গর্ব আছে প্রশ্নও আছে by পিন্টু আনোয়ার
ইশ!
তামিম যদি রোহিতের ক্যাচটা না ছাড়তেন, সাইফুদ্দিন যদি ইনিংসের শেষ ১২ বল
খেলতে পারতেন, অযথা শট খেলে মুশফিক-লিটন যদি উইকেট না দিতেন- ভারতের
বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আফসোস ঝরছিল ভক্ত- সমর্থকদের
কণ্ঠে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বিরাট কোহলির কণ্ঠে ঝরে প্রশংসা আর ক্রিকেট
লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকারের বাহ্বা। মঙ্গলবার ভারতের কাছে ২৮ রানের হার
শেষে সেমিফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ
দিয়ে এবারের মিশন শেষ করবে টাইগাররা। বিশ্বকাপটা কেমন কাটলো বাংলাদেশের?
প্রত্যাশাটা বেশি থাকলেও এবারের বিশ্বকাপে প্রাপ্তিও কম নয়। এক সাকিব আল
হাসানই ব্যাটে-বলে যা করলেন তা ইতিহাস। মুশফিকুর রহীমের সেঞ্চুরি
মোস্তাফিজুর রহমানের ইনিংসে পাঁচ উইকেটের কীর্তিটাও বড়ই। তবে, আসরে
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাটা ছিল বোলিংয়ে।
পরিসংখ্যানও তাই বলে।
ক্যারিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রাপ্তির খাতাটা ঝলমলে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে বাস্তবতাটা ভিন্ন। এক পরিসংখ্যানে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে বোলিংটা বাংলাদেশের। আর বাংলাদেশ দলের অন্যতম পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ৭ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র এক উইকেট। ব্যাট হাতে তার সাকুল্যে সংগ্রহ ১৯ রান। আর মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়, শুধু অধিনায়ক বলেই কি বাংলাদেশ দলে মাশরাফি! বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মাশরাফির ফর্মহীনতায় কার্যত ১০ নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। এটা মাশরাফির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ, সন্দেহ নেই। তবে বিশ্বকাপের পর তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন কিনা, আর খেলা চালিয়ে গেলেও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন কিনা, এ নিয়ে উঠেছে গুঞ্জন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলেন, এটা বোর্ড এবং মাশরাফির নিজের সিদ্ধান্ত।
এবারের বিশ্বকাপে তিনবার দলীয় ৩০০ রানের কৃতিত্ব দেখায় বাংলাদেশ। আসরে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরটাও ২৪৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করে ৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় কুড়ায় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দাপুটে জয় দেখে ৩৩০ রানের পুঁজি নিয়ে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও টাইগাররা গড়ে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৩ রানের রেকর্ড। ভারতীয় ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার বলেন, এবারের বিশ্বকাপে কেবল দুই এক ম্যাচে নয় ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ-ভারত লড়াইকে আসরের সেরা ম্যাচের আখ্যা দেন এ ক্রিকেট কিংবদন্তি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেট সমর্থকরাও টাইগারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভারতীয় ক্রীড়া লেখক কে. আশিষ তার টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘ভালো খেলেছো বাংলাদেশ। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে অবশ্যই ২০২৩ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দাবিদার।’
আসরে বাংলাদেশের ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের চেহারা একেবারেই আলাদা। ব্যাটিংয়ে যতটা উজ্জ্বল সাকিব-মুশফিকেরা, বোলিংয়ে যেন ততটাই বিবর্ণ মাশরাফি বাহিনী। পরিসংখ্যানও সেই বিষয়টির দিকেই ইঙ্গিত করছে, বিশ্বকাপের অন্যতম বাজে বোলিং আক্রমণ বাংলাদেশের।
পেস বান্ধব ইংলিশ কন্ডিশনে যেখানে গতি আর স্লোয়ারে আতঙ্ক জাগিয়েছেন, অন্যান্য দলের বোলাররা সেখানে যেন রান দিতেই যেন ব্যস্ত ক্যারিবীয় পেস কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যরা।
ভারত ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা ৪২ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের পেছনে শুধু শ্রীলঙ্কাই ছিল। আর মঙ্গলবার মোস্তাফিজ ও সাকিবের নৈপুণ্যের সুবাদে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও পেছনে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এ তিন দলের ব্যাটসম্যানরা বেশ কিছু ম্যাচেই বোলারদের লড়াই করার পুঁজি দিতে পারেননি।
এবারের বিশ্বকাপে ওভার প্রতি গড়ে ৬ এর ওপরে রান দিয়েছে দুটি দল। একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অপরটি বাংলাদেশ। তবে প্রতি ওভারে প্রতিপক্ষের ঝুলিতে ৬.১৮ রান যুক্ত করে বাংলাদেশ ওভার প্রতি সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও (৬.০৫) পেছনে ফেলেছে। বোলিং গড় তথা প্রত্যেকটি উইকেট পেতে কত রান খরচ করতে হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশ সবার তলানিতে ছিল। উইকেট তুলে নিতে কমপক্ষে ৪৩.৩০ রান খরচ করছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ভারতের বিপক্ষে পাওয়া ৮ উইকেটে (অপরটি রানআউট) সেটা ৪২.৫৪তে নেমে এসেছে। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে কারা? আফগানিস্তান (৪২.৯৭) ও শ্রীলঙ্কা (৪৩.২৫)।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণ দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গেই পেরে উঠছে না। প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারতকে পেয়ে উইকেটে সাকিবকে (১১) টপকে গেছেন মোস্তাফিজ (১৫)। কিন্তু আসরে তার ইকোনমি রেট ৬.৫৭। বল হাতে ১০ উইকেট পাওয়া সাইফুদ্দিনের ইকোনমি ৬.৯৩। দলের মতো পেস আক্রমণের নেতৃত্বও দেয়ার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু ৭ ম্যাচে মাত্র ৪৯ ওভার বল করা কিংবা ৩১৫ গড়ে ১ উইকেট পাওয়া অথবা ৬.৪২ ইকোনমিতে রান দেয়া বলছে, মাশরাফি তার কাজে ব্যর্থ হয়েছেন।
স্পিনারদের মাঝেও এক সাকিব ছাড়া বাকিরা মোটামুটি মানের বোলিং করেছেন। ৫.৩৪ ইকোনমিতে ১১ উইকেট তুলে নিয়ে সাকিবই সবচেয়ে উজ্জ্বল। ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া মিরাজের ইকোনমিও ছয়ের নিচে (৫.৪৫)। ৩ উইকেট পাওয়া মোসাদ্দেকেরও তাই (৫.৮৭)। রান আটকে রাখার দিক দিয়ে স্পিনাররা কিছুটা অবদান রাখতে পারলেও মিডল ওভারে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারেননি সাকিব ছাড়া অন্য কেউ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৫ ওভার বল করেন মাশরাফি। ৩৬ রান দিয়ে টাইগার অধিনায়ক থাকেন উইকেটশূন্য। আর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, হারের পিছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বার বার উঠে আসছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির নাম। এই ম্যাচে প্রথম ওভারেই বল করতে এসে ১০ রান দেন তিনি। তার ৫ ওভারে ভারত নেয় ৩৬ রান। দলে বোলার হিসেবে থাকা মাশরাফি পুরো ১০ ওভার বল করার মতো সাহস দেখাতেও ব্যর্থ। রুবেল এবং মোস্তাফিজের মতো বোলার দলে থাকতেও তাদের ঠিক মতো ব্যবহারই করতে পারলেন না তিনি। ২০০৭-এর বিশ্বকাপে একাই ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ২৩ বছরের মর্তুজা।
পরিসংখ্যানও তাই বলে।
ক্যারিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রাপ্তির খাতাটা ঝলমলে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে বাস্তবতাটা ভিন্ন। এক পরিসংখ্যানে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে বোলিংটা বাংলাদেশের। আর বাংলাদেশ দলের অন্যতম পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ৭ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র এক উইকেট। ব্যাট হাতে তার সাকুল্যে সংগ্রহ ১৯ রান। আর মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়, শুধু অধিনায়ক বলেই কি বাংলাদেশ দলে মাশরাফি! বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মাশরাফির ফর্মহীনতায় কার্যত ১০ নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। এটা মাশরাফির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ, সন্দেহ নেই। তবে বিশ্বকাপের পর তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন কিনা, আর খেলা চালিয়ে গেলেও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন কিনা, এ নিয়ে উঠেছে গুঞ্জন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলেন, এটা বোর্ড এবং মাশরাফির নিজের সিদ্ধান্ত।
এবারের বিশ্বকাপে তিনবার দলীয় ৩০০ রানের কৃতিত্ব দেখায় বাংলাদেশ। আসরে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরটাও ২৪৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করে ৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় কুড়ায় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দাপুটে জয় দেখে ৩৩০ রানের পুঁজি নিয়ে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও টাইগাররা গড়ে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৩ রানের রেকর্ড। ভারতীয় ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার বলেন, এবারের বিশ্বকাপে কেবল দুই এক ম্যাচে নয় ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ-ভারত লড়াইকে আসরের সেরা ম্যাচের আখ্যা দেন এ ক্রিকেট কিংবদন্তি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেট সমর্থকরাও টাইগারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভারতীয় ক্রীড়া লেখক কে. আশিষ তার টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘ভালো খেলেছো বাংলাদেশ। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে অবশ্যই ২০২৩ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দাবিদার।’
আসরে বাংলাদেশের ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের চেহারা একেবারেই আলাদা। ব্যাটিংয়ে যতটা উজ্জ্বল সাকিব-মুশফিকেরা, বোলিংয়ে যেন ততটাই বিবর্ণ মাশরাফি বাহিনী। পরিসংখ্যানও সেই বিষয়টির দিকেই ইঙ্গিত করছে, বিশ্বকাপের অন্যতম বাজে বোলিং আক্রমণ বাংলাদেশের।
পেস বান্ধব ইংলিশ কন্ডিশনে যেখানে গতি আর স্লোয়ারে আতঙ্ক জাগিয়েছেন, অন্যান্য দলের বোলাররা সেখানে যেন রান দিতেই যেন ব্যস্ত ক্যারিবীয় পেস কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যরা।
ভারত ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা ৪২ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের পেছনে শুধু শ্রীলঙ্কাই ছিল। আর মঙ্গলবার মোস্তাফিজ ও সাকিবের নৈপুণ্যের সুবাদে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও পেছনে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এ তিন দলের ব্যাটসম্যানরা বেশ কিছু ম্যাচেই বোলারদের লড়াই করার পুঁজি দিতে পারেননি।
এবারের বিশ্বকাপে ওভার প্রতি গড়ে ৬ এর ওপরে রান দিয়েছে দুটি দল। একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অপরটি বাংলাদেশ। তবে প্রতি ওভারে প্রতিপক্ষের ঝুলিতে ৬.১৮ রান যুক্ত করে বাংলাদেশ ওভার প্রতি সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও (৬.০৫) পেছনে ফেলেছে। বোলিং গড় তথা প্রত্যেকটি উইকেট পেতে কত রান খরচ করতে হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশ সবার তলানিতে ছিল। উইকেট তুলে নিতে কমপক্ষে ৪৩.৩০ রান খরচ করছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ভারতের বিপক্ষে পাওয়া ৮ উইকেটে (অপরটি রানআউট) সেটা ৪২.৫৪তে নেমে এসেছে। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে কারা? আফগানিস্তান (৪২.৯৭) ও শ্রীলঙ্কা (৪৩.২৫)।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণ দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গেই পেরে উঠছে না। প্রিয় প্রতিপক্ষ ভারতকে পেয়ে উইকেটে সাকিবকে (১১) টপকে গেছেন মোস্তাফিজ (১৫)। কিন্তু আসরে তার ইকোনমি রেট ৬.৫৭। বল হাতে ১০ উইকেট পাওয়া সাইফুদ্দিনের ইকোনমি ৬.৯৩। দলের মতো পেস আক্রমণের নেতৃত্বও দেয়ার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু ৭ ম্যাচে মাত্র ৪৯ ওভার বল করা কিংবা ৩১৫ গড়ে ১ উইকেট পাওয়া অথবা ৬.৪২ ইকোনমিতে রান দেয়া বলছে, মাশরাফি তার কাজে ব্যর্থ হয়েছেন।
স্পিনারদের মাঝেও এক সাকিব ছাড়া বাকিরা মোটামুটি মানের বোলিং করেছেন। ৫.৩৪ ইকোনমিতে ১১ উইকেট তুলে নিয়ে সাকিবই সবচেয়ে উজ্জ্বল। ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া মিরাজের ইকোনমিও ছয়ের নিচে (৫.৪৫)। ৩ উইকেট পাওয়া মোসাদ্দেকেরও তাই (৫.৮৭)। রান আটকে রাখার দিক দিয়ে স্পিনাররা কিছুটা অবদান রাখতে পারলেও মিডল ওভারে উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারেননি সাকিব ছাড়া অন্য কেউ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৫ ওভার বল করেন মাশরাফি। ৩৬ রান দিয়ে টাইগার অধিনায়ক থাকেন উইকেটশূন্য। আর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, হারের পিছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বার বার উঠে আসছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির নাম। এই ম্যাচে প্রথম ওভারেই বল করতে এসে ১০ রান দেন তিনি। তার ৫ ওভারে ভারত নেয় ৩৬ রান। দলে বোলার হিসেবে থাকা মাশরাফি পুরো ১০ ওভার বল করার মতো সাহস দেখাতেও ব্যর্থ। রুবেল এবং মোস্তাফিজের মতো বোলার দলে থাকতেও তাদের ঠিক মতো ব্যবহারই করতে পারলেন না তিনি। ২০০৭-এর বিশ্বকাপে একাই ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ২৩ বছরের মর্তুজা।
No comments