সোয়া ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন আজ: করের আওতা বাড়ছে
নতুন
অর্থবছরের জন্য প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ হবে আজ। বাজেটে
করের আওতা বাড়ানো, ব্যাংকিং খাত সংস্কার, পুঁজিবাজারে প্রণোদনা, সঞ্চয়পত্রে
উৎসে কর বৃদ্ধি, বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল, কৃষকের জন্য পরীক্ষামূলক বীমা
প্রকল্প, প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধার ঘোষণা দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম
মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন উপলক্ষে ইতিমধ্যে সব ধরনের
প্রস্তুতি শেষ করেছে সংসদ সচিবালয়। বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ
২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। এ বাজেট পাস হবে আগামী ৩০শে জুন। চলতি অর্থবছরের
মূল বাজেটের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেট ১২.৬১ ও সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮.২২
শতাংশ বড়।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের মূলতবি অধিবেশন শুরু হবে। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
বাজেট বক্তৃতায় এবার ডিজিটাল ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত হবে একটি ভিডিও চিত্র। ভিডিও চিত্রে বর্তমান সরকারের সামগ্রিক সাফল্য তুলে ধরা হবে। তার আগে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করবেন। এদিন সংসদ ভবনে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজেট বক্তৃতার নামকরণ করা হয়েছে, ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন বাংলাদেশের, সময় এখন আমাদের।’ বাজেট পেশের দিন বক্তৃতাসহ ১২টি বাজেট ডকুমেন্ট সংসদ সদস্যের হাতে দেয়া হবে। আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের বাজেট বক্তৃতা অনেকটাই সংক্ষিপ্ত হবে। যার আভাস অর্থমন্ত্রী আগেই দিয়েছিলেন। সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যে বাজেটের সবকিছু চূড়ান্ত করেছেন। বাজেটের সব ডকুমেন্ট ছাপা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতার বই ছাপার কাজ শেষ পর্যায়ে। আজ সকালেই তা পৌছে যাবে সংসদ সচিবালয়ে। অধিবেশন শুরুর আগে তা পৌঁছে দেয়া হবে এমপিদের টেবিলে।
সংসদে ছিলেন অর্থমন্ত্রী:
কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে যান ৭২ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে রাতে তিনি হাসপাতালেই থেকে যান। সংসদে বাজেট পেশের দু’দিন আগে অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ তৈরি হলেও গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপনে তিনি ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে যেসব খাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- করের আওতা বাড়ানো, ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো উদ্যোগ থাকবে বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল (স্ট্যাট আপ ফান্ড)। এ তহবিল থেকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে ব্যবসা কবতে পারবেন বেকাররা। এ ছাড়া কৃষকের জন্য ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে চালু করা হবে শস্যবীমা। প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া হবে একটি জেলাকে। এ ছাড়া নতুন উদ্যোগের মধ্যে থাকছে প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা।
প্রথম বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করবে। নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ থাকবে। নতুন করে কারও ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। তবে করের আওতা বাড়ানো হবে। বাজেট হবে এক বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব।
করের বোঝা নয় আওতা বাড়ছে: নতুন বাজেটে ভ্যাট খাতে বড় সংস্কার হবে। আগামী ১লা জুলাই থেকে বহুল আলোচিত ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। সেজন্য নতুন করে ৮০ লাখ করদাতা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে। বর্তমানে কর দিচ্ছে দেশে এমন লোকের সংখ্যা ২০ লাখ। ফলে করের আওতায় ১ কোটি লোককে আনা হবে। করের আওতা বাড়াতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ হাট-বাজারের করযোগ্য ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে এর আওতা বাড়ানো হবে। এছাড়া দেশব্যাপী করযোগ্য হলেও যারা কর দিচ্ছেন না, তাদের শনাক্ত করে করের আওতায় আনা হবে।
সঞ্চয়পত্র: প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে করের হার বাড়ানো হতে পারে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হয়। গ্রাহকেরা যখন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা উঠিয়ে নেন, তখন উৎসে কর কাটা হয়। এর আগে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হতো। সঞ্চয়পত্র গ্রাহকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ২০১৬ সালের পর এই হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এবারের বাজেটে তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে। বর্তমানে পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। সঞ্চয়পত্রে বার্ষিক গড় সুদের হার সাড়ে ১১ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২৭ হাজার কোটি টাকা নিতে চায় সরকার। মূলত বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে থাকে।
প্রবাসীদের বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ: এবারের বাজেটে আরেকটি নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেটি হলো- প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা। বর্তমানে বিদেশে প্রায় ১ কোটি প্রবাসী রয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর নতুন করে ৮ থেকে ৯ লাখ মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। এদের বীমার আওতায় আনা হবে। বিভিন্ন ঝুঁকির কারণে তাদের বীমার আওতায় আনা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও আমার গ্রাম আমার শহর: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের বিশেষ দিকনির্দেশনা থাকছে। ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এরই মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ই মার্চের আগে এটি শেষ বাজেট হওয়ায় এই বাজেটে বেশকিছু নতুন উদ্যোগ নেয়া হবে, যেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করা যায়। এছাড়া আগামী বাজেটে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ নামে আরেকটি নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় গ্রামে ইন্টারনেট, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নানা ধরনের নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য আগামী অর্থবছরে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা: আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে প্রায় ১৩ লাখ গরিব মানুষকে নতুনভাবে এ সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। এতে সুবিধা পাবেন প্রায় ৮৯ লাখ গরিব মানুষ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাজেটে ৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর সীমা ও করপোরেট কর অপরিবর্তিত থাকছে: বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বছরে এই পরিমাণ অর্থ আয় করলে তাকে কোনো আয়কর দিতে হয় না। গত চার বছর ধরে ব্যক্তি আয়কর সীমা একই আছে। আগামী অর্থবছরেও তা অপরিবর্তিত থাকছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরে করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত করপোরেট কর আড়াই থেকে ৫ শতাংশ কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। তবে আগামী বাজেটে করপোরেট কর অপরিবর্তিত থাকছে বলেই জানা গেছে।
বাজেটে আয়: প্রস্তাবিত বাজেটের চূড়ান্ত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৮.১ শতাংশ। এতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদানসহ আয় হবে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১ শতাংশ। এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব আয় ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। আর কর বর্হিভূত রাজস্ব আয় ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১.৩ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
বাজেটে ব্যয়: বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৫৭ হাজার ৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ৫২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
বাজেটে ঘাটতি: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ (অনুদানসহ) ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান বাদে ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ ২৭.৭৯ শতাংশ এবং তা জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকছে। এই ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। ২৭ হাজার কোটি টাকা নেয়া হবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে এবং অন্যান্য উৎস থেকে নেয়া হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয় ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা। ফলে আগামী অর্থবছরে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ৫ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
আগামী বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি: আগামী বাজেটে ৮.২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছর ধরা হয় ৮.১৩ শতাংশ। এছাড়া, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কম থাকবে। এদিকে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ।
জিডিপির আকার: চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছিল ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই অর্থবছরজুড়ে দেশে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে, তার আর্থিক মূল্য হবে এটি। সংশোধিত বাজেটে জিডিপির আকার কমিয়ে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটিতে নামানো হয়। নতুন অর্থবছরের জন্য আকার প্রাক্কলন করা হচ্ছে ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা।
বাড়ছে ভর্তুকি: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। এসব খাতে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বরাদ্দ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেড়ে হচ্ছে ৫০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে, যা আগামী ১১ জুলাই শেষ হবে।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের মূলতবি অধিবেশন শুরু হবে। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
বাজেট বক্তৃতায় এবার ডিজিটাল ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত হবে একটি ভিডিও চিত্র। ভিডিও চিত্রে বর্তমান সরকারের সামগ্রিক সাফল্য তুলে ধরা হবে। তার আগে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা প্রেসিডেন্ট অনুমোদন করবেন। এদিন সংসদ ভবনে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজেট বক্তৃতার নামকরণ করা হয়েছে, ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন বাংলাদেশের, সময় এখন আমাদের।’ বাজেট পেশের দিন বক্তৃতাসহ ১২টি বাজেট ডকুমেন্ট সংসদ সদস্যের হাতে দেয়া হবে। আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের বাজেট বক্তৃতা অনেকটাই সংক্ষিপ্ত হবে। যার আভাস অর্থমন্ত্রী আগেই দিয়েছিলেন। সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যে বাজেটের সবকিছু চূড়ান্ত করেছেন। বাজেটের সব ডকুমেন্ট ছাপা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতার বই ছাপার কাজ শেষ পর্যায়ে। আজ সকালেই তা পৌছে যাবে সংসদ সচিবালয়ে। অধিবেশন শুরুর আগে তা পৌঁছে দেয়া হবে এমপিদের টেবিলে।
সংসদে ছিলেন অর্থমন্ত্রী:
কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে যান ৭২ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে রাতে তিনি হাসপাতালেই থেকে যান। সংসদে বাজেট পেশের দু’দিন আগে অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ তৈরি হলেও গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপনে তিনি ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে যেসব খাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- করের আওতা বাড়ানো, ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো উদ্যোগ থাকবে বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল (স্ট্যাট আপ ফান্ড)। এ তহবিল থেকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে ব্যবসা কবতে পারবেন বেকাররা। এ ছাড়া কৃষকের জন্য ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে চালু করা হবে শস্যবীমা। প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া হবে একটি জেলাকে। এ ছাড়া নতুন উদ্যোগের মধ্যে থাকছে প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা।
প্রথম বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করবে। নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ থাকবে। নতুন করে কারও ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। তবে করের আওতা বাড়ানো হবে। বাজেট হবে এক বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব।
করের বোঝা নয় আওতা বাড়ছে: নতুন বাজেটে ভ্যাট খাতে বড় সংস্কার হবে। আগামী ১লা জুলাই থেকে বহুল আলোচিত ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। সেজন্য নতুন করে ৮০ লাখ করদাতা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে। বর্তমানে কর দিচ্ছে দেশে এমন লোকের সংখ্যা ২০ লাখ। ফলে করের আওতায় ১ কোটি লোককে আনা হবে। করের আওতা বাড়াতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ হাট-বাজারের করযোগ্য ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে এর আওতা বাড়ানো হবে। এছাড়া দেশব্যাপী করযোগ্য হলেও যারা কর দিচ্ছেন না, তাদের শনাক্ত করে করের আওতায় আনা হবে।
সঞ্চয়পত্র: প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে করের হার বাড়ানো হতে পারে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হয়। গ্রাহকেরা যখন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা উঠিয়ে নেন, তখন উৎসে কর কাটা হয়। এর আগে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হতো। সঞ্চয়পত্র গ্রাহকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ২০১৬ সালের পর এই হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এবারের বাজেটে তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে। বর্তমানে পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। সঞ্চয়পত্রে বার্ষিক গড় সুদের হার সাড়ে ১১ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২৭ হাজার কোটি টাকা নিতে চায় সরকার। মূলত বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে থাকে।
প্রবাসীদের বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ: এবারের বাজেটে আরেকটি নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেটি হলো- প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা। বর্তমানে বিদেশে প্রায় ১ কোটি প্রবাসী রয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর নতুন করে ৮ থেকে ৯ লাখ মানুষ বিদেশে যাচ্ছে। এদের বীমার আওতায় আনা হবে। বিভিন্ন ঝুঁকির কারণে তাদের বীমার আওতায় আনা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও আমার গ্রাম আমার শহর: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের বিশেষ দিকনির্দেশনা থাকছে। ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এরই মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ই মার্চের আগে এটি শেষ বাজেট হওয়ায় এই বাজেটে বেশকিছু নতুন উদ্যোগ নেয়া হবে, যেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করা যায়। এছাড়া আগামী বাজেটে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ নামে আরেকটি নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় গ্রামে ইন্টারনেট, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নানা ধরনের নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য আগামী অর্থবছরে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাড়ছে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা: আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে প্রায় ১৩ লাখ গরিব মানুষকে নতুনভাবে এ সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। এতে সুবিধা পাবেন প্রায় ৮৯ লাখ গরিব মানুষ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাজেটে ৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর সীমা ও করপোরেট কর অপরিবর্তিত থাকছে: বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বছরে এই পরিমাণ অর্থ আয় করলে তাকে কোনো আয়কর দিতে হয় না। গত চার বছর ধরে ব্যক্তি আয়কর সীমা একই আছে। আগামী অর্থবছরেও তা অপরিবর্তিত থাকছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরে করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত করপোরেট কর আড়াই থেকে ৫ শতাংশ কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। তবে আগামী বাজেটে করপোরেট কর অপরিবর্তিত থাকছে বলেই জানা গেছে।
বাজেটে আয়: প্রস্তাবিত বাজেটের চূড়ান্ত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৮.১ শতাংশ। এতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদানসহ আয় হবে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১ শতাংশ। এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব আয় ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। আর কর বর্হিভূত রাজস্ব আয় ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১.৩ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
বাজেটে ব্যয়: বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৫৭ হাজার ৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ৫২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
বাজেটে ঘাটতি: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ (অনুদানসহ) ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান বাদে ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। মোট ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ ২৭.৭৯ শতাংশ এবং তা জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকছে। এই ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। ২৭ হাজার কোটি টাকা নেয়া হবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে এবং অন্যান্য উৎস থেকে নেয়া হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয় ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা। ফলে আগামী অর্থবছরে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ৫ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
আগামী বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি: আগামী বাজেটে ৮.২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছর ধরা হয় ৮.১৩ শতাংশ। এছাড়া, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কম থাকবে। এদিকে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ।
জিডিপির আকার: চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছিল ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই অর্থবছরজুড়ে দেশে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে, তার আর্থিক মূল্য হবে এটি। সংশোধিত বাজেটে জিডিপির আকার কমিয়ে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭ কোটিতে নামানো হয়। নতুন অর্থবছরের জন্য আকার প্রাক্কলন করা হচ্ছে ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা।
বাড়ছে ভর্তুকি: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। এসব খাতে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বরাদ্দ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেড়ে হচ্ছে ৫০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে, যা আগামী ১১ জুলাই শেষ হবে।
No comments