সুন্দরবন নিয়ে দেনদরবার by দীন ইসলাম
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বাংলাদেশের সুন্দরবনকে ঝুঁকিতে থাকা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ইউনেস্কো। সুন্দরবনের কোলঘেঁষে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজের কারণে সমপ্রতি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ আইইউসিএনের পরামর্শ অনুযায়ী ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির কাছে এই সুপারিশ করেছে ইউনেস্কো। এ সুপারিশ প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ আইইউসিএনের সদস্যদের ২৪ ও ২৫ শে জুন ব্রিফ করা হচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (বর্তমানে রাজউক চেয়ারম্যান) ড. সুলতান আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখন ফ্রান্স অবস্থান করছেন। কমিটি সদস্যদের সঙ্গে তারা একটি ব্রিফিং সেশনে অংশ নিচ্ছেন। বিষয়গুলো মনিটরিং করছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বার্ষিক সভা আগামী ৩০শে জুন থেকে ১০ই জুলাই পর্যন্ত আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওই সভায় সুন্দরবন নিয়ে ইউনেস্কোর সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বার্ষিক সভায়ও বাংলাদেশ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাকবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্রান্স থেকে উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলটি ২৬ শে জুন রাতে ফিরবে। এরপর ১লা জুলাই আবার আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এদিকে প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ দাবি করছে, রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাস সুন্দরবনকে বিপদাপন্ন করবে। এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন গত ৭ই জুন আইইউসিএনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এরপরই সরকারের তৎপরতা শুরু হয়। এর আগে সুন্দরবনকে ১৯৯৯ সালে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইউনেস্কো। তবে শুরু থেকেই সুন্দরবনের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল জাতিসংঘের এ সংস্থাটি। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ও আইইউসিএনের একটি যৌথ পর্যবেক্ষণের পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার প্রস্তাব দিয়েছিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে অন্য কোথাও নির্মাণের। এ ছাড়া সংস্থাটি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল সুন্দরবনকে সম্ভাব্য পরিবেশগত বিপদ থেকে সুরক্ষা দিতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে। তবে সরকার সবসময় দাবি করে আসছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনকে বিপদাপন্ন করবে না। কিন্তু তা মানতে পারেনি ইউনেস্কো। শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট ইউনেস্কো লোনাপানির এ বনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির পর্যালোচনায় বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর ইউনেস্কোর কাছে সুন্দরবন রক্ষায় নেওয়া উদ্যোগগুলো চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, সুন্দরবনের চারপাশে কোনো শিল্পকারখানার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটি কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা প্রতিবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। সুন্দরবনের মিষ্টি পানির প্রবাহ বাড়াতে গড়াই নদ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বাঘ রক্ষায় একটি কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করেছে। ইউনেস্কোর নথিতে বলা হয়, বিশ্ব ঐতিহ্য মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরবনের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তার কোনো মূল্যায়ন না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবাহিত পায়রা নদীর ওপর দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। এতেও সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ওই সভায় সুন্দরবন নিয়ে ইউনেস্কোর সুপারিশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বার্ষিক সভায়ও বাংলাদেশ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাকবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্রান্স থেকে উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলটি ২৬ শে জুন রাতে ফিরবে। এরপর ১লা জুলাই আবার আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এদিকে প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরিষদ দাবি করছে, রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাস সুন্দরবনকে বিপদাপন্ন করবে। এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন গত ৭ই জুন আইইউসিএনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এরপরই সরকারের তৎপরতা শুরু হয়। এর আগে সুন্দরবনকে ১৯৯৯ সালে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইউনেস্কো। তবে শুরু থেকেই সুন্দরবনের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল জাতিসংঘের এ সংস্থাটি। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ও আইইউসিএনের একটি যৌথ পর্যবেক্ষণের পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার প্রস্তাব দিয়েছিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে অন্য কোথাও নির্মাণের। এ ছাড়া সংস্থাটি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল সুন্দরবনকে সম্ভাব্য পরিবেশগত বিপদ থেকে সুরক্ষা দিতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে। তবে সরকার সবসময় দাবি করে আসছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনকে বিপদাপন্ন করবে না। কিন্তু তা মানতে পারেনি ইউনেস্কো। শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট ইউনেস্কো লোনাপানির এ বনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির পর্যালোচনায় বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর ইউনেস্কোর কাছে সুন্দরবন রক্ষায় নেওয়া উদ্যোগগুলো চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, সুন্দরবনের চারপাশে কোনো শিল্পকারখানার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটি কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা প্রতিবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। সুন্দরবনের মিষ্টি পানির প্রবাহ বাড়াতে গড়াই নদ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বাঘ রক্ষায় একটি কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করেছে। ইউনেস্কোর নথিতে বলা হয়, বিশ্ব ঐতিহ্য মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরবনের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তার কোনো মূল্যায়ন না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবাহিত পায়রা নদীর ওপর দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। এতেও সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
No comments