ফুটবল কুড়াতে গিয়ে ইসরাইলি সেনার গুলিতে পা হারালো ফিলিস্তিনি কিশোর
পশ্চিম
তীরে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সীমান্ত-বেষ্টনীর কাছেই বন্ধুদের সঙ্গে
ফুটবল খেলছিল ১৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কিশোর মাহমুদ সালাহ। খেলার একপর্যায়ে
ফুটবলটি বেষ্টনীর কাছে চলে গেলে সেটি কুড়িয়ে আনতে যায় সে। আর এটাই তার জন্য
কাল হয়ে দাঁড়ায়। তার পা লক্ষ্য করে উন্মুক্ত গুলি ছোড়ে এক ইসরাইলি সেনা।
ব্যথায় কাতরে ওঠে সালাহ। সালাহ জানায়, কেবল গুলি মেরেই ক্ষান্ত হয়নি
সেনারা। দু’জন সেনা এসে তাকে লাথিও মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে,
চিকিৎসকরা তার পা কেটে ফেলতে বাধ্য হয়।
ফুটবল আনতে গিয়ে এভাবেই নিজের বাঁ পা হারায় ফিলিস্তিনি সালাহ। গত ২১শে মে’র ঘটনা এটি। এ খবর দিয়েছে দ্য মিডলইস্ট মনিটর।
শিশু বিষয়ক এনজিও ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআইপি) অনুসারে, সালাহ পশ্চিম তীরের আল-খাদের গ্রামে বাস করে। ২১শে মে বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে ইসরাইলি সেনার গুলির শিকার হয় সে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪৫ মিনিটের মাথায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সালাহ ততক্ষণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরেরদিন যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন তার চারপাশে অবস্থান করছিল সেনারা। সে জানতে পারে, দু’টি অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসাকর্মীরা তাকে বলে যে, তার বাঁ পা আর নেই। সেটি কেটে ফেলতে হয়েছে। গুলিতে পায়ের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল।
গুলি করে ককটেল ছোড়ার মিথ্যা অভিযোগ
ডিসিআইপি আরো জানায়, চলতি বছর ইসরাইলি সেনাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আরো এক ফিলিস্তিনি শিশু। ২৪শে জানুয়ারি পূর্ব জেরুজালেমের শুয়াফাত শরণার্থী শিবির থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যাচ্ছিল ১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ কাওয়াসমিহ। তখন তাকে গুলি করে ‘আন্ডারকভার’ এক ইসরাইলি এজেন্ট।
কাওয়াসমিহ পরবর্তীতে জানায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে সার্জারির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তার পেট থেকে প্লীহা বের করে নিতে হয়েছে চিকিৎসকদের। চারদিন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকতে ছিল সে। কাওয়াসমিহ আরো জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তাকে ঘিরে ছিল ইসরাইলি সীমান্তরক্ষী পুলিশ। হাসপাতালের বিছানার সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল তার এক হাত। গুলি করার চারদিন পর ইসরাইলি সেনারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার বিরুদ্ধে মোলোটোভ ককটেল ছোড়ার অভিযোগ আনে।
ডিসিআইপি জানায়, কাওয়াসমিহর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে হিব্রু ভাষায় লেখা একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বলে ইসরাইলি সেনারা। কিন্তু কাওয়াসমিহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ও ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে ঘিরে রাখে সেনারা। কিন্তু চিকিৎসার জন্য কাওয়াসমিহকে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে হয়।
ডিসিআইপি অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে ইসরাইলি সেনারা ক্রমবর্ধমান হারে ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবাদের সময় এসব হামলা চালানো হয়। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাদের উন্মুক্ত গুলিতে আহত হয়েছে অন্তত ৫৫ ফিলিস্তিনি শিশু।
ফুটবল আনতে গিয়ে এভাবেই নিজের বাঁ পা হারায় ফিলিস্তিনি সালাহ। গত ২১শে মে’র ঘটনা এটি। এ খবর দিয়েছে দ্য মিডলইস্ট মনিটর।
শিশু বিষয়ক এনজিও ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআইপি) অনুসারে, সালাহ পশ্চিম তীরের আল-খাদের গ্রামে বাস করে। ২১শে মে বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে ইসরাইলি সেনার গুলির শিকার হয় সে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪৫ মিনিটের মাথায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সালাহ ততক্ষণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরেরদিন যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন তার চারপাশে অবস্থান করছিল সেনারা। সে জানতে পারে, দু’টি অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসাকর্মীরা তাকে বলে যে, তার বাঁ পা আর নেই। সেটি কেটে ফেলতে হয়েছে। গুলিতে পায়ের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল।
গুলি করে ককটেল ছোড়ার মিথ্যা অভিযোগ
ডিসিআইপি আরো জানায়, চলতি বছর ইসরাইলি সেনাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আরো এক ফিলিস্তিনি শিশু। ২৪শে জানুয়ারি পূর্ব জেরুজালেমের শুয়াফাত শরণার্থী শিবির থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যাচ্ছিল ১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ কাওয়াসমিহ। তখন তাকে গুলি করে ‘আন্ডারকভার’ এক ইসরাইলি এজেন্ট।
কাওয়াসমিহ পরবর্তীতে জানায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে সার্জারির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তার পেট থেকে প্লীহা বের করে নিতে হয়েছে চিকিৎসকদের। চারদিন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকতে ছিল সে। কাওয়াসমিহ আরো জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তাকে ঘিরে ছিল ইসরাইলি সীমান্তরক্ষী পুলিশ। হাসপাতালের বিছানার সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল তার এক হাত। গুলি করার চারদিন পর ইসরাইলি সেনারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার বিরুদ্ধে মোলোটোভ ককটেল ছোড়ার অভিযোগ আনে।
ডিসিআইপি জানায়, কাওয়াসমিহর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে হিব্রু ভাষায় লেখা একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বলে ইসরাইলি সেনারা। কিন্তু কাওয়াসমিহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ও ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে ঘিরে রাখে সেনারা। কিন্তু চিকিৎসার জন্য কাওয়াসমিহকে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে হয়।
ডিসিআইপি অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে ইসরাইলি সেনারা ক্রমবর্ধমান হারে ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবাদের সময় এসব হামলা চালানো হয়। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাদের উন্মুক্ত গুলিতে আহত হয়েছে অন্তত ৫৫ ফিলিস্তিনি শিশু।
No comments