বৃটেনে কনজার্ভেটিভ পার্টিতে নেতৃত্বের লড়াই শুরু
বৃটেনে
তেরেসা মে’র যুগ অতীত হয়ে গেছে। এখন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি ও
প্রধানমন্ত্রীর হাল ধরার জন্য চলছে দলের মধ্যে লড়াই। এতে অবতীর্ণ ১০ জন
শক্তিধর নেতা। তাদের ভিতর থেকে দলের নতুন নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ হাউজ অব কমন্সে
প্রথম দফায় এই দশ প্রার্থীর ওপর গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার কথা। বৃটেনের
স্থানীয় সময় দুপুর একটায় এ ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার কথা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন
বিবিসি।
১০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে যদি কেউ কমপক্ষে ১৭ ভোট না পান তাহলে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে তিনি বাতিল হয়ে যাবেন। আজকের ভোটে কোনো প্রার্থী বাতিল হলে বাকি প্রার্থীদের ওপর দ্বিতীয় দফায় একই রকম ভোট হবে আগামী সপ্তাহে।
সেই ভোটে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে একজন প্রার্থীকে পেতে হবে কমপক্ষে ৩৩ ভোট। এর কম ভোট পেলেই তিনি বাতিল হবেন। তবে যদি সব প্রার্থীই ৩৩ ভোটের বেশি পান তাহলে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তিনিই এ প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে পড়বেন। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রার্থী দু’জন না হন। তারপর ওই দুই প্রার্থীর ওপর ভোট হবে। তাতে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন কনজার্ভেটিভ দলের পরবর্তী নেতা এবং তিনিই হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র উত্তরসূরি। তার জন্য বরাদ্দ হয়ে যাবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। বিজয়ী এমন সৌভাগ্যবানের নাম ঘোষণা করা হতে পারে ২২ জুলাই।
নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত যারা টিকে আছেন তার ১০ জন হলেন পরিবেশমন্ত্রী ও ২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের পক্ষে জোরালো অবস্থানকারী মাইকেল গভ। তিনি বলেছেন, তিনি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে আরো বিলম্বিত করাবেন। প্রতিযোগিতায় আছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক, সাবেক চিপ হুইফ মার্ক হারপার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, হাউজ অব কমন্সের সাবেক নেতা আন্দ্রেয়া লিডসম, কর্ম ও পেনশন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এস্থার ম্যাকভি, ব্রেক্সিট বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ডমিনিক রাব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রোরি স্টিওয়ার্ট।
এর মধ্যে নেতৃত্বের প্রচারণা বুধবার শুরু করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তাকে নির্বাচনে ফ্রন্ট রানার হিসেবে ধরা হচ্ছে। যেকোনো প্রার্থীর চেয়ে তিনি বেশি এমপির সমর্থন পাবেন বলে মনে করা হয়। তিনি এমপিদের কাছে কথা দিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ বৃটেনকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের করে আনবেন। তবে কি পরিকল্পনায় তিনি এটা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেন নি। কোনো চুক্তি ছাড়া বৃটেনকে বের করে আনার ইচ্ছা তার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনো কোকেন সেবন করেছেন কিনাÑ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
বরিস জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনিও বুধবার প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি বরিস জনসনকে ‘গতকালের খবর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, আমাদের প্রয়োজন আগামীদিনের, আজকের নেতা। একই পুরনো মুখ দিয়ে একই ঘর ভরতে চাই না আমরা। আমরা চাই একটি নতুন প্রজন্ম, যার থাকবে নতুন এজেন্ডা। প্রথম দফা ভোটে উৎরে পরবর্তী ধাপে কোয়ালিফাই করতে পারেন সাজিদ জাভিদ, মাইকেল গভ, ডোমিনিক রাব ও জেরেমি হান্টও। বাকি ম্যাট হ্যানকক, রোরি স্টিওয়ার্ট, আন্দ্রেয়া লিডসম, মার্ক হার্পার ও এস্থার ম্যাকভি ভাল ফল করার আশা করছেন।
কনজার্ভেটিভ পার্টির রয়েছে ৩১৩ জন এমপি। এর মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশের সামান্য বেশি ভোট দিতে পারবেন প্রার্থী নির্বাচনে। তারা প্রকাশ্যে কাকে সমর্থন দিচ্ছেন তা বলতে পারবেন। কিন্তু ভোট হবে গোপন ব্যালটে। ফলে ভোট দেয়ার সময় একজন এমপি তার মানসিকতা পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন।
১০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে যদি কেউ কমপক্ষে ১৭ ভোট না পান তাহলে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে তিনি বাতিল হয়ে যাবেন। আজকের ভোটে কোনো প্রার্থী বাতিল হলে বাকি প্রার্থীদের ওপর দ্বিতীয় দফায় একই রকম ভোট হবে আগামী সপ্তাহে।
সেই ভোটে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে একজন প্রার্থীকে পেতে হবে কমপক্ষে ৩৩ ভোট। এর কম ভোট পেলেই তিনি বাতিল হবেন। তবে যদি সব প্রার্থীই ৩৩ ভোটের বেশি পান তাহলে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তিনিই এ প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে পড়বেন। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রার্থী দু’জন না হন। তারপর ওই দুই প্রার্থীর ওপর ভোট হবে। তাতে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন কনজার্ভেটিভ দলের পরবর্তী নেতা এবং তিনিই হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র উত্তরসূরি। তার জন্য বরাদ্দ হয়ে যাবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। বিজয়ী এমন সৌভাগ্যবানের নাম ঘোষণা করা হতে পারে ২২ জুলাই।
নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত যারা টিকে আছেন তার ১০ জন হলেন পরিবেশমন্ত্রী ও ২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের পক্ষে জোরালো অবস্থানকারী মাইকেল গভ। তিনি বলেছেন, তিনি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে আরো বিলম্বিত করাবেন। প্রতিযোগিতায় আছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক, সাবেক চিপ হুইফ মার্ক হারপার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, হাউজ অব কমন্সের সাবেক নেতা আন্দ্রেয়া লিডসম, কর্ম ও পেনশন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এস্থার ম্যাকভি, ব্রেক্সিট বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ডমিনিক রাব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী রোরি স্টিওয়ার্ট।
এর মধ্যে নেতৃত্বের প্রচারণা বুধবার শুরু করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তাকে নির্বাচনে ফ্রন্ট রানার হিসেবে ধরা হচ্ছে। যেকোনো প্রার্থীর চেয়ে তিনি বেশি এমপির সমর্থন পাবেন বলে মনে করা হয়। তিনি এমপিদের কাছে কথা দিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ বৃটেনকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের করে আনবেন। তবে কি পরিকল্পনায় তিনি এটা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেন নি। কোনো চুক্তি ছাড়া বৃটেনকে বের করে আনার ইচ্ছা তার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনো কোকেন সেবন করেছেন কিনাÑ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
বরিস জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনিও বুধবার প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি বরিস জনসনকে ‘গতকালের খবর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, আমাদের প্রয়োজন আগামীদিনের, আজকের নেতা। একই পুরনো মুখ দিয়ে একই ঘর ভরতে চাই না আমরা। আমরা চাই একটি নতুন প্রজন্ম, যার থাকবে নতুন এজেন্ডা। প্রথম দফা ভোটে উৎরে পরবর্তী ধাপে কোয়ালিফাই করতে পারেন সাজিদ জাভিদ, মাইকেল গভ, ডোমিনিক রাব ও জেরেমি হান্টও। বাকি ম্যাট হ্যানকক, রোরি স্টিওয়ার্ট, আন্দ্রেয়া লিডসম, মার্ক হার্পার ও এস্থার ম্যাকভি ভাল ফল করার আশা করছেন।
কনজার্ভেটিভ পার্টির রয়েছে ৩১৩ জন এমপি। এর মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশের সামান্য বেশি ভোট দিতে পারবেন প্রার্থী নির্বাচনে। তারা প্রকাশ্যে কাকে সমর্থন দিচ্ছেন তা বলতে পারবেন। কিন্তু ভোট হবে গোপন ব্যালটে। ফলে ভোট দেয়ার সময় একজন এমপি তার মানসিকতা পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন।
No comments