‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বৃটেন’
রোহিঙ্গা
ইস্যুতে বরাবরের মতো বৃটেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। পুঞ্জীভূত এ সংকটের
একটি স্থায়ী সমাধান পেতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন এবং
রাখাইনে গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক
আদালতেও সক্রিয় থাকবে বৃটেন। ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট
চ্যাটারসন ডিকসন এমনটা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের
সরকার প্রধানের আলোচনার বিষয়ে ইতিবাচক খবর বেরিয়েছে। ফলে বৃটেন আশা করে
নিরাপত্তা পরিষদেও চীনের অবস্থানে পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সংকট
সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনতে বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স
চেষ্টা করলেও চীনের ভেটোতে তা আটকে যায়। বেইজিং চায় এ নিয়ে
বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধান আসুক। তারা বিষয়টি
আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধী।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ডিকসন এসব কথা বলেন। ডিকাব-এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ডিকাব-টকে বৃটিশ দূত রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও মুক্ত মতের চর্চা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগের পরিবেশ এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকট এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশের অবস্থান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরতের ক্ষেত্রে সমপ্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে যে আলোচনা হয়েছে, সেটা উৎসাহব্যঞ্জক। আমরা পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে পড়েছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইবো। এ সমস্যা সমাধানে চীনের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে ডিকসন বলেন, পুঞ্জীভূত ওই সংকটের টেকসই সমাধান হতে হবে এবং দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় চায়, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফিরে যাক। আমাদের সবার সেই লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।
রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনের ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিকাব সভাপতি রাহীদ এজাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।
কার্যকর গণতন্ত্রে মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি: বৃটিশ দূত তার বক্তব্যে মিডিয়া ফ্রিডম বিষয়ে বলেন, এটা গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। তার ভাষায়- কার্যকর গণতন্ত্রে মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে জোর কদমে ধাবমান বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা বড় বেশি প্রয়োজন। তাদের কথা বলার সুযোগ অবারিত করা দরকার। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কথা শোনা জরুরি। এর মধ্য দিয়ে তাদের আইডিয়া যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মিলবে। একই সঙ্গে তাদের হতাশার বিষয়গুলোও ধরা পড়বে। তবে এ মুক্ত মতের চর্চাও হতে হবে আইন মেনে, আইনের আওতায়। হাইকমিশনার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুক্ত মতের চর্চা প্রসঙ্গে বলেন, সরকারগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানো ও সচেতনভাবে জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেকোনো বিষয়ে মুক্ত আলোচনা এবং বিতর্কের সুযোগ থাকা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে একটি দেশের জনগণকে সক্রিয়, সচেতন, সৃজনশীল ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তুলতে। বৃটিশ দূত বলেন, লন্ডনে আমরা কানাডার সহযোগিতায় মিডিয়া ফ্রিডম নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ১০ ও ১১ই জুলাইয়ের ওই আয়োজনে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও অংশ নিচ্ছেন। লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত সরকারের অনুরোধ বৃটেন বিবেচনা করবে কিনা- এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি বৃটেনের আদালতের আওতাধীন। এতে দেশটির সরকার বা প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই। পূর্বসূরিদের মতো ডিকসনও তারেক রহমানের নাম না নিয়েই বলেন, কোনো ব্যক্তিবিশেষের স্ট্যাটাস (বসবাসের অবস্থা বা অবস্থানের) বিষয়ে মন্তব্য করা আমরা সমীচীন মনে করি না। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বৃটেনের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে- বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বৃটিশ দূত সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে প্রেস ফ্রিডম সংক্রান্ত বৈশ্বিক সূচক বা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এ থেকে তার দেশের অবস্থার বিষয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ভালো ধারণা পেতে পারেন বলে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যম বিষয়ক ইনডেক্সে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম। আর বৃটেনের অবস্থান ৩৩তম। বৃটিশ দূত উল্লেখ করেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার বৃটেন। দু’দেশে গত বছর বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বৃটেনে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বিশেষ সুবিধা রয়েছে জানিয়ে হাইকমিশনার বাংলাদেশে বৃটিশ বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের আহ্বান জানান। তার মতে, এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তার দেশের কোম্পানিগুলোরও আগ্রহ রয়েছে। তিনি নিজেও তাদের উৎসাহিত করেন। কিন্তু বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ খুবই জটিল। এ ছাড়া বৃটেন থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ৬ষ্ঠতম অবস্থানে রয়েছে বৃটেন। সার্বিক বিবেচনায় ঢাকা-লন্ডন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ডিকসন এসব কথা বলেন। ডিকাব-এর ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ডিকাব-টকে বৃটিশ দূত রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও মুক্ত মতের চর্চা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগের পরিবেশ এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকট এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশের অবস্থান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরতের ক্ষেত্রে সমপ্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে যে আলোচনা হয়েছে, সেটা উৎসাহব্যঞ্জক। আমরা পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে পড়েছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইবো। এ সমস্যা সমাধানে চীনের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে ডিকসন বলেন, পুঞ্জীভূত ওই সংকটের টেকসই সমাধান হতে হবে এবং দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় চায়, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফিরে যাক। আমাদের সবার সেই লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।
রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনের ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিকাব সভাপতি রাহীদ এজাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।
কার্যকর গণতন্ত্রে মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি: বৃটিশ দূত তার বক্তব্যে মিডিয়া ফ্রিডম বিষয়ে বলেন, এটা গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। তার ভাষায়- কার্যকর গণতন্ত্রে মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে জোর কদমে ধাবমান বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা বড় বেশি প্রয়োজন। তাদের কথা বলার সুযোগ অবারিত করা দরকার। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কথা শোনা জরুরি। এর মধ্য দিয়ে তাদের আইডিয়া যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মিলবে। একই সঙ্গে তাদের হতাশার বিষয়গুলোও ধরা পড়বে। তবে এ মুক্ত মতের চর্চাও হতে হবে আইন মেনে, আইনের আওতায়। হাইকমিশনার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুক্ত মতের চর্চা প্রসঙ্গে বলেন, সরকারগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানো ও সচেতনভাবে জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেকোনো বিষয়ে মুক্ত আলোচনা এবং বিতর্কের সুযোগ থাকা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে একটি দেশের জনগণকে সক্রিয়, সচেতন, সৃজনশীল ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তুলতে। বৃটিশ দূত বলেন, লন্ডনে আমরা কানাডার সহযোগিতায় মিডিয়া ফ্রিডম নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ১০ ও ১১ই জুলাইয়ের ওই আয়োজনে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও অংশ নিচ্ছেন। লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত সরকারের অনুরোধ বৃটেন বিবেচনা করবে কিনা- এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি বৃটেনের আদালতের আওতাধীন। এতে দেশটির সরকার বা প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই। পূর্বসূরিদের মতো ডিকসনও তারেক রহমানের নাম না নিয়েই বলেন, কোনো ব্যক্তিবিশেষের স্ট্যাটাস (বসবাসের অবস্থা বা অবস্থানের) বিষয়ে মন্তব্য করা আমরা সমীচীন মনে করি না। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বৃটেনের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে- বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বৃটিশ দূত সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে প্রেস ফ্রিডম সংক্রান্ত বৈশ্বিক সূচক বা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এ থেকে তার দেশের অবস্থার বিষয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ভালো ধারণা পেতে পারেন বলে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যম বিষয়ক ইনডেক্সে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম। আর বৃটেনের অবস্থান ৩৩তম। বৃটিশ দূত উল্লেখ করেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার বৃটেন। দু’দেশে গত বছর বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বৃটেনে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বিশেষ সুবিধা রয়েছে জানিয়ে হাইকমিশনার বাংলাদেশে বৃটিশ বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের আহ্বান জানান। তার মতে, এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তার দেশের কোম্পানিগুলোরও আগ্রহ রয়েছে। তিনি নিজেও তাদের উৎসাহিত করেন। কিন্তু বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ খুবই জটিল। এ ছাড়া বৃটেন থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ৬ষ্ঠতম অবস্থানে রয়েছে বৃটেন। সার্বিক বিবেচনায় ঢাকা-লন্ডন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments