কার্তারপুর কি খুব দূরের মন্দির? ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির পথ by সানা জামাল
পাকিস্তান গত
রোববার ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ভিসা ছাড়াই সার বছর সফরের অনুমতি দিয়েছে।
দীর্ঘ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর শিখদের তীর্থ কার্তারপুর সাহিব মন্দিরে সফরের
জন্য ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের এ অনুমতি দেয়া হলো। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার
এটি একটি দুর্লভ দৃষ্টান্ত যেখানে দুই দেশের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে
তিনটি যুদ্ধ হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ ফয়সাল বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠক ছিল খুবই ইতিবাচক এবং প্রস্তাবিত চুক্তির ৮০ শতাংশের ব্যাপারেই দুই দেশ সম্মত হয়েছে”। তিনি জানান, যে বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি, পরবর্তী সম্মেলনে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
পুরো বছর জুড়ে প্রতি দিন ৫০০০ শিখ তীর্থযাত্রীকে কার্তারপুর সাহিব গুরুদুয়ারা সফরের অনুমতি দেয়া হবে। তীর্থযাত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে বা গ্রুপ করে আসতে পারবেন বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসসিএল দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্রস-বর্ডার এই করিডোরের বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য পাকিস্তান একটি যোগাযোগ চ্যানেল বজায় রাখার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।
শিখ ধর্মের মানুষের কাছে গুরুদুয়ারা সাহিব কার্তারপুর পবিত্র জায়গাগুলোর একটি। এটা মনে করা হয় যে, এই মন্দিরটি পাকিস্তানের নরোয়ার জেলায় নির্মাণ করা হয়েছিল, যেখান শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের জন্ম, যিনি ১৬ শতাব্দীতে মারা যান। মন্দিরটি ভারত সীমান্ত থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সেখানে যাওয়া শিখদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিলো এবং অনেক সময় কয়েকশ কিলোমিটার ঘুরে সেখানে যেতে হয় তাদের। অনেককে ভারত থেকে দূরবিন দিয়ে মন্দির দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কার্তারপুর করিডোরের মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে এখন সরাসরি গুরুদুয়ারাতে যেতে পারবেন।
ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের ভিসামুক্ত সফরের চুক্তি ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক আলোচনায় ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া (ওসিআই) কার্ডধারীদেরকেও এ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল সাংবাদিকদের বৈঠকের পরে বলেছেন যে, “চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে একটা চুক্তি হয়েছে। আরেকটি বৈঠক এ ব্যাপারে হতে পারে”।
১৪ মার্চের পর কার্তারপুর করিডোর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠক এটা। এমন সময় এই বৈঠক হলো যখন ইসলামাবাদে মাত্র ট্র্যাক টু কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই জোর দিয়ে বলেছে যে, দুই দেশের মধ্যে এমনকি সঙ্কটের সময়টাতেও যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির এটা কূটনৈতিক পরোক্ষ চ্যানেলের এ ধরনের প্রথম বৈঠক।
৩১ অক্টোবরের মধ্যে করিডোরের কাজ শেষ করার কথা। এর এক সপ্তাহ পরেই গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই শান্তির এই পথ খুলে দেয়ার জন্য এই সময়টাকে বেছে নিয়েছে।
ফয়সালের মতে, ইমরান খানের নির্দেশনায় কার্তারপুর করিডোর বাস্তবায়নের ব্যাপারে পাকিস্তান পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শিখ সম্প্রদায় এই প্রকল্পকে স্বতস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই করিডোর নির্মাণকে বার্লিন দেয়ালের পতনের সাথে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এই প্রকল্প দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখবে। রোববারের বৈঠকের পর, পাকিস্তানী প্রতিনিধি দল ওয়াগাহ সীমান্তে একটি ‘শান্তির চারাগাছ’ রোপন করেন এবং এই পদক্ষেপকে ‘শান্তির করিডোর’ আখ্যা দেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ ফয়সাল বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠক ছিল খুবই ইতিবাচক এবং প্রস্তাবিত চুক্তির ৮০ শতাংশের ব্যাপারেই দুই দেশ সম্মত হয়েছে”। তিনি জানান, যে বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি, পরবর্তী সম্মেলনে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
পুরো বছর জুড়ে প্রতি দিন ৫০০০ শিখ তীর্থযাত্রীকে কার্তারপুর সাহিব গুরুদুয়ারা সফরের অনুমতি দেয়া হবে। তীর্থযাত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে বা গ্রুপ করে আসতে পারবেন বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসসিএল দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্রস-বর্ডার এই করিডোরের বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য পাকিস্তান একটি যোগাযোগ চ্যানেল বজায় রাখার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।
শিখ ধর্মের মানুষের কাছে গুরুদুয়ারা সাহিব কার্তারপুর পবিত্র জায়গাগুলোর একটি। এটা মনে করা হয় যে, এই মন্দিরটি পাকিস্তানের নরোয়ার জেলায় নির্মাণ করা হয়েছিল, যেখান শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের জন্ম, যিনি ১৬ শতাব্দীতে মারা যান। মন্দিরটি ভারত সীমান্ত থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সেখানে যাওয়া শিখদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিলো এবং অনেক সময় কয়েকশ কিলোমিটার ঘুরে সেখানে যেতে হয় তাদের। অনেককে ভারত থেকে দূরবিন দিয়ে মন্দির দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কার্তারপুর করিডোরের মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে এখন সরাসরি গুরুদুয়ারাতে যেতে পারবেন।
ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের ভিসামুক্ত সফরের চুক্তি ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক আলোচনায় ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া (ওসিআই) কার্ডধারীদেরকেও এ সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল সাংবাদিকদের বৈঠকের পরে বলেছেন যে, “চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে একটা চুক্তি হয়েছে। আরেকটি বৈঠক এ ব্যাপারে হতে পারে”।
১৪ মার্চের পর কার্তারপুর করিডোর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠক এটা। এমন সময় এই বৈঠক হলো যখন ইসলামাবাদে মাত্র ট্র্যাক টু কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই জোর দিয়ে বলেছে যে, দুই দেশের মধ্যে এমনকি সঙ্কটের সময়টাতেও যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির এটা কূটনৈতিক পরোক্ষ চ্যানেলের এ ধরনের প্রথম বৈঠক।
৩১ অক্টোবরের মধ্যে করিডোরের কাজ শেষ করার কথা। এর এক সপ্তাহ পরেই গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই শান্তির এই পথ খুলে দেয়ার জন্য এই সময়টাকে বেছে নিয়েছে।
ফয়সালের মতে, ইমরান খানের নির্দেশনায় কার্তারপুর করিডোর বাস্তবায়নের ব্যাপারে পাকিস্তান পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শিখ সম্প্রদায় এই প্রকল্পকে স্বতস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই করিডোর নির্মাণকে বার্লিন দেয়ালের পতনের সাথে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এই প্রকল্প দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখবে। রোববারের বৈঠকের পর, পাকিস্তানী প্রতিনিধি দল ওয়াগাহ সীমান্তে একটি ‘শান্তির চারাগাছ’ রোপন করেন এবং এই পদক্ষেপকে ‘শান্তির করিডোর’ আখ্যা দেন।
পাকিস্তানের কার্তারপুরে গুরু নানকের সমাধির একটি দৃশ্য |
No comments