বিভ্রান্তিকর ইংগিত দিচ্ছেন লংকার খামখেয়ালী প্রেসিডেন্ট
শ্রীলংকার
প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা বলেছেন যে তার দেশের জনগণ আগামী পাঁচ
মাসের মধ্যে একটি নতুন সরকার পেতে যাচ্ছে। গত সোমবার নুয়ারা ইলিয়া জেলায় এক
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সৎ রাজনীতিকদের’ নিয়ে একটি ‘দেশপ্রেমিক’ সরকার গঠনের
বিষয়টি জনগণকে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্ঘের ইউএনপি সরকার যদি মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করে তাহলে ওই দিনটিকে ‘শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করবেন বলে জানানোর পর সিরিসেনা ওই ঘোষণা দেন।
মাদক মাফিয়াদের নির্মূল করতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ফিরিয়ে আনতে সিরিসেনার প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহল ও স্থানীয় অধিকার কর্মীদের তোপের মুখে রয়েছে। সমালোচকরা মনে করছেন যে নির্বাচনী ফায়দা হাসিলের জন্য তিনি ইস্যুটি নিয়ে রাজনীতি করছেন।
প্রাদেশিক নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ও সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে শ্রীলংকা। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার নতুন দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি)’র কাছে হেরে যাওয়ার আশংকায় ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টি (ইউএনপি)’র সরকার অনেক দিন ধরে প্রাদেশিক নির্বাচন ঝুলিয়ে রেখেছে বলে মনে করা হয়। গত বছর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক জয় পায় এসএলপিপি। তারা প্রাদেশিক নির্বাচনেও একই ধরনের রেকর্ড জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে জনগণ ও রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে। এই নির্বাচন চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর হবে বলে সিরিসেনা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে অনড় শ্রীলংকা প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন হলে তা বিজয়ীর শক্তি বাড়াবে এবং তাকে প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করবে। বর্তমান ইউএনপি সরকারের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিরিসেনা এককভাবে লড়বেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তার দল শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টিও (এসএলএফপি) এখন বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই দলের অনেকে কৌশলে এসএলপিপি’কে সমর্থ দিচ্ছেন।
পাঁচ মাসের মধ্যে দেশ নতুন সরকার দেখবে বলে ঘোষণা দিয়ে সিরিসেনা বলতে চাচ্ছেন যে দেশ যদি একটি দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠন করে তাহলেই অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
সিরিসেনা বলেন, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে এবং এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সৎ রাজনীতিকদের সরকার গঠন। পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মাহিন্দার নেতৃত্বাধিন এসএলএফপি থেকে আলাদা হয়ে তিনি যখন রানিল বিক্রমাসিঙ্গের নেতৃত্বাধিন ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের (ইউএনএফ) প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন।
নির্বাচনে হেরে গিয়ে মাহিন্দা এসএলএফপি’র নেতৃত্ব সিরিসেনার হাতে তুলে দেন এবং নিজের দল এসএলপিপি গঠন করেন।
তবে সিরিসেনা ও মাহিন্দা আবারো ঘনিষ্ঠ হন। গত বছর অক্টোবরে বিক্রমাসিঙ্ঘেকে বরখাস্ত করে মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন সিরিসেনা। তবে সুপ্রিম কোর্টে সিরিসেনার উদ্যোগটি টেকেনি।
সিরিসেনার সময় এখন ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর দেশবাসী হারাচ্ছে ধৈর্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি যাই করুন না কেন তাতে এসএলপিপি শক্তিশালী হবে, যার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব ও মাহিন্দা রাজাপাকসার ভাই গোতাভায়া রাজাপাকসা।
এদিকে রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে যে সিরিসেনার এসএলএফপি ১১ আগস্টের আগেই মাহিন্দার এসএলপিপি’র সঙ্গে একটি জোট গঠনের বিষয় চূড়ান্ত করে ফেলবে। ওই দিন এসএলপিপি তার প্রথম বার্ষিক কনভেনশনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
তবে মনে হচ্ছে কোন রাজনৈতিক জোট গঠিত হলেও সিরিসেনাকে ছাড় দিতে রাজি নয় এসএলপিপি। কনভেনশনে এসএলপিপি’র প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন মাহিন্দা রাজাপাকসা।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্ঘের ইউএনপি সরকার যদি মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করে তাহলে ওই দিনটিকে ‘শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করবেন বলে জানানোর পর সিরিসেনা ওই ঘোষণা দেন।
মাদক মাফিয়াদের নির্মূল করতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ফিরিয়ে আনতে সিরিসেনার প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহল ও স্থানীয় অধিকার কর্মীদের তোপের মুখে রয়েছে। সমালোচকরা মনে করছেন যে নির্বাচনী ফায়দা হাসিলের জন্য তিনি ইস্যুটি নিয়ে রাজনীতি করছেন।
প্রাদেশিক নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ও সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে শ্রীলংকা। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার নতুন দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি)’র কাছে হেরে যাওয়ার আশংকায় ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টি (ইউএনপি)’র সরকার অনেক দিন ধরে প্রাদেশিক নির্বাচন ঝুলিয়ে রেখেছে বলে মনে করা হয়। গত বছর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক জয় পায় এসএলপিপি। তারা প্রাদেশিক নির্বাচনেও একই ধরনের রেকর্ড জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে জনগণ ও রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে। এই নির্বাচন চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর হবে বলে সিরিসেনা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে অনড় শ্রীলংকা প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন হলে তা বিজয়ীর শক্তি বাড়াবে এবং তাকে প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনে জয়ী হতে সাহায্য করবে। বর্তমান ইউএনপি সরকারের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিরিসেনা এককভাবে লড়বেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তার দল শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টিও (এসএলএফপি) এখন বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই দলের অনেকে কৌশলে এসএলপিপি’কে সমর্থ দিচ্ছেন।
পাঁচ মাসের মধ্যে দেশ নতুন সরকার দেখবে বলে ঘোষণা দিয়ে সিরিসেনা বলতে চাচ্ছেন যে দেশ যদি একটি দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠন করে তাহলেই অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
সিরিসেনা বলেন, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে এবং এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সৎ রাজনীতিকদের সরকার গঠন। পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মাহিন্দার নেতৃত্বাধিন এসএলএফপি থেকে আলাদা হয়ে তিনি যখন রানিল বিক্রমাসিঙ্গের নেতৃত্বাধিন ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের (ইউএনএফ) প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন।
নির্বাচনে হেরে গিয়ে মাহিন্দা এসএলএফপি’র নেতৃত্ব সিরিসেনার হাতে তুলে দেন এবং নিজের দল এসএলপিপি গঠন করেন।
তবে সিরিসেনা ও মাহিন্দা আবারো ঘনিষ্ঠ হন। গত বছর অক্টোবরে বিক্রমাসিঙ্ঘেকে বরখাস্ত করে মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন সিরিসেনা। তবে সুপ্রিম কোর্টে সিরিসেনার উদ্যোগটি টেকেনি।
সিরিসেনার সময় এখন ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর দেশবাসী হারাচ্ছে ধৈর্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি যাই করুন না কেন তাতে এসএলপিপি শক্তিশালী হবে, যার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব ও মাহিন্দা রাজাপাকসার ভাই গোতাভায়া রাজাপাকসা।
এদিকে রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে যে সিরিসেনার এসএলএফপি ১১ আগস্টের আগেই মাহিন্দার এসএলপিপি’র সঙ্গে একটি জোট গঠনের বিষয় চূড়ান্ত করে ফেলবে। ওই দিন এসএলপিপি তার প্রথম বার্ষিক কনভেনশনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
তবে মনে হচ্ছে কোন রাজনৈতিক জোট গঠিত হলেও সিরিসেনাকে ছাড় দিতে রাজি নয় এসএলপিপি। কনভেনশনে এসএলপিপি’র প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন মাহিন্দা রাজাপাকসা।
No comments