জাবিতে ছাত্রলীগের আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া, সামলাতে ‘ব্যর্থ’ কী প্রশাসন? by শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন
জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের পদধারী নেতাকর্মীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরে বিভিন্ন সংঘর্ষে প্রত্যক্ষভাবে আগ্নেয়াস্ত্র
ব্যবহার করে আসছে। আধিপত্য বিস্তার ও নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে
হল ইউনিটের মধ্যে বার বার সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে
আসছে নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বরাবরই ‘ব্যর্থ’ বিশ^বিদ্যালয়
প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
গত বুধবার তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে লাঠিসোটা, রামদা, চাপাতিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয় উভয় পক্ষ। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। তারা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শাওন, সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ ঘটনায় বিশ^বিদ্যালয়েল শিক্ষক পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৬৫ জন আহত হন।
অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে আফফান হোসেন বলেন, জুনিয়রদের হাতে অস্ত্র ছিলো। তারা বার বার ফায়ার করতেছিলো।
আমি তাদের হাত থেকে মেশিন কাইড়া নিছিলাম। তখনই মনে হয় আমার হাতে দেখা গেছে।
রাকিবুল হাসান শাওন বলেন, আমি গুলি ছুড়ি নাই। তবে আপন ভাইকে গুলি ছুড়তে দেখছি। আমি জুনিয়রদের ফেরানোর চেষ্টা করেছি। হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা সত্য। তবে আমরা সামনে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। গুলি জুনিয়ররা করে থাকতে পারে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন।
এছাড়া চলতি বছরের ১৩ই ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ সালাম বরকত হলে আক্রমন করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি ও এক সম্পাদক পদধারীকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এর আগে গত বছরের ২রা অক্টোবর ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মীর মশাররফ হোসেন হল ও আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায়ও মীর মশাররফ হোসেন হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এদিকে শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ত্বের অভিযোগ আনে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। প্রক্টরিয়াল টিম এসে পরিস্থিতি সামাল না দিয়ে ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলো। যারা আমাদের অভিভাবক তারা যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না করে ভিডিও করায় ব্যস্ত থাকে তারা কিভাবে প্রক্টরিয়াল টিমে থাকে তা আমাদের প্রশ্ন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হল আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু প্রক্টরের নির্দেশে পুলিশ আমাদের দিকেই টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রশাসনের এরকম পক্ষপাতমূলক আচরনে আমরা ক্ষুব্ধ।
শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হাসান বলেন, প্রশাসন এক পাক্ষিক আচরণ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা না করে উষ্কানি দিয়েছে। তিনি সংঘর্ষকে বড় আকার ধারনের চেষ্টা চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছেন। তার আচার ব্যবহার কর্মকান্ড ন্যাক্কারজনক। সে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অনিয়মিত। আর তিনি কয়টি প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন তার চেয়ে আমরা বেশি প্রোগ্রাম করেছি।
উষ্কানির বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, উষ্কানি দিলেতো ওখানে যাওয়ার দরকার নাই। পোলাপান কথা না শুনলে কি করতে পারি! বিশ^বিদ্যালয়ে গ্যাঞ্জাম করাতো ভাল না। আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। এখন যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, গতকালের (বুধবার) ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এ ধরণের ঘটনায় অভিযোগ উঠতেই পারে। আমি ঘটনাস্থলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে উপস্থিত হই। আমাদের কাজের কোনো গাফিলতি ছিলনা। পাঁচ-পাঁচবার ঘটনা থামানোর চেষ্টা করার পরও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রহস্যজনক! আমি কোন ব্যক্তি বা গ্রুপকে প্রমোট করিনা ও করবোও না। কেউ আমার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা চাইবেনা এটাই আমার প্রত্যাশা।
ভিডিও ধারণের ব্যাপারে তিনি বলেন, একজন সহকারী প্রক্টর মোবাইলে ভিডিও ধারণের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামলানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
গত বুধবার তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে লাঠিসোটা, রামদা, চাপাতিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয় উভয় পক্ষ। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। তারা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শাওন, সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ ঘটনায় বিশ^বিদ্যালয়েল শিক্ষক পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৬৫ জন আহত হন।
অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে আফফান হোসেন বলেন, জুনিয়রদের হাতে অস্ত্র ছিলো। তারা বার বার ফায়ার করতেছিলো।
আমি তাদের হাত থেকে মেশিন কাইড়া নিছিলাম। তখনই মনে হয় আমার হাতে দেখা গেছে।
রাকিবুল হাসান শাওন বলেন, আমি গুলি ছুড়ি নাই। তবে আপন ভাইকে গুলি ছুড়তে দেখছি। আমি জুনিয়রদের ফেরানোর চেষ্টা করেছি। হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা সত্য। তবে আমরা সামনে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। গুলি জুনিয়ররা করে থাকতে পারে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন।
এছাড়া চলতি বছরের ১৩ই ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ সালাম বরকত হলে আক্রমন করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি ও এক সম্পাদক পদধারীকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এর আগে গত বছরের ২রা অক্টোবর ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মীর মশাররফ হোসেন হল ও আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায়ও মীর মশাররফ হোসেন হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এদিকে শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ত্বের অভিযোগ আনে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। প্রক্টরিয়াল টিম এসে পরিস্থিতি সামাল না দিয়ে ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলো। যারা আমাদের অভিভাবক তারা যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না করে ভিডিও করায় ব্যস্ত থাকে তারা কিভাবে প্রক্টরিয়াল টিমে থাকে তা আমাদের প্রশ্ন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হল আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু প্রক্টরের নির্দেশে পুলিশ আমাদের দিকেই টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রশাসনের এরকম পক্ষপাতমূলক আচরনে আমরা ক্ষুব্ধ।
শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হাসান বলেন, প্রশাসন এক পাক্ষিক আচরণ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা না করে উষ্কানি দিয়েছে। তিনি সংঘর্ষকে বড় আকার ধারনের চেষ্টা চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছেন। তার আচার ব্যবহার কর্মকান্ড ন্যাক্কারজনক। সে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অনিয়মিত। আর তিনি কয়টি প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন তার চেয়ে আমরা বেশি প্রোগ্রাম করেছি।
উষ্কানির বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, উষ্কানি দিলেতো ওখানে যাওয়ার দরকার নাই। পোলাপান কথা না শুনলে কি করতে পারি! বিশ^বিদ্যালয়ে গ্যাঞ্জাম করাতো ভাল না। আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। এখন যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, গতকালের (বুধবার) ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এ ধরণের ঘটনায় অভিযোগ উঠতেই পারে। আমি ঘটনাস্থলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে উপস্থিত হই। আমাদের কাজের কোনো গাফিলতি ছিলনা। পাঁচ-পাঁচবার ঘটনা থামানোর চেষ্টা করার পরও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রহস্যজনক! আমি কোন ব্যক্তি বা গ্রুপকে প্রমোট করিনা ও করবোও না। কেউ আমার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা চাইবেনা এটাই আমার প্রত্যাশা।
ভিডিও ধারণের ব্যাপারে তিনি বলেন, একজন সহকারী প্রক্টর মোবাইলে ভিডিও ধারণের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামলানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
No comments