চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত
অবশেষে
চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষক পর্যায়ে ধানের ন্যায্যমূল্য
নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর
রাজ্জাক। এবার বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হলেও ধানের দাম কম থাকায় চাষের খরচ
উঠানো নিয়েই দুশ্চিন্তায় লাখ লাখ কৃষক। এ অবস্থায় কৃষকের ধানের
ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারি পর্যায়ে ধান-চাল ক্রয় কার্যক্রম জোরদারের
পাশাপাশি চাল রপ্তানির বিকল্প চিন্তা করে সরকার। যদিও এই মুহূর্তে
আফ্রিকার কিছু দেশ ছাড়া বাংলাদেশের চাল রপ্তানির সুযোগ কম। আন্তর্জাতিক
বাজারে চালের দাম কম থাকায় রপ্তানিতে ভর্তুকি দেয়ারও চিন্তা করা হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে ঘাটতির কথা বলে চাল আমদানি অব্যাহত রাখায়
বাজারে যে বাড়তি মজুত তৈরি হয়েছে এর কারণে কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না।
সরকারীভাবে প্রায় ১২ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা
হয়েছে।
দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মনপ্রতি ১০৪০ টাকা। তবে মাঠ পর্যায়ে এখন ধানের দাম রয়েছে সাড়ে চারশ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন এ দামে ধানের উৎপাদন খরচই উঠবে না। এতে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।
গতকাল সচিবালয়ে ধানের বাজারমূল্যের বিষয়ে সরকারের নেয়া কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কৃষিমন্ত্রী। ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রপ্তানির বাজারে যাওয়া কঠিন। তারপরও ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেউ যদি চাল রপ্তানির আবেদন করে, এক-দু’দিনের মধ্যে অনুমতি দেয়া হবে। সব ধরনের চালই রপ্তানির করতে পারবে। চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী আমাদের বলেছেন দরকার হলে তিনি আরও বাড়িয়ে দেবেন। অর্থমন্ত্রী এখন বিদেশে আছেন।
প্রণোদনা ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ বা ৩০ শতাংশ দেয়া যেতে পারে। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধান কেনা হচ্ছে। আমরা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়েছি, চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানি আর হবে না। গত ২০১৭ সালের চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের পর চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিকের অভাবে এবার ধানের মূল্য কমে গেছে। কৃষি মন্ত্রী বলেন, এবার বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৯৬ লাখ টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা আশাও করিনি এতটা উৎপাদন হবে। তিনি বলেন, রপ্তানি করব এটাও তো একটা বিরাট ম্যাসেজ। রপ্তানি করতে পারলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে। যারা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে ধান বিক্রি করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা বড় চাষী তারা ধান ঘরে রেখে দেয়।
চাষীদের সারের উপর আরও কিছু প্রণোদনা দেয়া যায় কি-না তা দেখছি। আর কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে হবে। সরকার ৩ হাজার কোটি টাকা ইমিডিয়েট যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিটা সবসময়ই অনিশ্চিত। শুধু আমাদের দেশে নয়, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশে দেখবেন টমেটো হাইওয়েতে ঢেলে দিচ্ছে, দুধ ঢেলে দিচ্ছে। পচনশীল পণ্য, উৎপাদন বাড়লে দাম কমে যায়, এটার সমাধান করা যায় না। আমি সেটা বলছি না, আমরা গুদাম করলাম না কেন? বাংলাদেশে সম্পদ সীমিত। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। রাস্তাঘাট করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যশস্য সংরক্ষণে গুদামের ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ টন। আরও ৮ লাখ টন ধারণ ক্ষমতার গুদাম নির্মাণাধীন। মন্ত্রী জানান, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে কৃষকের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ফসলের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহসহ এমন বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
শ্রমিক সঙ্কট নিরসনে কৃষিকাজে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৭ সালে চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের পর চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিকের অভাবে এবার ধানের মূল্য কমে গেছে। তিনি বলেন, কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো শ্রমিক পাওয়া যায় না। তিনবেলা খাবারের সঙ্গে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে কামলা রাখতে হয়। এ কামলার টাকা দিয়ে কিছুতেই ধান কাটতে পারছে না। অস্বাভাবিকভাবে চাষির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর কী সমাধান। কতগুলো পত্রিকায় প্রতিদিনই লেখে, একটি পত্রিকাও আজ পর্যন্ত এর কী সমাধান তা লেখেনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকাজে কেউ আসতে চায় না। শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা কাজ করে না। কারও কোনো অভাব নেই। তাই কেউ মাঠে যাবে না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। মূল কারণ হলো এ সময় ছেলেমেয়েরা গিয়ে কাজ করে, তারা মাঠেও কাজ করে। আপনারাও চিন্তা করেন, এ ধরনের চিন্তা আমরা ভবিষ্যতে করব কিনা।
দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মনপ্রতি ১০৪০ টাকা। তবে মাঠ পর্যায়ে এখন ধানের দাম রয়েছে সাড়ে চারশ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন এ দামে ধানের উৎপাদন খরচই উঠবে না। এতে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।
গতকাল সচিবালয়ে ধানের বাজারমূল্যের বিষয়ে সরকারের নেয়া কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কৃষিমন্ত্রী। ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রপ্তানির বাজারে যাওয়া কঠিন। তারপরও ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেউ যদি চাল রপ্তানির আবেদন করে, এক-দু’দিনের মধ্যে অনুমতি দেয়া হবে। সব ধরনের চালই রপ্তানির করতে পারবে। চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী আমাদের বলেছেন দরকার হলে তিনি আরও বাড়িয়ে দেবেন। অর্থমন্ত্রী এখন বিদেশে আছেন।
প্রণোদনা ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ বা ৩০ শতাংশ দেয়া যেতে পারে। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধান কেনা হচ্ছে। আমরা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়েছি, চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানি আর হবে না। গত ২০১৭ সালের চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের পর চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিকের অভাবে এবার ধানের মূল্য কমে গেছে। কৃষি মন্ত্রী বলেন, এবার বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৯৬ লাখ টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা আশাও করিনি এতটা উৎপাদন হবে। তিনি বলেন, রপ্তানি করব এটাও তো একটা বিরাট ম্যাসেজ। রপ্তানি করতে পারলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে। যারা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে ধান বিক্রি করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা বড় চাষী তারা ধান ঘরে রেখে দেয়।
চাষীদের সারের উপর আরও কিছু প্রণোদনা দেয়া যায় কি-না তা দেখছি। আর কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে হবে। সরকার ৩ হাজার কোটি টাকা ইমিডিয়েট যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিটা সবসময়ই অনিশ্চিত। শুধু আমাদের দেশে নয়, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশে দেখবেন টমেটো হাইওয়েতে ঢেলে দিচ্ছে, দুধ ঢেলে দিচ্ছে। পচনশীল পণ্য, উৎপাদন বাড়লে দাম কমে যায়, এটার সমাধান করা যায় না। আমি সেটা বলছি না, আমরা গুদাম করলাম না কেন? বাংলাদেশে সম্পদ সীমিত। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। রাস্তাঘাট করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যশস্য সংরক্ষণে গুদামের ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ টন। আরও ৮ লাখ টন ধারণ ক্ষমতার গুদাম নির্মাণাধীন। মন্ত্রী জানান, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে কৃষকের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ফসলের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহসহ এমন বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
শ্রমিক সঙ্কট নিরসনে কৃষিকাজে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৭ সালে চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের পর চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিকের অভাবে এবার ধানের মূল্য কমে গেছে। তিনি বলেন, কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো শ্রমিক পাওয়া যায় না। তিনবেলা খাবারের সঙ্গে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে কামলা রাখতে হয়। এ কামলার টাকা দিয়ে কিছুতেই ধান কাটতে পারছে না। অস্বাভাবিকভাবে চাষির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর কী সমাধান। কতগুলো পত্রিকায় প্রতিদিনই লেখে, একটি পত্রিকাও আজ পর্যন্ত এর কী সমাধান তা লেখেনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকাজে কেউ আসতে চায় না। শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা কাজ করে না। কারও কোনো অভাব নেই। তাই কেউ মাঠে যাবে না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। মূল কারণ হলো এ সময় ছেলেমেয়েরা গিয়ে কাজ করে, তারা মাঠেও কাজ করে। আপনারাও চিন্তা করেন, এ ধরনের চিন্তা আমরা ভবিষ্যতে করব কিনা।
No comments