‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ কার্যকরের চেষ্টা ঘোর অশনি সঙ্কেত: ড. সাইফুল্লাহ
মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের পক্ষে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসনাল ল বোর্ড-এর বিক্ষোভ (ফাইল ফটো) |
ভারতে
‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ কার্যকর করার চেষ্টাকে ‘ঘোর অশনি সঙ্কেত’ বলে
মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
সিনিয়র অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ। গত শুক্রবার রেডিও তেহরানকে দেয়া
সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার দাবিতে এক জনস্বার্থ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন কমিশনকে নোটিশ জারি করেছে।
আগামী ৮ জুলাই ওই আবেদনের পরবর্তী শুনানির আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশের জবাব দিতে হবে। বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আদালতে ওই আবেদন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি অনেকদিন ধরে আলোচিত হচ্ছে। সংবিধানে এরকম একটা বক্তব্য বলা হয়েছে যে অভিন্ন দেওয়ানি আইন আগামীদিনে চালু হবে যা প্রত্যাশিত। কিন্তু সংবিধানের সদর্থক দিক আমরা আজকে আর কতটুকু গ্রহণ করছি তা নিয়ে আমাদের ঘোর সংশয় আছে। সেজন্য বিষয়টাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মেরুকরণে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। ভারতের বহু ভাষা, বহু জাতির যে ঐতিহ্য তা প্রশ্ন চিহ্নের মুখোমুখি হবে এ ধরণের আইন প্রবর্তিত হলে তা আমরা খুব ভালো করেই জানি। আর জানি বলেই দীর্ঘদিন এটা নিয়ে সেভাবে নাড়াচাড়া করেনি। কিন্তু কখনও কখনও এ নিয়ে খুব মাথাব্যথা হয় এবং এখনকার পরিবর্তিত যে রাজনৈতিক প্রেক্ষিত তার সাপেক্ষে বিশেষত সদ্য যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার মধ্যে ওই ইস্যুটি রয়েছে। এই অবস্থায় একজন আইনজীবী যখন এটাকে চাচ্ছেন তখন সেটাকে আমাদের কাছে ‘ঘোর অশনি সঙ্কেত’ বলে মনে হয়। আমরা মনে করছি যে এটার মধ্যে স্বচ্ছ ভারত, আগামীদিনের স্বপ্নের ভারত গড়ার চেয়েও রাজনৈতিক মেরুকরণের লক্ষ্যটাই বোধ হয় বড় হয়ে উঠছে এবং একটা সম্প্রদায় একটা সমাজ আরও বেকায়দায় পড়ুক এবং তাদেরকে অস্বস্তির মধ্যে রাখাই বোধ হয় এধরণের আবেদনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে আমার মনে হয়। এক্ষেত্রে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক রয়েছেন নিশ্চয় তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কী হলফনামা দেয়া হয় বা কী বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় সেটার দিকে লক্ষ্য রাখব।’
দিল্লি হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের পারস্পরিক ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও জাতীয় অখন্ডতাকে উন্নীত করার জন্য একই নাগরিক বিধি বাস্তবায়ন করা জরুরি। আবেদনকারী বলছেন, সংবিধানের ১৪, ১৫ ও ৪৪ ধারায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার এপর্যন্ত এটি তৈরি করেনি।
প্রসঙ্গত, ভারতে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ কার্যকর করার ইস্যু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে আগেও টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এরকম অবস্থায় হাইকোর্টে করা আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কী জবাব দেয় সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে সর্বাধিক ব্যক্তিগত আইন ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি। হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ হিন্দু আইনের অধীনে আসে। কিন্তু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মের নিজস্ব আইন রয়েছে। মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইন শরীয়া ভিত্তিক। অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আইন ভারতীয় সংসদের সংবিধানের উপর ভিত্তি করে গঠিত।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার দাবিতে এক জনস্বার্থ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন কমিশনকে নোটিশ জারি করেছে।
আগামী ৮ জুলাই ওই আবেদনের পরবর্তী শুনানির আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশের জবাব দিতে হবে। বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আদালতে ওই আবেদন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি অনেকদিন ধরে আলোচিত হচ্ছে। সংবিধানে এরকম একটা বক্তব্য বলা হয়েছে যে অভিন্ন দেওয়ানি আইন আগামীদিনে চালু হবে যা প্রত্যাশিত। কিন্তু সংবিধানের সদর্থক দিক আমরা আজকে আর কতটুকু গ্রহণ করছি তা নিয়ে আমাদের ঘোর সংশয় আছে। সেজন্য বিষয়টাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মেরুকরণে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। ভারতের বহু ভাষা, বহু জাতির যে ঐতিহ্য তা প্রশ্ন চিহ্নের মুখোমুখি হবে এ ধরণের আইন প্রবর্তিত হলে তা আমরা খুব ভালো করেই জানি। আর জানি বলেই দীর্ঘদিন এটা নিয়ে সেভাবে নাড়াচাড়া করেনি। কিন্তু কখনও কখনও এ নিয়ে খুব মাথাব্যথা হয় এবং এখনকার পরিবর্তিত যে রাজনৈতিক প্রেক্ষিত তার সাপেক্ষে বিশেষত সদ্য যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার মধ্যে ওই ইস্যুটি রয়েছে। এই অবস্থায় একজন আইনজীবী যখন এটাকে চাচ্ছেন তখন সেটাকে আমাদের কাছে ‘ঘোর অশনি সঙ্কেত’ বলে মনে হয়। আমরা মনে করছি যে এটার মধ্যে স্বচ্ছ ভারত, আগামীদিনের স্বপ্নের ভারত গড়ার চেয়েও রাজনৈতিক মেরুকরণের লক্ষ্যটাই বোধ হয় বড় হয়ে উঠছে এবং একটা সম্প্রদায় একটা সমাজ আরও বেকায়দায় পড়ুক এবং তাদেরকে অস্বস্তির মধ্যে রাখাই বোধ হয় এধরণের আবেদনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে আমার মনে হয়। এক্ষেত্রে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক রয়েছেন নিশ্চয় তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কী হলফনামা দেয়া হয় বা কী বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় সেটার দিকে লক্ষ্য রাখব।’
দিল্লি হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের পারস্পরিক ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও জাতীয় অখন্ডতাকে উন্নীত করার জন্য একই নাগরিক বিধি বাস্তবায়ন করা জরুরি। আবেদনকারী বলছেন, সংবিধানের ১৪, ১৫ ও ৪৪ ধারায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার এপর্যন্ত এটি তৈরি করেনি।
প্রসঙ্গত, ভারতে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ কার্যকর করার ইস্যু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে আগেও টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এরকম অবস্থায় হাইকোর্টে করা আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কী জবাব দেয় সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে সর্বাধিক ব্যক্তিগত আইন ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি। হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ হিন্দু আইনের অধীনে আসে। কিন্তু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মের নিজস্ব আইন রয়েছে। মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইন শরীয়া ভিত্তিক। অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আইন ভারতীয় সংসদের সংবিধানের উপর ভিত্তি করে গঠিত।
No comments