেরকে শাসিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদক ও সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে যেন এমন অসামাজিক কাজে কেউ লিপ্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করবে। একটু ব্যস্ততার কারণে আমরা নিয়মিত টহল দিতে পারছিনা। তবে শীঘ্রই সেটাও আমরা করব। বর্তমান প্রশাসন ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বাস্তবায়নে সর্বদা সচেতন অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
No comments