রুহানি ও অ্যাবের যৌথ সংবাদ সম্মেলন: ইরানি তেল কেনা অব্যাহত রাখতে চায় জাপান
অ্যাবে (বামে) ও রুহানি (ডানে) |
ইসলামি
প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী
শিনজো অ্যাবে বুধবার রাতে তেহরানে দুই দফা বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন
করেছেন। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তিনি
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শিনজো অ্যাবে ইরানের
তেল আমদানি অব্যাহত রাখতে আগ্রহী বলেও তিনি জানান। রুহানি বলেন, ইরানের
দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে চবাহার বন্দরে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা
হয়েছে।
রুহানি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলে জানান তিনি। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি আমরা মধ্যপ্রাচ্যে কোন যুদ্ধের সূচনাকারী হব না এমনকি আমেরিকার সঙ্গেও না। কিন্তু যদি কোনো যুদ্ধ আমাদের বিরুদ্ধে শুরু করা হয় তাহলে আমরা অত্যন্ত কঠোর জবাব দেব।
রুহানি বলেন, জাপানি প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী এবং তিনি জানিয়েছেন ইতিবাচক পরিবর্তন অত্যাসন্ন। জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি আবারও সমর্থন জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন রুহানি। তিনি বলেন, জাপান পরমাণু সমঝোতাকে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তিনি বলেন, দুই দেশই শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে এবং পরমাণু অস্ত্রের বিরোধী। দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা জানান রুহানি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তার উৎস হলো ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এই অর্থনৈতিক যুদ্ধ বন্ধ হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে।
এ সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, ইরানকে ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা নিরসনে জাপান ভূমিকা রাখতে চায়। এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে গোটা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
রুহানি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলে জানান তিনি। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি আমরা মধ্যপ্রাচ্যে কোন যুদ্ধের সূচনাকারী হব না এমনকি আমেরিকার সঙ্গেও না। কিন্তু যদি কোনো যুদ্ধ আমাদের বিরুদ্ধে শুরু করা হয় তাহলে আমরা অত্যন্ত কঠোর জবাব দেব।
রুহানি বলেন, জাপানি প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী এবং তিনি জানিয়েছেন ইতিবাচক পরিবর্তন অত্যাসন্ন। জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি আবারও সমর্থন জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন রুহানি। তিনি বলেন, জাপান পরমাণু সমঝোতাকে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তিনি বলেন, দুই দেশই শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে এবং পরমাণু অস্ত্রের বিরোধী। দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা জানান রুহানি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তার উৎস হলো ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এই অর্থনৈতিক যুদ্ধ বন্ধ হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে।
এ সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, ইরানকে ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা নিরসনে জাপান ভূমিকা রাখতে চায়। এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে গোটা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
No comments