প্রসঙ্গ তারেককে ফেরৎ পাঠানো: বৃটিশ দূত বললেন, এটি আদালতের বিষয়
লন্ডনে
বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো নিয়ে
সরকারের অনুরোধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাই
কমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিকসন বলেছেন বিষয়টি বৃটেনের আদালতের আওতাধীন।
এতে দেশটির সরকার বা প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই। পূর্বসূরীদের মত ডিকসনও
তারেক রহমানের নাম না নিয়ে বলেন, কোন ব্যক্তি বিশেষের স্ট্যাটাস (বসবাসের
অবস্থা বা অবস্থানের) বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না। সোমবার কূটনৈতিক
সংবাদদাতা সমিতি ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার ডিকসন এসব
কথা বলেন। ডিকাবের ফ্লাগশিপ প্রোগ্রাম ডিকাব-টকে বৃটিশ দূত উল্লেখিত বিষয়
ছাড়াও রোহিঙ্গা সঙ্কট, মুক্তমতের চর্চা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দ্বিপক্ষীয়
বাণিজ্য, বিনিয়োগের পরিবেশ এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন।
রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড
স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও
সঞ্চালনা করেন ডিকাব সভাপতি রাহীদ এজাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ
সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং চীনসহ বিভিন্ন
দেশের অবস্থান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে হাই কমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের
ফেরতের ক্ষেত্রে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও মালয়েশিয়ার
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে যে আলোচনা হয়েছে, সেটা উৎসাহব্যঞ্জক।
আমরা পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে পড়েছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে আরও কিছু জানতে চাইবো। এ সমস্যা সমাধানে চীনের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে ডিকসন বলেন, পুঞ্জিভূত ওই সঙ্কটের টেকসই সমাধান হতে হবে এবং দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। তবে অন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায়, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফিরে যাক। আমাদের সবার সেই লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। বৃটিশ দূত তার বক্তব্যে মিডিয়া ফ্রিডম বিষয়ে বলেন, এটা গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। তার ভাষায়Ñ কার্যকর গণতন্ত্রে মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে জোর কদমে ধাবমান বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা বড় বেশী প্রয়োজন। তাদের কথা বলার সূযোগ অবারিত করা দরকার। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কথা শোনা জরুরি। এর মধ্য দিয়ে তাদের আইডিয়া যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মিলবে। একই সঙ্গে তাদের হতাশার বিষয়গুলোও ধরা পড়বে। তবে এ মুক্ত মতের চর্চাও হতে হবে আইন মেনে, আইনের আওতায়। হাই কমিশনার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুক্তমতের চর্চা প্রসঙ্গে বলেন, সরকারগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানো ও সচেতনভাবে জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যে কোন বিষয়ে মুক্ত আলোচনা এবং বিতর্কের সূযোগ থাকা জরুরি। তিনি উল্লেখ করে স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে একটি দেশের জনগণকে সক্রিয়, সচেতন, সৃজনশীল ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তুলতে। বৃটিশ দূত বলেন, লন্ডনে আমরা কানাডার সহযোগিতায় মিডিয়া ফ্রিডম নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ১০ ও ১১ জুলাই’র ওই আয়োজনে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও অংশ নিচ্ছেন।
আমরা পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে পড়েছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে আরও কিছু জানতে চাইবো। এ সমস্যা সমাধানে চীনের সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে ডিকসন বলেন, পুঞ্জিভূত ওই সঙ্কটের টেকসই সমাধান হতে হবে এবং দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। তবে অন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায়, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফিরে যাক। আমাদের সবার সেই লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। বৃটিশ দূত তার বক্তব্যে মিডিয়া ফ্রিডম বিষয়ে বলেন, এটা গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। তার ভাষায়Ñ কার্যকর গণতন্ত্রে মুক্ত মতের চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে জোর কদমে ধাবমান বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা বড় বেশী প্রয়োজন। তাদের কথা বলার সূযোগ অবারিত করা দরকার। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কথা শোনা জরুরি। এর মধ্য দিয়ে তাদের আইডিয়া যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মিলবে। একই সঙ্গে তাদের হতাশার বিষয়গুলোও ধরা পড়বে। তবে এ মুক্ত মতের চর্চাও হতে হবে আইন মেনে, আইনের আওতায়। হাই কমিশনার বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুক্তমতের চর্চা প্রসঙ্গে বলেন, সরকারগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানো ও সচেতনভাবে জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যে কোন বিষয়ে মুক্ত আলোচনা এবং বিতর্কের সূযোগ থাকা জরুরি। তিনি উল্লেখ করে স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে একটি দেশের জনগণকে সক্রিয়, সচেতন, সৃজনশীল ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তুলতে। বৃটিশ দূত বলেন, লন্ডনে আমরা কানাডার সহযোগিতায় মিডিয়া ফ্রিডম নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ১০ ও ১১ জুলাই’র ওই আয়োজনে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও অংশ নিচ্ছেন।
No comments