মিয়ানমারের সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধাপরাধের তথ্য দিলেন জাতিসংঘ তদন্তকারী
মিয়ানমার
নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীরা উত্তেজনাপ্রবণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে
যুদ্ধপরাধের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। জাতিসংঘের এক তদন্তকারী মঙ্গলবার এ
তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এক সামরিক অভিযানের ফলে সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে হয়। জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলছেন, মিয়ানমারের অভিযানের মধ্যে ছিল গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ব্যাপকভিত্তিক অগ্নিসংযোগ। এগুলো গণহত্যার মতো অপরাধ।
ইয়াঙ্গুন সরকার ওইসব নৃশংসতায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার জবাবে তারা অভিযানটি চালিয়েছিল।
সরকারি সৈন্যরা বর্তমানে রাখাইন ও চিন রাজ্যে জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আরাকান আর্মি বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধ করছে।
গত ২২ জুন কর্তৃপক্ষ ওই দুটি রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়।
মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘ স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ইয়াঙহি লি বলেছন, গত সপ্তাহে সেনাবাহিনী রাখাইন ও চিন রাজ্যে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার সুবিধা নিয়ে ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
তিনি মঙ্গলবার বলেন, উত্তর রাখাইন রাজ্য ও চিন রাজ্যের কিছু অংশে আরাকান আর্মির সাথে কয়েক সপ্তাহ ধরে সঙ্ঘাত চলছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এর বিপর্যয়কর প্রভাব পড়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির অনেক কাজ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন করেছে, এগুলো যুদ্ধাপরাধের সামিল ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
লি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বলেন, আরাকান আর্মি পালেতওয়া থেকে ১২ নির্মাণ শ্রমিককে এবং বাংলাদেশী সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা থেকে ৫২ গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
লি আরাকান আর্মির সাথে সন্দেহজনক সম্পর্ক রাখার দায়ে বেশ কয়েকজন রাখাইন লোককে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা হেফাজতে তাদের কয়েকজন মারাও গেছে। অক্টোবরে বাঁশ সংগ্রহে নিয়োজিত রোহিঙ্গা পুরুষ ও কিশোরদের ওপর সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার গুলি করে।
তিনি বলেন, সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে চলতি বছর প্রায় ৩৫ হাজার লোক পালিয়ে গেছে।
তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেউ মো তুন বলেন যে, সরকার আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এক সামরিক অভিযানের ফলে সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে হয়। জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলছেন, মিয়ানমারের অভিযানের মধ্যে ছিল গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ব্যাপকভিত্তিক অগ্নিসংযোগ। এগুলো গণহত্যার মতো অপরাধ।
ইয়াঙ্গুন সরকার ওইসব নৃশংসতায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার জবাবে তারা অভিযানটি চালিয়েছিল।
সরকারি সৈন্যরা বর্তমানে রাখাইন ও চিন রাজ্যে জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আরাকান আর্মি বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধ করছে।
গত ২২ জুন কর্তৃপক্ষ ওই দুটি রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়।
মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘ স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ইয়াঙহি লি বলেছন, গত সপ্তাহে সেনাবাহিনী রাখাইন ও চিন রাজ্যে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার সুবিধা নিয়ে ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
তিনি মঙ্গলবার বলেন, উত্তর রাখাইন রাজ্য ও চিন রাজ্যের কিছু অংশে আরাকান আর্মির সাথে কয়েক সপ্তাহ ধরে সঙ্ঘাত চলছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এর বিপর্যয়কর প্রভাব পড়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির অনেক কাজ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন করেছে, এগুলো যুদ্ধাপরাধের সামিল ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
লি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বলেন, আরাকান আর্মি পালেতওয়া থেকে ১২ নির্মাণ শ্রমিককে এবং বাংলাদেশী সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা থেকে ৫২ গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
লি আরাকান আর্মির সাথে সন্দেহজনক সম্পর্ক রাখার দায়ে বেশ কয়েকজন রাখাইন লোককে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা হেফাজতে তাদের কয়েকজন মারাও গেছে। অক্টোবরে বাঁশ সংগ্রহে নিয়োজিত রোহিঙ্গা পুরুষ ও কিশোরদের ওপর সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার গুলি করে।
তিনি বলেন, সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে চলতি বছর প্রায় ৩৫ হাজার লোক পালিয়ে গেছে।
তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেউ মো তুন বলেন যে, সরকার আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
No comments