আমেরিকার তাবেদার ইউরোপীয় দেশগুলোর নিজস্ব স্বাধীনতা নেই: ইরান
সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি |
ইরানের
উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, তার দেশের সঙ্গে
সাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক সদিচ্ছা
নেই এবং তারা এ সমঝোতা বাস্তবায়নের কাজে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়।
তিনি গত রোববার তেহরান সফররত ব্রিটিশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু মুরিসনের
সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।
আরাকচি পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে তার দেশকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ইউরোপের মারাত্মক গড়িমসির কথা তুলে ধরে বলেন, দুঃখজনকভাবে পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে ইরান ও ইউরোপের দায়িত্ব ও অধিকারের মধ্যে কোনো ভারসাম্য নেই।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানের সঙ্গে লেনদেন করার সাহস দেখাতে পারছে না এবং এর অর্থ হচ্ছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর কার্যত কোনো স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব নেই। আমেরিকার নির্দেশ অমান্য করে তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।
মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীর ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার আমেরিকার ইরান-বিরোধী অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে যে বক্তব্য দিচ্ছে সেকথা উল্লেখ করে আরাকচি তার ব্রিটিশ সমকক্ষকে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ব্রেক্সিট নিয়ে লন্ডন এত বেশি ব্যস্ত রয়েছে যে, বিশ্বের ঘটনাবলী সম্পর্কে সঠিক বিশ্লেষণ করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ মন্ত্রীকে বলেন, লন্ডনের এ ধরনের আচরণের ফলে ইরানি জনগণের মনে ব্রিটেন সম্পর্কে যে ঘৃণা রয়েছে তার মাত্রা আরো বেড়ে যাবে।
সাক্ষাতে ব্রিটিশ মন্ত্রী দাবি করেন, তার দেশসহ সবগুলো ইউরোপীয় দেশ ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি অটল রয়েছে এবং তেহরানও যেন এ সমঝোতায় অটল থাকে। মুরিসন এমন সময় এ দাবি করলেন যখন ইউরোপীয় দেশগুলো মুখে অটল থাকার কথা দাবি করা ছাড়া এ সমঝোতা রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরাকচি পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে তার দেশকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ইউরোপের মারাত্মক গড়িমসির কথা তুলে ধরে বলেন, দুঃখজনকভাবে পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে ইরান ও ইউরোপের দায়িত্ব ও অধিকারের মধ্যে কোনো ভারসাম্য নেই।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানের সঙ্গে লেনদেন করার সাহস দেখাতে পারছে না এবং এর অর্থ হচ্ছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর কার্যত কোনো স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব নেই। আমেরিকার নির্দেশ অমান্য করে তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।
মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীর ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার আমেরিকার ইরান-বিরোধী অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে যে বক্তব্য দিচ্ছে সেকথা উল্লেখ করে আরাকচি তার ব্রিটিশ সমকক্ষকে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ব্রেক্সিট নিয়ে লন্ডন এত বেশি ব্যস্ত রয়েছে যে, বিশ্বের ঘটনাবলী সম্পর্কে সঠিক বিশ্লেষণ করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ মন্ত্রীকে বলেন, লন্ডনের এ ধরনের আচরণের ফলে ইরানি জনগণের মনে ব্রিটেন সম্পর্কে যে ঘৃণা রয়েছে তার মাত্রা আরো বেড়ে যাবে।
সাক্ষাতে ব্রিটিশ মন্ত্রী দাবি করেন, তার দেশসহ সবগুলো ইউরোপীয় দেশ ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি অটল রয়েছে এবং তেহরানও যেন এ সমঝোতায় অটল থাকে। মুরিসন এমন সময় এ দাবি করলেন যখন ইউরোপীয় দেশগুলো মুখে অটল থাকার কথা দাবি করা ছাড়া এ সমঝোতা রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
রোববার তেহরানে আরাকচির সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুরিসন |
No comments