‘ফিলিস্তিনের জন্য’ ৫ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহে কর্মশালা
পতাকা হাতে এক ফিলিস্তিনি শিশু |
বাহরাইনের
রাজধানী মানামাতে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের এক অর্থনৈতিক
কর্মশালা। এর লক্ষ্য অধিকৃত ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ৫ হাজার
কোটি ডলার সংগ্রহ। এই অর্থের অধিকাংশ আসবে অনুদান হিসেবে, বাকিটা
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘শান্তির লক্ষ্যে সমৃদ্ধি’ নামে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, এটি তার প্রথম ধাপ। জটিল রাজনৈতিক সমস্যাগুলো মোকাবিলার পরিবর্তে প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা এই পরিকল্পনার লক্ষ্য। এই বছরের শেষ নাগাদ পরিকল্পনার রাজনৈতিক অংশটি প্রকাশ করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শান্তি পরিকল্পনাকে ‘শতবর্ষের চুক্তি’ নামে অভিহিত করেছেন। এর প্রণেতা ট্রাম্প-জামাতা জ্যারেড কুশনার। সম্মেলনের আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিনি জনগণ বিগত সময়ের অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্দী ছিল। ‘শান্তির লক্ষ্য সমৃদ্ধি’ পরিকল্পনা এমন একটি কাঠামো দেবে যার বাস্তবায়নের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ ও এই অঞ্চলের সবার জন্য এক উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে।
সমস্যা হলো, হোয়াইট হাউস নিজেই বিশ্বাস করে না এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্বীকার করেছেন, এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি মোটেই বিস্মিত হবেন না। এই সন্দেহের কারণ, যাদের জন্য এই কর্মশালা, সেই ফিলিস্তিনিরা এই বৈঠকে উপস্থিত নেই। রাজনৈতিক জটিলতা এড়াতে ইসরায়েলকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মার্কিন চাপাচাপিতে মিসর, জর্দান ও মরক্কো উপস্থিত থাকছে। সৌদি আরব ও একাধিক উপসাগরের একাধিক আমিরাতের অর্থমন্ত্রীরাও থাকছেন। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ তাদের পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
যে অর্থ এই বৈঠকে তোলা হবে, তার অধিকাংশই আসবে ধনী আরব দেশগুলো থেকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই অর্থের অর্ধেক ব্যয় হবে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার উন্নয়নের কাজে। কুশনার বলেছেন, তিনি চান এই অঞ্চলকে একটি প্রথম শ্রেণির পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। পরিকল্পনার সবচেয়ে ‘সাহসী’ প্রস্তাব হলো ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজাকে সংযোগকারী একটি করিডর নির্মাণ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলের সম্মতি ছাড়া এই করিডর কীভাবে নির্মাণ সম্ভব, সে কথা অবশ্য কুশনার ব্যাখ্যা করেননি। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলের রক্ষণশীল সরকার কিছুতেই এই করিডরে সম্মত হবে না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য চাই সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সবার আগে চাই রাজনৈতিক অধিকার। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য উৎকোচের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির সম্ভাবনাকে চিরতরে গলাটিপে হত্যা করা। গতকাল রোববার রামাল্লায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘আরব দেশগুলোর কাছ থেকে আমাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ চাইতে হবে কেন? সে কাজ তো আমিই করতে পারি।’
ফিলিস্তিনের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী মুনিব আল মাসরি বলেছেন, ‘আমাদের সমস্যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নয়।’ একই কথা বলেছেন বিখ্যাত ফিলিস্তিনি বুদ্ধিজীবী হানান আশরাভি। তাঁর কথা, ‘আমরা দরিদ্র সে কথা ঠিক, কিন্তু আমাদের দারিদ্র্যের কারণ অব্যাহত ইসরায়েলি অধিগ্রহণ। আমাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন, তারপর দেখুন আমরা কীভাবে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হই।’
অধিকাংশ আরব ভাষ্যকারই বলছেন, কুশনার-প্রস্তাবিত এই বৈঠকের একটাই লক্ষ্য, অর্থের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা গলাটিপে হত্যা। সে কাজে হাত লাগিয়েছে সৌদি আরবসহ কতিপয় শেখশাসিত উপসাগরীয় দেশ। তাদের লক্ষ্য মার্কিন সমর্থনে ইরানকে শায়েস্তা করা। সে জন্য যদি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা হরণ করতে হয়, তাতে কোনো দ্বিধা নেই। ফিলিস্তিনের অর্থমন্ত্রী শুকরি বিশারা মিডল ইস্ট মনিটর পত্রিকাকে বলেছেন, ‘অর্থ নয়, আমাদের নিজেদের ভূমি ও স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন।’
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘শান্তির লক্ষ্যে সমৃদ্ধি’ নামে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, এটি তার প্রথম ধাপ। জটিল রাজনৈতিক সমস্যাগুলো মোকাবিলার পরিবর্তে প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা এই পরিকল্পনার লক্ষ্য। এই বছরের শেষ নাগাদ পরিকল্পনার রাজনৈতিক অংশটি প্রকাশ করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শান্তি পরিকল্পনাকে ‘শতবর্ষের চুক্তি’ নামে অভিহিত করেছেন। এর প্রণেতা ট্রাম্প-জামাতা জ্যারেড কুশনার। সম্মেলনের আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিনি জনগণ বিগত সময়ের অদক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্দী ছিল। ‘শান্তির লক্ষ্য সমৃদ্ধি’ পরিকল্পনা এমন একটি কাঠামো দেবে যার বাস্তবায়নের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ ও এই অঞ্চলের সবার জন্য এক উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে।
সমস্যা হলো, হোয়াইট হাউস নিজেই বিশ্বাস করে না এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্বীকার করেছেন, এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি মোটেই বিস্মিত হবেন না। এই সন্দেহের কারণ, যাদের জন্য এই কর্মশালা, সেই ফিলিস্তিনিরা এই বৈঠকে উপস্থিত নেই। রাজনৈতিক জটিলতা এড়াতে ইসরায়েলকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মার্কিন চাপাচাপিতে মিসর, জর্দান ও মরক্কো উপস্থিত থাকছে। সৌদি আরব ও একাধিক উপসাগরের একাধিক আমিরাতের অর্থমন্ত্রীরাও থাকছেন। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ তাদের পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
যে অর্থ এই বৈঠকে তোলা হবে, তার অধিকাংশই আসবে ধনী আরব দেশগুলো থেকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই অর্থের অর্ধেক ব্যয় হবে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার উন্নয়নের কাজে। কুশনার বলেছেন, তিনি চান এই অঞ্চলকে একটি প্রথম শ্রেণির পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। পরিকল্পনার সবচেয়ে ‘সাহসী’ প্রস্তাব হলো ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজাকে সংযোগকারী একটি করিডর নির্মাণ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলের সম্মতি ছাড়া এই করিডর কীভাবে নির্মাণ সম্ভব, সে কথা অবশ্য কুশনার ব্যাখ্যা করেননি। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলের রক্ষণশীল সরকার কিছুতেই এই করিডরে সম্মত হবে না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য চাই সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সবার আগে চাই রাজনৈতিক অধিকার। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য উৎকোচের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির সম্ভাবনাকে চিরতরে গলাটিপে হত্যা করা। গতকাল রোববার রামাল্লায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘আরব দেশগুলোর কাছ থেকে আমাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ চাইতে হবে কেন? সে কাজ তো আমিই করতে পারি।’
ফিলিস্তিনের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী মুনিব আল মাসরি বলেছেন, ‘আমাদের সমস্যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নয়।’ একই কথা বলেছেন বিখ্যাত ফিলিস্তিনি বুদ্ধিজীবী হানান আশরাভি। তাঁর কথা, ‘আমরা দরিদ্র সে কথা ঠিক, কিন্তু আমাদের দারিদ্র্যের কারণ অব্যাহত ইসরায়েলি অধিগ্রহণ। আমাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন, তারপর দেখুন আমরা কীভাবে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হই।’
অধিকাংশ আরব ভাষ্যকারই বলছেন, কুশনার-প্রস্তাবিত এই বৈঠকের একটাই লক্ষ্য, অর্থের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা গলাটিপে হত্যা। সে কাজে হাত লাগিয়েছে সৌদি আরবসহ কতিপয় শেখশাসিত উপসাগরীয় দেশ। তাদের লক্ষ্য মার্কিন সমর্থনে ইরানকে শায়েস্তা করা। সে জন্য যদি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা হরণ করতে হয়, তাতে কোনো দ্বিধা নেই। ফিলিস্তিনের অর্থমন্ত্রী শুকরি বিশারা মিডল ইস্ট মনিটর পত্রিকাকে বলেছেন, ‘অর্থ নয়, আমাদের নিজেদের ভূমি ও স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন।’
No comments