বসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, অতঃপর...
বসের
যৌন হয়রানির বিষয় প্রকাশ করে উল্টো ফেঁসে গেলেন ইন্দোনেশিয়ার এক নারী বাইক
নুরিল মাকনুন। আদালত তাকেই জেল ও জরিমানা করেছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি
আপিল করেছিলেন। তাতেও হেরে গেছেন। গত বৃহস্পতিবার তার আপিল প্রত্যাখ্যান করে
আদালত। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এতে বলা হয়েছে, তার বস লোমবাক দ্বীপের মাতারাকের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাকনুন তার কাছ থেকে যৌন হয়রানিমুলক ফোন পাওয়ার অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এমন একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য দায়ী করা হয় মাকনুনকে। তাকে গত বছর অশ্লীল তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে ৬ মাসের জেল ও ৩৪০০০ ডলার জরিমানা করা হয়। বলা হয়, তিনি দেশটিতে বিদ্যমান একটি বিতর্কিত আইন লঙ্ঘন করেছেন। তার এই শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মাকনুন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বলেছে, তিনি নতুন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে মাকনুনকে এখন ওই শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং জরিমানা দিতে হবে।
এ বিষয়ে আদালতের মুখপাত্র আবদুল্লাহ বলেছেন, তার আপিল খারিজ হয়েছে। কারণ, তিনি যে অপরাধ করেছেন তা আইনগতভাবে এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মাকনুনের এ মামলাটি ২০১২ সালের। ওই সময় তিনি ওই স্কুলে চাকরি করতেন। তখন আরেকজন সহকর্মীর সঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রেমঘটিত সম্পর্ক নিয়ে রগরগে যৌনতা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মাকনুনের। এতে উঠে এসেছে ওই সম্পর্কের বিস্তারিত বিষয়। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এ কথোপকথন তিনি রেকর্ড করেছেন। প্রথমে এ অভিযোগ থেকে মাকনুনকে দায়মুক্তি দেয় স্থানীয় একটি আদালত। কিন্তু দেশটির শীর্ষ আদালত এই রায়কে পর্যালোচনা করেন। তাতে ইলেক্ট্রনিক তথ্য আইন তিনি লঙ্ঘন করেছেন বলে মাকনুনকে দোষী করা হয়।
ওদিকে বৃহস্পতিবার আইনী লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর মাকনুনের আইনজীবী জোকো জুমাদি বলেছেন, সর্বশেষ রায়ে তার মক্কেল হতাশ। তবু তিনি লড়াই বন্ধ করবেন না। কারণ, তিনি যদি লড়াই বন্ধ করেন তাহলে অন্য যারা এমন যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের কথা বলার সাহস থাকবে না। আইনজীবী আরো বলেন, আমরা আইনি সব ব্যবস্থা অনুসরণ করবো। এখন এ বিষয়ে আমরা প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো’র দ্বারস্থ হবো।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মাকনুনের মামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো। তিনি বলেছেন, যদি সুপ্রিম কোর্টে তার আপিল প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে মাকনুনের উচিত হবে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কথা বুঝিয়েছেন। ওদিকে মাকনুনের শাস্তির বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।
এতে বলা হয়েছে, তার বস লোমবাক দ্বীপের মাতারাকের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাকনুন তার কাছ থেকে যৌন হয়রানিমুলক ফোন পাওয়ার অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এমন একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য দায়ী করা হয় মাকনুনকে। তাকে গত বছর অশ্লীল তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে ৬ মাসের জেল ও ৩৪০০০ ডলার জরিমানা করা হয়। বলা হয়, তিনি দেশটিতে বিদ্যমান একটি বিতর্কিত আইন লঙ্ঘন করেছেন। তার এই শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মাকনুন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বলেছে, তিনি নতুন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে মাকনুনকে এখন ওই শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং জরিমানা দিতে হবে।
এ বিষয়ে আদালতের মুখপাত্র আবদুল্লাহ বলেছেন, তার আপিল খারিজ হয়েছে। কারণ, তিনি যে অপরাধ করেছেন তা আইনগতভাবে এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মাকনুনের এ মামলাটি ২০১২ সালের। ওই সময় তিনি ওই স্কুলে চাকরি করতেন। তখন আরেকজন সহকর্মীর সঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রেমঘটিত সম্পর্ক নিয়ে রগরগে যৌনতা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মাকনুনের। এতে উঠে এসেছে ওই সম্পর্কের বিস্তারিত বিষয়। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এ কথোপকথন তিনি রেকর্ড করেছেন। প্রথমে এ অভিযোগ থেকে মাকনুনকে দায়মুক্তি দেয় স্থানীয় একটি আদালত। কিন্তু দেশটির শীর্ষ আদালত এই রায়কে পর্যালোচনা করেন। তাতে ইলেক্ট্রনিক তথ্য আইন তিনি লঙ্ঘন করেছেন বলে মাকনুনকে দোষী করা হয়।
ওদিকে বৃহস্পতিবার আইনী লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর মাকনুনের আইনজীবী জোকো জুমাদি বলেছেন, সর্বশেষ রায়ে তার মক্কেল হতাশ। তবু তিনি লড়াই বন্ধ করবেন না। কারণ, তিনি যদি লড়াই বন্ধ করেন তাহলে অন্য যারা এমন যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের কথা বলার সাহস থাকবে না। আইনজীবী আরো বলেন, আমরা আইনি সব ব্যবস্থা অনুসরণ করবো। এখন এ বিষয়ে আমরা প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো’র দ্বারস্থ হবো।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মাকনুনের মামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো। তিনি বলেছেন, যদি সুপ্রিম কোর্টে তার আপিল প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে মাকনুনের উচিত হবে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কথা বুঝিয়েছেন। ওদিকে মাকনুনের শাস্তির বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।
No comments