‘ক্রীতদাস’ প্রথা ভারতে! ৯ বছর পর যেভাবে মুক্তি মিলল তরুণীর
সম্প্রতি
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করা
হয়েছে। এই তরুণীর মুখ থেকেই জানা গেছে তার জীবনের করুণ অভিজ্ঞতার কথা। পূজা
নামের এই তরুণী আসামের বাসিন্দা। তাকে ৯ বছর আগে ৭ বছর বয়সে দালালের
মাধ্যমে অরুণাচলে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার মাধ্যমে জানা গেছে,
অরুণাচলে চলছে শ্রমিক কেনাবেচার বাজার। এতে অরুণাচলসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের
বিভিন্ন রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বিউটি পার্লারে কাজ দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসামের বিশ্বনাথ জেলার বিহালি থেকে চা-শ্রমিক পরিবারের সাত বছরের মেয়ে পূজাকে বাবা-মার কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিল দালালরা। প্রথমে তাকে দাপোরিজোয়ের এক পরিবারে বিক্রি করা হয়। কিছুদিন সেখানে পরিচারিকার কাজ করে পূজা। পরে ওই পরিবার তাকে চীন সীমান্ত ঘেঁষা টাকসিঙে অন্য এক পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়। দুর্গম ওই এলাকা থেকে পালিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। ঘরের কাজের পাশাপাশি জুম চাষ ও সেনাবাহিনীর রসদ পৌঁছনোর কাজ করতে হতো তাকে।
পূজা জানায়, স্থানীয় ঠিকাদাররা ওই এলাকায় সেনা সদস্যদের রেশন পৌঁছে দেওয়া, রাস্তা সারানোর কাজ করা, সেনা-বাঙ্কার তৈরি করার কাজে এমন শ্রমিকদেরই নিয়োজিত করে। এখানে কিশোর ও যুবকদের দর বেশি, ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা। কিশোরী হলে ৫-৬ হাজার। চেহারা বুঝে তরুণীদের দর ৫০ হাজার টাকাও ছাড়ায়। তাদের উপরে যৌন নির্যাতনও চলে। ক্রীতদাস ও ক্রীতদাসীরা কোনও হাতখরচা পায় না, শুধু খেতে পায়। কৈশোর থেকে যৌবন পর্যন্ত ২-৩ বার বিক্রি হয় তারা।
পূজার বক্তব্য, ৯ বছর টাকসিঙে কাজ করেছে সে। আসাম থেকে বিক্রি হওয়া অন্য তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সেনা শিবিরে রেশন বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘ক্রীতদাস’ রাজীব গগৈয়ের সঙ্গে আলাপ হয় তার। পূজা তাকে গোপনে বাড়ির ঠিকানা জানায়। সম্প্রতি রাজীব পালিয়ে আসামে চলে আসে। বিশ্বনাথে এসে পূজার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের চেষ্টায় ২ জুলাই পূজাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
পূজা জানায়, ওই এলাকায় আসামের পঞ্চাশেরও বেশি ছেলেমেয়ে এখন কাজ করছে। চা-শ্রমিক সংগঠনের দাবি, লখিমপুর, ধেমাজি, শোণিতপুর, বিশ্বনাথ জেলার বহু ছেলেমেয়ে অরুণাচলে বহু ধনী পরিবারে ‘ক্রীতদাস’ হয়ে আছে জেনেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না।
পুলিশ বলছে, বেশির ভাগ পরিবারই কোনও এফআইআর করে না। অনেকে স্বেচ্ছায় টাকা নিয়েও ছেলেমেয়েদের অরুণাচলে পাঠায়।
এদিকে, আসাম শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনীতা চাংকাকতি বলেন, যেহেতু দুই রাজ্যের বিষয়, সে কারণে জাতীয় কমিশনকে জানিয়েছি। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।
জানা গেছে, বিউটি পার্লারে কাজ দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসামের বিশ্বনাথ জেলার বিহালি থেকে চা-শ্রমিক পরিবারের সাত বছরের মেয়ে পূজাকে বাবা-মার কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিল দালালরা। প্রথমে তাকে দাপোরিজোয়ের এক পরিবারে বিক্রি করা হয়। কিছুদিন সেখানে পরিচারিকার কাজ করে পূজা। পরে ওই পরিবার তাকে চীন সীমান্ত ঘেঁষা টাকসিঙে অন্য এক পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়। দুর্গম ওই এলাকা থেকে পালিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। ঘরের কাজের পাশাপাশি জুম চাষ ও সেনাবাহিনীর রসদ পৌঁছনোর কাজ করতে হতো তাকে।
পূজা জানায়, স্থানীয় ঠিকাদাররা ওই এলাকায় সেনা সদস্যদের রেশন পৌঁছে দেওয়া, রাস্তা সারানোর কাজ করা, সেনা-বাঙ্কার তৈরি করার কাজে এমন শ্রমিকদেরই নিয়োজিত করে। এখানে কিশোর ও যুবকদের দর বেশি, ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা। কিশোরী হলে ৫-৬ হাজার। চেহারা বুঝে তরুণীদের দর ৫০ হাজার টাকাও ছাড়ায়। তাদের উপরে যৌন নির্যাতনও চলে। ক্রীতদাস ও ক্রীতদাসীরা কোনও হাতখরচা পায় না, শুধু খেতে পায়। কৈশোর থেকে যৌবন পর্যন্ত ২-৩ বার বিক্রি হয় তারা।
পূজার বক্তব্য, ৯ বছর টাকসিঙে কাজ করেছে সে। আসাম থেকে বিক্রি হওয়া অন্য তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সেনা শিবিরে রেশন বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘ক্রীতদাস’ রাজীব গগৈয়ের সঙ্গে আলাপ হয় তার। পূজা তাকে গোপনে বাড়ির ঠিকানা জানায়। সম্প্রতি রাজীব পালিয়ে আসামে চলে আসে। বিশ্বনাথে এসে পূজার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের চেষ্টায় ২ জুলাই পূজাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
পূজা জানায়, ওই এলাকায় আসামের পঞ্চাশেরও বেশি ছেলেমেয়ে এখন কাজ করছে। চা-শ্রমিক সংগঠনের দাবি, লখিমপুর, ধেমাজি, শোণিতপুর, বিশ্বনাথ জেলার বহু ছেলেমেয়ে অরুণাচলে বহু ধনী পরিবারে ‘ক্রীতদাস’ হয়ে আছে জেনেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না।
পুলিশ বলছে, বেশির ভাগ পরিবারই কোনও এফআইআর করে না। অনেকে স্বেচ্ছায় টাকা নিয়েও ছেলেমেয়েদের অরুণাচলে পাঠায়।
এদিকে, আসাম শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনীতা চাংকাকতি বলেন, যেহেতু দুই রাজ্যের বিষয়, সে কারণে জাতীয় কমিশনকে জানিয়েছি। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।
No comments