খালেদা জিয়া কী শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন?
গত
১৬ মাস ধরে কারাগারে আটক খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে, ১ এপ্রিল থেকে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি
প্রধান।
তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৩৬। ৩৪টি মামলায় মিলেছে জামিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত দুই মামলায়ও মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন খালেদা।
যে দুই মামলায় খালেদা জিয়া জামিনের অপেক্ষায় আছেন তা হলো, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে ওই মামলায় তাঁর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড দেন খালেদা জিয়াকে।
খালেদ জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, 'খালেদা জিয়ার আর মাত্র দুইটি মামলায় জামিন বাকি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে এবং সরকার কোনো হস্তক্ষেপ না করলে, আইন বহির্ভূত কোনো কাজ না করে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসতে পারবেন খালেদা জিয়া।' সরকার আগেও খালেদা জিয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, 'আগামী রবিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আবার জামিনের কথা উল্লেখ করবো। জামিনের আবেদন আগেই করা আছে। দুই মাস সময় নেওয়া হয়েছিল শুনানির জন্য। সেই সময় এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এটি শেষ হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিনের বিষয়টিও এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে নিস্পত্তি হয়ে যাবে আশা করি।'
হাইকোর্ট ডিভিশনে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির শুনানি ৩০ জুনের পর হওয়ার কথা। আদালত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে নথি তলব করেছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে নথি না আসলেও জামিন শুনানির কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি রয়েছে আপিল বিভাগে। ওই মামলায় সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর থেকে ১০ বছর করায় আবার জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সাজা বাড়ানোর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামিনেরও আবেদন রয়েছে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, 'আইনি প্রক্রিয়ায় এই দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।' খালেদা জিয়ার মামলা আর জামিন সম্পর্কে মন্তব্য করতে নারাজ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।'
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলে আমাদের কিছু করার নেই।' তিনি বলেন, 'বিএনপি জানে, খালেদা জিয়া অপরাধ করেছেন। তাই তাঁরা নানা কথা বলছেন। জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি অপরাধী।'
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলার মধ্যে ২১টি আদালতের নির্দেশে স্থগিত। ১৩টি মামলা বিচারাধীন। আর দুইটি মামলায় দণ্ড হয়েছে তাঁর।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৩৬। ৩৪টি মামলায় মিলেছে জামিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত দুই মামলায়ও মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন খালেদা।
যে দুই মামলায় খালেদা জিয়া জামিনের অপেক্ষায় আছেন তা হলো, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে ওই মামলায় তাঁর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড দেন খালেদা জিয়াকে।
খালেদ জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, 'খালেদা জিয়ার আর মাত্র দুইটি মামলায় জামিন বাকি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে এবং সরকার কোনো হস্তক্ষেপ না করলে, আইন বহির্ভূত কোনো কাজ না করে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসতে পারবেন খালেদা জিয়া।' সরকার আগেও খালেদা জিয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, 'আগামী রবিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আবার জামিনের কথা উল্লেখ করবো। জামিনের আবেদন আগেই করা আছে। দুই মাস সময় নেওয়া হয়েছিল শুনানির জন্য। সেই সময় এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এটি শেষ হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিনের বিষয়টিও এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে নিস্পত্তি হয়ে যাবে আশা করি।'
হাইকোর্ট ডিভিশনে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির শুনানি ৩০ জুনের পর হওয়ার কথা। আদালত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে নথি তলব করেছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে নথি না আসলেও জামিন শুনানির কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি রয়েছে আপিল বিভাগে। ওই মামলায় সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর থেকে ১০ বছর করায় আবার জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সাজা বাড়ানোর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামিনেরও আবেদন রয়েছে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, 'আইনি প্রক্রিয়ায় এই দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।' খালেদা জিয়ার মামলা আর জামিন সম্পর্কে মন্তব্য করতে নারাজ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।'
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছেন। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলে আমাদের কিছু করার নেই।' তিনি বলেন, 'বিএনপি জানে, খালেদা জিয়া অপরাধ করেছেন। তাই তাঁরা নানা কথা বলছেন। জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি অপরাধী।'
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলার মধ্যে ২১টি আদালতের নির্দেশে স্থগিত। ১৩টি মামলা বিচারাধীন। আর দুইটি মামলায় দণ্ড হয়েছে তাঁর।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
No comments