ফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘোষণায় ইইউতে পণ্য রফতানি নিয়ে লংকান ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
শ্রীলংকার একটি পোশাক তৈরির কারখানা |
শ্রীলংকায়
আবারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করবেন বলে অনমনীয় প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা
সিরিসেনার ঘোষণায় দেশটির রফতানি পণ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জিএসপি+
বাণিজ্য সুবিধা বাতিলের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
সিরিসেনা চারজন মাদক অপরাধীর ফাঁসি অনুমোদন করেছেন। ফলে ইইউ’র জিএসপি প্লাস সুবিধা বাতিল হলে ব্যবসার কি হবে হবে সেই চিন্তায় লংকান পোশাকশিল্প মালিকাদের মধ্যে আতংকে কাঁপুনি ধরে গেছে।
প্রায় সাত বছর পর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি শ্রীলংকা আবারো জিএসপি+ সুবিধা ফিরে পায়। ২০১০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করা হয়। এতে শ্রীলংকা ১৫০ থেকে ২৫০ বিলিয়ন রুপি’র রফতানি রাজস্ব হারায়।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রানিল বিক্রমাসিঙ্ঘের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) টিকেটে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মাথায় জিএসপি পুনর্বহাল করা হয়।
পাঁচ বছর পর এখন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিঙ্গের সঙ্গে সিরিসেনার সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটেছে। সিরিসেনার শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি) এতদিন ইউএনপি জোটে থাকলেও এখন তারা বিরোধী দলে।
মাদক চোরকারবারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালে সিরিসেনার চেষ্টাটিকে তার ক্ষয়িষ্ণু জনপ্রিয়তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা হিসেবে অনেক বিশ্লেষক দেখছেন।
জনপ্রিয়তা হারানোর কারণে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এসএলএফপি থেকে আলাদাভাবে তার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিনি শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করলেও এখন তা উবে গেছে। এসএলপিপি তাকে দুর্বল নেতা হিসেবে মনে করে।
এই অবস্থায় পেশীশক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সিরিসেনা। মাদক চোরাকারবারীদের ফাঁসিকে সমাজের ভালো করতে তার নেয়া কঠোর ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইইউ’র দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রীলংকা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কভেন্যান্টসহ, জিএসপি+ অঙ্গীকার সংশ্লিষ্ট ২৭টি আন্তর্জাতিক কনভেনশন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করছে কিনা তার উপর অব্যাহত নজর রাখা হবে।
ইইউ আরো জানায়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উপর ৪৩ বছরের স্বেচ্ছা নিষেধাজ্ঞার অবসান হলে তা হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে শ্রীলংকার দেয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
ইউএনপি’র কেউ সিরিসেনার নীতির ব্যাপারে কোনরকম আগ্রহ দেখায়নি। অর্থমন্ত্রী সামারাবিরা বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর খুন ও মাদক চোরাচালানের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কোন সমাধান নয়। কারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে শুধু চুনোপুটিই ধরা পড়ছে, রাঘব-বোয়াল ধরা পড়ছে না।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধধর্ম সংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় পুরোহিত সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব ও মাহিন্দা রাজাপাকসার ভাই গোতাভায়া রাজাপাকসাকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন এবং শ্রীলংকাকে মাদকের আতংক ও অন্যান্য বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্তির আহ্বান জানানোর পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সিরিসেনার মনোভাব কঠোর হয়। ২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গোতাভায়ার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
গত বুধবার চিকিৎসকদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা জানান যে তিনি এরই মধ্যে চার অভিযুক্তের দণ্ড কার্যকর করার জন্য কাগজপত্রে সই করেছেন। মাদকের অপরাধে এরা দণ্ডিত হয়।
গত মাসে সিরিসেনা এটাও বলেন যে তিনি মাদক মাফিয়াদের শায়েস্তা করছেন বলে ২১ এপ্রিল আইএসআইএস-স্টাইলে হামলা চালানো হয়েছে। এটা এমন ধারণাও জন্ম দিয়েছে যে এর মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন শ্রীলংকার সব মাদক ব্যবসায়ী হলো মুসলমান।
দ্বীপদেশটির মাদক মাফিয়া মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে বলে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বৌদ্ধ ধর্মগুরুও অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছেন।
সিরিসেনা চারজন মাদক অপরাধীর ফাঁসি অনুমোদন করেছেন। ফলে ইইউ’র জিএসপি প্লাস সুবিধা বাতিল হলে ব্যবসার কি হবে হবে সেই চিন্তায় লংকান পোশাকশিল্প মালিকাদের মধ্যে আতংকে কাঁপুনি ধরে গেছে।
প্রায় সাত বছর পর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি শ্রীলংকা আবারো জিএসপি+ সুবিধা ফিরে পায়। ২০১০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করা হয়। এতে শ্রীলংকা ১৫০ থেকে ২৫০ বিলিয়ন রুপি’র রফতানি রাজস্ব হারায়।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রানিল বিক্রমাসিঙ্ঘের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) টিকেটে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মাথায় জিএসপি পুনর্বহাল করা হয়।
পাঁচ বছর পর এখন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিঙ্গের সঙ্গে সিরিসেনার সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটেছে। সিরিসেনার শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি) এতদিন ইউএনপি জোটে থাকলেও এখন তারা বিরোধী দলে।
মাদক চোরকারবারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালে সিরিসেনার চেষ্টাটিকে তার ক্ষয়িষ্ণু জনপ্রিয়তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা হিসেবে অনেক বিশ্লেষক দেখছেন।
জনপ্রিয়তা হারানোর কারণে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এসএলএফপি থেকে আলাদাভাবে তার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিনি শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করলেও এখন তা উবে গেছে। এসএলপিপি তাকে দুর্বল নেতা হিসেবে মনে করে।
এই অবস্থায় পেশীশক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সিরিসেনা। মাদক চোরাকারবারীদের ফাঁসিকে সমাজের ভালো করতে তার নেয়া কঠোর ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে ইইউ’র দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রীলংকা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কভেন্যান্টসহ, জিএসপি+ অঙ্গীকার সংশ্লিষ্ট ২৭টি আন্তর্জাতিক কনভেনশন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করছে কিনা তার উপর অব্যাহত নজর রাখা হবে।
ইইউ আরো জানায়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উপর ৪৩ বছরের স্বেচ্ছা নিষেধাজ্ঞার অবসান হলে তা হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে শ্রীলংকার দেয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
ইউএনপি’র কেউ সিরিসেনার নীতির ব্যাপারে কোনরকম আগ্রহ দেখায়নি। অর্থমন্ত্রী সামারাবিরা বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর খুন ও মাদক চোরাচালানের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কোন সমাধান নয়। কারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে শুধু চুনোপুটিই ধরা পড়ছে, রাঘব-বোয়াল ধরা পড়ছে না।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধধর্ম সংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় পুরোহিত সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব ও মাহিন্দা রাজাপাকসার ভাই গোতাভায়া রাজাপাকসাকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন এবং শ্রীলংকাকে মাদকের আতংক ও অন্যান্য বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্তির আহ্বান জানানোর পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সিরিসেনার মনোভাব কঠোর হয়। ২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গোতাভায়ার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
গত বুধবার চিকিৎসকদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা জানান যে তিনি এরই মধ্যে চার অভিযুক্তের দণ্ড কার্যকর করার জন্য কাগজপত্রে সই করেছেন। মাদকের অপরাধে এরা দণ্ডিত হয়।
গত মাসে সিরিসেনা এটাও বলেন যে তিনি মাদক মাফিয়াদের শায়েস্তা করছেন বলে ২১ এপ্রিল আইএসআইএস-স্টাইলে হামলা চালানো হয়েছে। এটা এমন ধারণাও জন্ম দিয়েছে যে এর মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন শ্রীলংকার সব মাদক ব্যবসায়ী হলো মুসলমান।
দ্বীপদেশটির মাদক মাফিয়া মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে বলে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বৌদ্ধ ধর্মগুরুও অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছেন।
No comments