যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে হাত কেটে ফেলতে চান বাজানদার by মরিয়ম চম্পা
হাতের
তীব্র যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে দু’হাতের কব্জি থেকে কেটে বাদ দিতে চান
বৃক্ষমানব আবুল বাজানদার। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন
ইউনিটের ডাক্তারদের এমনটিই অনুরোধ করেছেন এই বৃক্ষমানব। মানবজমিনের সঙ্গে
একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, রমজানের শেষের দিকে হাসপাতালে আবার ভর্তি
হয়েছি। বর্তমানে বার্ন ইউনিটের ৬ষ্ঠ তলার একটি কেবিনে আছি। সাথে আমার
স্ত্রী ও বাচ্চা আছে। হাতের শেকড়গুলো বেড়ে আবার আগের মতো হয়ে গেছে। এখন
ডাক্তার স্যারেরা বলেছেন, আবারো অপারেশন করে এগুলো কেটে বাদ দিবেন। কিন্তু
সেটাতো কোনো স্থায়ী সমাধান না।
গত ১৪ জুন আমি ডাক্তার স্যারদের বলেছি, এভাবে বারবার অপারেশন করাতো সম্ভব না। আমার বাচ্চাটা বড় হচ্ছে। তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। তার একটা ভবিষ্যত আছে। তাছাড়া আমার এই হাত দুটো কোনো কাজেই আসছে না। এ হাত দিয়ে আমি কিছু করতে পারছি না। বরং উল্টা শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করছি। এরচেয়ে বরং আমার হাত দুটো কব্জি থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেন। তাহলে আমি একদিকে যেমন যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে পারবো। একই সাথে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবো। পায়ের দিকে শেকড়ের পরিমান কম আছে। আপনারা বরং আমার দু পায়ের অপারেশন করেন। যাতে আমি অন্তত চলাফেরা করতে পারি।
ডাক্তার স্যারেরা বলেছেন, ‘আমরা এটা পারবো না। আপনার হাত কেটে বাদ দিতে হলে অন্য হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন করে বাদ দিতে হবে’। ওনারা (ডা.) এটার স্থায়ী সমাধান করতে পারবে না। বারবার অপারেশন করবে আর এভাবে হয়তো আমাকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। এভাবে কতোদিন জীবন যাপন করা যায়। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ইতিবাচক মতামত রয়েছে। এখন যে হাত আছে সেটা থাকা না থাকা সমান কথা। এটা থাকলে আরো বারতি কষ্ট পেতে হয়। অনেক কষ্ট হয়। হাতের শেকড় যত বড় হচ্ছে আমার হাতও ততো ভাড়ি হয়ে যাচ্ছে। আমি এ কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। এই কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রোগীর কথায়তো আমরা চলবো না। আমাদের কথানুযায়ী আমরা আগাবো। রোগী যদি হাত কেটে ফেলতে চায় সেটাতো আমরা করবো না। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোগীর যেটা ভালো হয় সেটাই করবো। কাজেই আমরা তাকে হাত কাটার বিষয়ে বলিনি। আমরা তার হাতের অপারেশন করে শেকড়গুলো ফেলে দিবো। সে দিকেই আমরা আগাচ্ছি। একজন মানুষের হাত চট করেই কাটা যায় না। এর কিছু নিয়ম কানুন আছে। চাইলেই হাত কেটে বাদ দেয়া যায় না। যখন এটা জরুরী বা লাইফ রিস্ক হয় তখন সেটা ভেবে দেখা হয়।
গত ১৪ জুন আমি ডাক্তার স্যারদের বলেছি, এভাবে বারবার অপারেশন করাতো সম্ভব না। আমার বাচ্চাটা বড় হচ্ছে। তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। তার একটা ভবিষ্যত আছে। তাছাড়া আমার এই হাত দুটো কোনো কাজেই আসছে না। এ হাত দিয়ে আমি কিছু করতে পারছি না। বরং উল্টা শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করছি। এরচেয়ে বরং আমার হাত দুটো কব্জি থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেন। তাহলে আমি একদিকে যেমন যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে পারবো। একই সাথে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবো। পায়ের দিকে শেকড়ের পরিমান কম আছে। আপনারা বরং আমার দু পায়ের অপারেশন করেন। যাতে আমি অন্তত চলাফেরা করতে পারি।
ডাক্তার স্যারেরা বলেছেন, ‘আমরা এটা পারবো না। আপনার হাত কেটে বাদ দিতে হলে অন্য হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন করে বাদ দিতে হবে’। ওনারা (ডা.) এটার স্থায়ী সমাধান করতে পারবে না। বারবার অপারেশন করবে আর এভাবে হয়তো আমাকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। এভাবে কতোদিন জীবন যাপন করা যায়। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ইতিবাচক মতামত রয়েছে। এখন যে হাত আছে সেটা থাকা না থাকা সমান কথা। এটা থাকলে আরো বারতি কষ্ট পেতে হয়। অনেক কষ্ট হয়। হাতের শেকড় যত বড় হচ্ছে আমার হাতও ততো ভাড়ি হয়ে যাচ্ছে। আমি এ কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। এই কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রোগীর কথায়তো আমরা চলবো না। আমাদের কথানুযায়ী আমরা আগাবো। রোগী যদি হাত কেটে ফেলতে চায় সেটাতো আমরা করবো না। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোগীর যেটা ভালো হয় সেটাই করবো। কাজেই আমরা তাকে হাত কাটার বিষয়ে বলিনি। আমরা তার হাতের অপারেশন করে শেকড়গুলো ফেলে দিবো। সে দিকেই আমরা আগাচ্ছি। একজন মানুষের হাত চট করেই কাটা যায় না। এর কিছু নিয়ম কানুন আছে। চাইলেই হাত কেটে বাদ দেয়া যায় না। যখন এটা জরুরী বা লাইফ রিস্ক হয় তখন সেটা ভেবে দেখা হয়।
No comments