ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে জীর্ণ দশা by মুসবা তিন্নি
স্বাধীনতার
এতো বছর পরও দেশে ভিটেবাড়িহীন মানুষের সংখ্যা নির্ণয়ে বিশদ জরিপ না হলেও
তাঁদের সংখ্যা কম নয়। ভূমিহীনদের মধ্য থেকে সবচেয়ে প্রান্তিক অবস্থায় থাকা
কিছু মানুষের জন্য সরকারের কিছু মানবিক উদ্যোগ আছে। সেগুলোর মধ্যে আশ্রয়ণ
প্রকল্প বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। প্রকল্পের আওতায় বহু ভূমিহীনকে থাকার
ঘরসহ জমি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, এসব প্রকল্পের অবকাঠামো ঠিকমতো
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
১৯৯৮ সালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা গ্রামে ‘দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে’ হতদরিদ্র ৮০টি পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিনা পয়সায় ঘর পেয়ে ভালোই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কয়েক বছর যেতেই মরিচা পড়ে ঘরের চাল নষ্ট হয়ে যায়। দরজা-জানালা ভেঙেচুরে গেছে। বৃষ্টি হলে ফুটো চাল দিয়ে পড়া পানির যন্ত্রণা আর গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হয় তাঁদের। সরকার থেকে কোনো সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাভাবে নিজেদের পক্ষেও ঘর ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রকল্পে মসজিদ, পুকুর, কবরস্থান, সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ টিনের তৈরি ঘর রয়েছে ৮০টি। প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য যৌথভাবে চারটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কৃষিকাজের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ৮ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্মাণের পর আর দেখভাল না করায় সবকিছুই বেহাল হয়ে পড়ে। নির্মাণের পর থেকে প্রকল্পে কোনো সংস্কার করা হয়নি। শৌচাগার ও নলক‚পের অবস্থাও খারাপ। ৩২টি শৌচাগারের সব কটিই এখন বেহাল।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই প্রকল্পে ৯৯ বছরের জন্য একটি পরিবারকে ঘর ও জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই ঘর ও জমির মালিক তাঁরাই। সে ক্ষেত্রে সব কটি ঘর ও শৌচাগার নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং সেগুলো ঠিক না করার মধ্য দিয়ে এটি প্রমাণিত হয় যে তাঁরা সেই আশ্রয়কে নিজের বলে এখনো মনে করতে পারছেন না। তাঁরা এগুলো সংস্কারের জন্য সরকারি সহায়তার দিকেই চেয়ে আছেন। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগেই বোঝানো উচিত ছিল, এই সম্পদ তাঁদের, এগুলো তাঁদেরই সংস্কার করা উচিত। এখন যেহেতু সেখানকার বাসিন্দারা বলছে, সংস্কারের সামর্থ্য তাঁদের নেই, সেহেতু সরকারি খরচে সেখানকার ঘরবাড়ি সংস্কার করা যেতে পারে। তবে এই ঘর যে তাঁদেরই, এবং সেগুলো যে তাঁদেরই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, সে বার্তাও পরিষ্কারভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছানো দরকার।
১৯৯৮ সালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা গ্রামে ‘দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে’ হতদরিদ্র ৮০টি পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিনা পয়সায় ঘর পেয়ে ভালোই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কয়েক বছর যেতেই মরিচা পড়ে ঘরের চাল নষ্ট হয়ে যায়। দরজা-জানালা ভেঙেচুরে গেছে। বৃষ্টি হলে ফুটো চাল দিয়ে পড়া পানির যন্ত্রণা আর গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হয় তাঁদের। সরকার থেকে কোনো সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাভাবে নিজেদের পক্ষেও ঘর ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রকল্পে মসজিদ, পুকুর, কবরস্থান, সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ টিনের তৈরি ঘর রয়েছে ৮০টি। প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য যৌথভাবে চারটি শৌচাগার ও দুটি গোসলখানা নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কৃষিকাজের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ৮ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্মাণের পর আর দেখভাল না করায় সবকিছুই বেহাল হয়ে পড়ে। নির্মাণের পর থেকে প্রকল্পে কোনো সংস্কার করা হয়নি। শৌচাগার ও নলক‚পের অবস্থাও খারাপ। ৩২টি শৌচাগারের সব কটিই এখন বেহাল।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই প্রকল্পে ৯৯ বছরের জন্য একটি পরিবারকে ঘর ও জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই ঘর ও জমির মালিক তাঁরাই। সে ক্ষেত্রে সব কটি ঘর ও শৌচাগার নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং সেগুলো ঠিক না করার মধ্য দিয়ে এটি প্রমাণিত হয় যে তাঁরা সেই আশ্রয়কে নিজের বলে এখনো মনে করতে পারছেন না। তাঁরা এগুলো সংস্কারের জন্য সরকারি সহায়তার দিকেই চেয়ে আছেন। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগেই বোঝানো উচিত ছিল, এই সম্পদ তাঁদের, এগুলো তাঁদেরই সংস্কার করা উচিত। এখন যেহেতু সেখানকার বাসিন্দারা বলছে, সংস্কারের সামর্থ্য তাঁদের নেই, সেহেতু সরকারি খরচে সেখানকার ঘরবাড়ি সংস্কার করা যেতে পারে। তবে এই ঘর যে তাঁদেরই, এবং সেগুলো যে তাঁদেরই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, সে বার্তাও পরিষ্কারভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছানো দরকার।
No comments