বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার একসঙ্গে চলার আহ্বানে কী বলছে সিপিএম-কংগ্রেস?
লোকসভা
নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যে প্রায় ১৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ২০২১-এ
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলর থেকে জেলা
পরিষদ ও পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের এখনও নিয়মিত গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে
বিজেপি কার্য্যালয়। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের পর বাংলায় রীতিমতো কোণঠাসা
ঘাসফুল শিবির। এমতাবস্থায় গেরুয়া আগ্রাসন রুখতে ‘চিরশত্রু’ সিপিএম এবং
প্রাক্তন দল কংগ্রেসকে কাছে টানার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল
সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সিপিএম-কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়ার জন্য বুধবার বিধানসভার অধিবেশনকেই বেছে নেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস দেশটাকে ভাঙবে না। আমার ভয় হচ্ছে, (বিজেপি) সংবিধান না বদলে দেয়। আমাদের যৌথভাবে আসা দরকার”। এরপরই আবদুল মান্নান জানান, কংগ্রেসের অনেক পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। এর উত্তরে মমতা বলেন, “আমাকে তালিকা দিন”। সিপিএম ও কংগ্রেসের উদ্দেশে এরপরই তিনি বলেন, “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আমরা বিষয়টা দেখছি”। এদিন বিধানসভা কক্ষে বক্তব্য শেষ করে মমতা ‘জয় হিন্দ’ এবং ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি তোলেন।
তবে মমতা যতই কাছে টানার বার্তা দিয়ে থাকুক, এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখেই আক্রমণ হেনেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সে কথা এখনও ভুলতে পারছে হাত-কাস্তে কোনও পক্ষই। এদিকে, বিজেপি মমতার এই বার্তাকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তিন দল একসঙ্গে লড়াই করলেও আখেরে কোনও লাভ হবে না বলে মনে করছে বিজেপি।
এবার রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে একটি আসনও জোটেনি সিপিএমের। তবু মমতার এই আবেদনে সাড়া দিতে চাইছে না তারা। বরং অনেক আক্রমণাত্মক সুরে সিপিএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “উনি ক’দিন আগে বলছিলেন সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি একসঙ্গে লড়ছে। উনি প্রথমে বলুন, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে ভোটের সময় মিথ্যাচার করেছি। গাজোয়ারি করে মানুষকে লুটপাঠের যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, অন্য়ায় স্বীকার করে তা ফিরিয়ে দিন”। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সখ্যের প্রসঙ্গও তুলেছেন সেলিম। তাঁর বক্তব্য, “সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উনি কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে লড়েছেন, তা স্বাকীর করুন। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখছিলেন, এখন বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রীও হতে পারবেন না”।
অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেসও মমতার আহ্বানকে অগ্রাহ্য করেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “তিনি কখনও বলছেন কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড করে দেবেন। আবার কখনও বলছেন, কংগ্রেস দেশটাকে ভাঙবে না। কোনটা সত্যি আগে সেটা ঠিক করুন। এই কক্ষেই বলেছিলেন, কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ড”। কিন্তু, কংগ্রেসের কাছে আবেদন করলে কী করবেন? সোমেনের সাফ জবাব, “যাব না। আগে ওঁর শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তারপর তো আসবে। কী জন্য বললেন সেটা উনিই জানেন”।
মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস-সিপিএম পাল্টা তোপ দাগলেও বিজেপি সামগ্রিকভাবে এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে না। এসব করে আদতে কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “খড়কুটো অবলম্বন করে বাঁচতে চাইছেন উনি। জণগনকে সঙ্গে না নিয়ে একটা খড় আর কুটোকে নিয়ে কি বাঁচতে পারবেন? যা ঢেউ এসেছে তাতে মুছে যাবেন। একটা সময় বিজেপির হাতে-পায়ে ধরতেন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। আর এখন নিজেকে রক্ষা করার জন্য সিপিএমের পা ধরতে হচ্ছে। অদৃষ্টের পরিহাস। ওনার অবস্থা দেখে আমাদের অনুকম্পা জাগে। আমার চ্যালেঞ্জ, হিম্মত থাকে একসঙ্গে লড়ে বিজেপিকে হারান।”
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সিপিএম-কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়ার জন্য বুধবার বিধানসভার অধিবেশনকেই বেছে নেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস দেশটাকে ভাঙবে না। আমার ভয় হচ্ছে, (বিজেপি) সংবিধান না বদলে দেয়। আমাদের যৌথভাবে আসা দরকার”। এরপরই আবদুল মান্নান জানান, কংগ্রেসের অনেক পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। এর উত্তরে মমতা বলেন, “আমাকে তালিকা দিন”। সিপিএম ও কংগ্রেসের উদ্দেশে এরপরই তিনি বলেন, “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আমরা বিষয়টা দেখছি”। এদিন বিধানসভা কক্ষে বক্তব্য শেষ করে মমতা ‘জয় হিন্দ’ এবং ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি তোলেন।
তবে মমতা যতই কাছে টানার বার্তা দিয়ে থাকুক, এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখেই আক্রমণ হেনেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সে কথা এখনও ভুলতে পারছে হাত-কাস্তে কোনও পক্ষই। এদিকে, বিজেপি মমতার এই বার্তাকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তিন দল একসঙ্গে লড়াই করলেও আখেরে কোনও লাভ হবে না বলে মনে করছে বিজেপি।
এবার রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে একটি আসনও জোটেনি সিপিএমের। তবু মমতার এই আবেদনে সাড়া দিতে চাইছে না তারা। বরং অনেক আক্রমণাত্মক সুরে সিপিএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “উনি ক’দিন আগে বলছিলেন সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি একসঙ্গে লড়ছে। উনি প্রথমে বলুন, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে ভোটের সময় মিথ্যাচার করেছি। গাজোয়ারি করে মানুষকে লুটপাঠের যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, অন্য়ায় স্বীকার করে তা ফিরিয়ে দিন”। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সখ্যের প্রসঙ্গও তুলেছেন সেলিম। তাঁর বক্তব্য, “সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উনি কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে লড়েছেন, তা স্বাকীর করুন। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখছিলেন, এখন বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রীও হতে পারবেন না”।
অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেসও মমতার আহ্বানকে অগ্রাহ্য করেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “তিনি কখনও বলছেন কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড করে দেবেন। আবার কখনও বলছেন, কংগ্রেস দেশটাকে ভাঙবে না। কোনটা সত্যি আগে সেটা ঠিক করুন। এই কক্ষেই বলেছিলেন, কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ড”। কিন্তু, কংগ্রেসের কাছে আবেদন করলে কী করবেন? সোমেনের সাফ জবাব, “যাব না। আগে ওঁর শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তারপর তো আসবে। কী জন্য বললেন সেটা উনিই জানেন”।
মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস-সিপিএম পাল্টা তোপ দাগলেও বিজেপি সামগ্রিকভাবে এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে না। এসব করে আদতে কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “খড়কুটো অবলম্বন করে বাঁচতে চাইছেন উনি। জণগনকে সঙ্গে না নিয়ে একটা খড় আর কুটোকে নিয়ে কি বাঁচতে পারবেন? যা ঢেউ এসেছে তাতে মুছে যাবেন। একটা সময় বিজেপির হাতে-পায়ে ধরতেন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। আর এখন নিজেকে রক্ষা করার জন্য সিপিএমের পা ধরতে হচ্ছে। অদৃষ্টের পরিহাস। ওনার অবস্থা দেখে আমাদের অনুকম্পা জাগে। আমার চ্যালেঞ্জ, হিম্মত থাকে একসঙ্গে লড়ে বিজেপিকে হারান।”
No comments