ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও বৃষ্টির শঙ্কা by ইশতিয়াক পারভেজ
প্রথম
পর্বে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। নকআউট পর্বেও দুই
দলের লড়াইয়ে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়
আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। ব্ল্যাকক্যাপসরা
ভারতের জন্য বেশ চেনা প্রতিপক্ষ। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে ৪-১ ব্যবধানে
ওয়ানডে সিরিজ জেতে ভারত। অবশ্য বিশ্বকাপের প্রস্ততি ম্যাচে ছয় উইকেটে
জিতেছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। তবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই সব নিয়ে খুব একটা
চিন্তিত দেখালো না ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। প্রতিপক্ষকে যে ভালভাবেই
চেনেন তা জানিয়ে দিলেন অকপটেই।
কোহলি বলেন, ‘এটা খুব বেশি আগের কথা নয় যে আমরা নিউজিল্যান্ডে পুরো একটা সিরিজ খেলেছিলাম।’ আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলের ম্যাচে। তবে এ নিয়ে চিন্তা একটু বেশি ভারতীয় দলেরই।
ওল্ড ট্রাফোর্ড ভেন্যুতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সংবাদকর্মীরা ব্যস্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। বিরাট কোহলির সংবাদ সম্মেলন কভার করতে হবে। ভারতীয় সাংবাদিকরাও প্রতিবেশী দেশের সংবাদকর্র্মীদের বেশ সাহায্য করছেন। দল নিয়ে নানা রকম তথ্য দিচ্ছেন। মনে হচ্ছিল যেন ‘সার্ক সম্মেলন’। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধি এখন শুধুই ভারত। উপমহাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি বললেও ভুল হবে না। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুই সিনিয়র সংবাদকর্মী বলেন, কাল (আজ) ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে এই আসরে আসলে এশিয়াই টিকে থাকবে। নয়তো আমাদের আর কী থাকে এখানে!
ভারতের পর সেমিফাইনালে বাংলাদেশকেও আশা করা হয়েছিল। মাশরাফিদের এখন ঘরে বসেই দেখতে হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম সেমিফাইনাল। হয়তো মনে মনে কেউ আফসোস করবেন, ভেবে ফেলবেন দীর্ঘশ্বাস। আজ ফাইনালে যাওয়ার ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমরা আগের চেয়ে ভালো করতে মুখিয়ে আছি। এই মুহূর্তে আমরা যা করছি তাই করে যাওয়াটা দরকার।’
ম্যানেচেষ্টারের প্রায় প্রতিটি শহরে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী পাকিস্তানির বসবাস। স্মৃতি শক্তি হারিয়ে গেলে আপনি নির্ধিধায় এটিকে পাকিস্তানের কোন এলাকা বলেও মনে করে বসবেন। এরপরই ভারতীয়দের অবস্থান। বাংলাদেশিদের পর শ্রীলঙ্কানও কম নয়। বলতে পারেন এশিয়ার বড় একটা অংশই এই এলাকাতে ডেরা বেঁধেছে। তাই ট্যাক্সিতে উঠলে বা কোনো হোটেলে খেতে গেলে, এমনকি বাজারগুলোতে গেলেও এই তিন দেশের মানুষ পাবেনই। তাই ফুটবল পাগল এই শহরে ক্রিকেটের গল্প কানে আসবে তাতে কোনো ভুল নেই। হোটেল থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে ট্যাক্সি ড্রাইভার সর্দার আজিজ আলম পাকিস্তানের প্রতি রাগ ঝাড়লেন। বাংলাদেশের জন্য আফসোস করলেন অনেকক্ষণ ও ভারতের জন্য শুভকামনাও জানালেন। বলেন, ‘কি বলবো পাকিস্তান নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা হেরে গেল! আগের দিন রাতে সিসা পার্টি করে। করবে না কেন বৃষ্টির কথা ভেবে খেলাতেই মন দেয়নি। শৃঙ্খলা নেই, ঘুরে বেড়াতে এসেছিল ইংল্যান্ডে। সেমিফাইনালে যায়নি শিক্ষা হয়েছে। আর তোমাদের বাংলাদেশতো দারুণ খেলেছে। সাকিব, কী অসাধারণ ক্রিকেটার। একটা সাকিব যদি থাকতো আমাদের। তোমরা মন খরাপ করো না! পাকিস্তান ও ভারতের তুলনাতে তোমরা কত বছর হলো খেল! সেই তুলনাতে অনেক ভালো করছো। ভারততো তোমাদের এখন ভয়ই পায়। যাই হোক এখন সেমিতে ভারত খেলবে। তাদের জন্য শুভকামনা রইলো। জিতলে এশিয়াতে থাকবে অন্তত।
অন্যদিকে ভারতের প্রার্থনা আজ ম্যানচেষ্টারে যেন ফিরে না আসে ১৯৭৫ বিশ্বকাপের স্মৃতি। প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম দেখাতে ভারতকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর আরো ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে ২০০৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেখানে ভারতের জয় মাত্র ৩টি। সব শেষ জয়টা এসেছে ১২ বছর আগে বিশ্বকাপে শেষ দেখাতেই। তাই আজ শুধু ভারতের জন্য বিশ্বকাপে টিকে থাকার মিশনই নয় মার্যাদার লড়াইও। গতকাল ছিল ভারত দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। সেখানে ভারতের এক প্রবীণ সংবাদিককে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ‘বিশ্বাসতো রাখো, দেখি কি হয়।’ ভারতের অধিনায়কের পিছনে পিছনে তখন চার দেশের সংবাদকর্মীরা ছুটছেন। মাঠে অনুশীলন করতে থাকা কুলদীপ যাদব চিৎকার করে বলেন, সব মিডিয়া নিয়ে মাঠে চলে এলেন!
ভারতের ১৫ ক্রিকেটারের মধ্যে এদিন মাত্র ৯ জনই অনুশীলনে আসেন। যারা আসেননি তাদের মধ্যে অন্যতম রোহিত শর্মা। যাকে নিয়ে ভয় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনেরও। ভয় পাবেন না কেন! ৮ ম্যাচে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন। সেই সঙ্গে একটি ফিফটি। ৯২.৪২ গড়ে ৬৪৭ রান করে এই বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে।
কোহলি বলেন, ‘এটা খুব বেশি আগের কথা নয় যে আমরা নিউজিল্যান্ডে পুরো একটা সিরিজ খেলেছিলাম।’ আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলের ম্যাচে। তবে এ নিয়ে চিন্তা একটু বেশি ভারতীয় দলেরই।
ওল্ড ট্রাফোর্ড ভেন্যুতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সংবাদকর্মীরা ব্যস্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। বিরাট কোহলির সংবাদ সম্মেলন কভার করতে হবে। ভারতীয় সাংবাদিকরাও প্রতিবেশী দেশের সংবাদকর্র্মীদের বেশ সাহায্য করছেন। দল নিয়ে নানা রকম তথ্য দিচ্ছেন। মনে হচ্ছিল যেন ‘সার্ক সম্মেলন’। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধি এখন শুধুই ভারত। উপমহাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি বললেও ভুল হবে না। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার দুই সিনিয়র সংবাদকর্মী বলেন, কাল (আজ) ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে এই আসরে আসলে এশিয়াই টিকে থাকবে। নয়তো আমাদের আর কী থাকে এখানে!
ভারতের পর সেমিফাইনালে বাংলাদেশকেও আশা করা হয়েছিল। মাশরাফিদের এখন ঘরে বসেই দেখতে হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম সেমিফাইনাল। হয়তো মনে মনে কেউ আফসোস করবেন, ভেবে ফেলবেন দীর্ঘশ্বাস। আজ ফাইনালে যাওয়ার ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমরা আগের চেয়ে ভালো করতে মুখিয়ে আছি। এই মুহূর্তে আমরা যা করছি তাই করে যাওয়াটা দরকার।’
ম্যানেচেষ্টারের প্রায় প্রতিটি শহরে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী পাকিস্তানির বসবাস। স্মৃতি শক্তি হারিয়ে গেলে আপনি নির্ধিধায় এটিকে পাকিস্তানের কোন এলাকা বলেও মনে করে বসবেন। এরপরই ভারতীয়দের অবস্থান। বাংলাদেশিদের পর শ্রীলঙ্কানও কম নয়। বলতে পারেন এশিয়ার বড় একটা অংশই এই এলাকাতে ডেরা বেঁধেছে। তাই ট্যাক্সিতে উঠলে বা কোনো হোটেলে খেতে গেলে, এমনকি বাজারগুলোতে গেলেও এই তিন দেশের মানুষ পাবেনই। তাই ফুটবল পাগল এই শহরে ক্রিকেটের গল্প কানে আসবে তাতে কোনো ভুল নেই। হোটেল থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে ট্যাক্সি ড্রাইভার সর্দার আজিজ আলম পাকিস্তানের প্রতি রাগ ঝাড়লেন। বাংলাদেশের জন্য আফসোস করলেন অনেকক্ষণ ও ভারতের জন্য শুভকামনাও জানালেন। বলেন, ‘কি বলবো পাকিস্তান নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা হেরে গেল! আগের দিন রাতে সিসা পার্টি করে। করবে না কেন বৃষ্টির কথা ভেবে খেলাতেই মন দেয়নি। শৃঙ্খলা নেই, ঘুরে বেড়াতে এসেছিল ইংল্যান্ডে। সেমিফাইনালে যায়নি শিক্ষা হয়েছে। আর তোমাদের বাংলাদেশতো দারুণ খেলেছে। সাকিব, কী অসাধারণ ক্রিকেটার। একটা সাকিব যদি থাকতো আমাদের। তোমরা মন খরাপ করো না! পাকিস্তান ও ভারতের তুলনাতে তোমরা কত বছর হলো খেল! সেই তুলনাতে অনেক ভালো করছো। ভারততো তোমাদের এখন ভয়ই পায়। যাই হোক এখন সেমিতে ভারত খেলবে। তাদের জন্য শুভকামনা রইলো। জিতলে এশিয়াতে থাকবে অন্তত।
অন্যদিকে ভারতের প্রার্থনা আজ ম্যানচেষ্টারে যেন ফিরে না আসে ১৯৭৫ বিশ্বকাপের স্মৃতি। প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম দেখাতে ভারতকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর আরো ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে ২০০৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেখানে ভারতের জয় মাত্র ৩টি। সব শেষ জয়টা এসেছে ১২ বছর আগে বিশ্বকাপে শেষ দেখাতেই। তাই আজ শুধু ভারতের জন্য বিশ্বকাপে টিকে থাকার মিশনই নয় মার্যাদার লড়াইও। গতকাল ছিল ভারত দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। সেখানে ভারতের এক প্রবীণ সংবাদিককে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ‘বিশ্বাসতো রাখো, দেখি কি হয়।’ ভারতের অধিনায়কের পিছনে পিছনে তখন চার দেশের সংবাদকর্মীরা ছুটছেন। মাঠে অনুশীলন করতে থাকা কুলদীপ যাদব চিৎকার করে বলেন, সব মিডিয়া নিয়ে মাঠে চলে এলেন!
ভারতের ১৫ ক্রিকেটারের মধ্যে এদিন মাত্র ৯ জনই অনুশীলনে আসেন। যারা আসেননি তাদের মধ্যে অন্যতম রোহিত শর্মা। যাকে নিয়ে ভয় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনেরও। ভয় পাবেন না কেন! ৮ ম্যাচে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন। সেই সঙ্গে একটি ফিফটি। ৯২.৪২ গড়ে ৬৪৭ রান করে এই বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে।
No comments