‘দঙ্গল’ কন্যার অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের ঝড়
দঙ্গল
কন্যা জায়রা ওয়াসিমের অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের ঝড় তৈরি হয়েছে।
সকলে হতবাকও। ‘দঙ্গল’ এবং ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ এই দু’টি ছবি করেছেন
জায়রা। ‘দঙ্গল’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি
‘স্কাই ইজ পিঙ্ক’ ছবিতে অভিনয় করেছেন এই কাশ্মিরী কন্যা। তার সঙ্গে অভিনয়
করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও ফারহান আখতারের মতো অভিনেতারা। সম্প্রতি সোস্যাল
মিডিয়ায় এক পোস্টে অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রতিভাবান অভিনেত্রী
জায়রা লিখেছেন, আমার কাজের সঙ্গে আমার ধর্মবিশ্বাসের সংঘাত হচ্ছে। জায়রার
কথায়, যাত্রাটা খুব ক্লান্তিকর ছিল।
দীর্ঘদিন ধরে নিজের আত্মার সঙ্গে যুদ্ধ। জীবনটা খুব ছোট কিন্তু নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য খুব বড়। তাই আমি আজ এই সিদ্ধান্ত নিলাম। এই সিনে-জগৎ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে এই সংঘাতের কারণেই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকেই নিন্দা করেছেন এই অভিনেত্রীর। জায়রা তার দীর্ঘ পোস্টে আরও লিখেছেন, আমার কাজ, আমার পরিচিতি নিয়ে আমি খুশি নই। অনেক দিন ধরে আমার মনে হচ্ছে অন্য কেউ হওয়ার জন্যই আমি পরিশ্রম করছি। যখনই আমি বুঝতে শিখেছি কিসের জন্য আমি সময় দিচ্ছি, পরিশ্রম করছি, তখনই আমি বুঝেছি এখানে আমাকে মানালেও আমি এর জন্য উপযুক্ত নই। এই জগৎ আমাকে অনেক ভালবাসা, সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি এর জন্য আমি আমার বিশ্বাস থেকে সরে গিয়েছি। আমার কাজের সঙ্গে আমার ধর্মবিশ্বাসের সংঘাত হচ্ছে।
জায়রার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি নিজের টুইটারে লিখেছেন, বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন শুধুমাত্র এই কারণে যে, তার কাজের জন্য আল্লাহর ওপর থেকে তার বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব বোকামি করেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের কত প্রতিভা এই ভাবেই বোরখার অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের জোর করে বোরখার আড়ালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তসলিমা আরও বলেছেন, সবাই বলছে ধর্মীয় কারণে জায়রার অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ। সত্যি? এই নারীবিদ্বেষী পিতৃশাসিত সমাজ মেয়েদের মগজধোলাই করছে। তাদের নমনীয়, পরনির্ভরশীল, অশিক্ষিত, ভৃত্য, যৌন বস্তু, সন্তান তৈরি করার যন্ত্র বানিয়ে রেখেছে। তাদের কোনও স্বাধীনতা নেই। এই পিতৃশাসিত সমাজের বিরুদ্ধে পুরুষ ও নারী দুজনকেই লড়াই করে এমন সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে সবাই সমান। অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডনও ট্যুইট করে জায়রার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, দুটো ছবি করে এই জগতের প্রতি কেউ অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তাতে কিছু যায় আসে না। শুধু তারা ভালভাবে বেরিয়ে যান এবং তাদের বিতর্কিত মতামত নিজেদের কাছেই রাখুন। এটাই কাম্য।
দীর্ঘদিন ধরে নিজের আত্মার সঙ্গে যুদ্ধ। জীবনটা খুব ছোট কিন্তু নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য খুব বড়। তাই আমি আজ এই সিদ্ধান্ত নিলাম। এই সিনে-জগৎ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে এই সংঘাতের কারণেই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকেই নিন্দা করেছেন এই অভিনেত্রীর। জায়রা তার দীর্ঘ পোস্টে আরও লিখেছেন, আমার কাজ, আমার পরিচিতি নিয়ে আমি খুশি নই। অনেক দিন ধরে আমার মনে হচ্ছে অন্য কেউ হওয়ার জন্যই আমি পরিশ্রম করছি। যখনই আমি বুঝতে শিখেছি কিসের জন্য আমি সময় দিচ্ছি, পরিশ্রম করছি, তখনই আমি বুঝেছি এখানে আমাকে মানালেও আমি এর জন্য উপযুক্ত নই। এই জগৎ আমাকে অনেক ভালবাসা, সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি এর জন্য আমি আমার বিশ্বাস থেকে সরে গিয়েছি। আমার কাজের সঙ্গে আমার ধর্মবিশ্বাসের সংঘাত হচ্ছে।
জায়রার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি নিজের টুইটারে লিখেছেন, বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন শুধুমাত্র এই কারণে যে, তার কাজের জন্য আল্লাহর ওপর থেকে তার বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব বোকামি করেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের কত প্রতিভা এই ভাবেই বোরখার অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের জোর করে বোরখার আড়ালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তসলিমা আরও বলেছেন, সবাই বলছে ধর্মীয় কারণে জায়রার অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ। সত্যি? এই নারীবিদ্বেষী পিতৃশাসিত সমাজ মেয়েদের মগজধোলাই করছে। তাদের নমনীয়, পরনির্ভরশীল, অশিক্ষিত, ভৃত্য, যৌন বস্তু, সন্তান তৈরি করার যন্ত্র বানিয়ে রেখেছে। তাদের কোনও স্বাধীনতা নেই। এই পিতৃশাসিত সমাজের বিরুদ্ধে পুরুষ ও নারী দুজনকেই লড়াই করে এমন সমাজ তৈরি করতে হবে যেখানে সবাই সমান। অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডনও ট্যুইট করে জায়রার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, দুটো ছবি করে এই জগতের প্রতি কেউ অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তাতে কিছু যায় আসে না। শুধু তারা ভালভাবে বেরিয়ে যান এবং তাদের বিতর্কিত মতামত নিজেদের কাছেই রাখুন। এটাই কাম্য।
No comments