দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে দেশে: ফখরুল
সারা
দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম
শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়াকে মুক্ত করা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ গ্রহণ করেছে বিএনপি।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, পোস্টার প্রকাশ ও কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা
উত্তোলন, সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক
অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ, দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য
ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার কর্মসূচি পালন করেছে
বিএনপিসহ দলটির নানা অঙ্গসংগঠন।
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে মাজার প্রাঙ্গণে দোয়া-মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষি অংশ নেন। গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশে একটা দুঃশাসনের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা জিয়াউর রহমানকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিলো।
তাই এই দিনটিকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
স্বল্প দিনের রাজনৈতিক জীবনে জিয়া দেশের মৌলিক পরিবর্তন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। বাক্?স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, গণতন্ত্রের মাতাকে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে তার দর্শন ও আদর্শকে সামনে নিয়ে তাকে অনুসরণ করে শপথ গ্রহণ করছি- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, হাজার চেষ্টা করলেও জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া যাবে না। জিয়াকে এদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন শহীদ জিয়াকে মানুষ স্মরণ করবে। কারণ একদলীয় শাসনের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সেই আন্দোলনে এখনো আমরা আছি। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় আছেন। কিন্তু বিএনপি এখনো সজাগ, সচেষ্ট ও শক্তিশালী। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাবো যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র- ফিরে না আসবে। যতদিন আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে না আসবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি মানুষের সঙ্গে থাকবে এবং আন্দোলনে করে যাবে। মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পনের সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, শামীমুর রহমান শামীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সেলিম রেজা হাবিব, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, মহানগর উত্তরের সাধারণ আহসান উল্লাহ হাসান, যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, কৃষক দল সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির পর মহানগর বিএনপি, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে জিয়ার মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
এদিকে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুরে বিএনপি মহাসচিব তেজগাঁওয়ের আজরত পাড়ায় স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত একটি দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রি বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। অন্যদিকে মহানগর দক্ষিণের পুরান ঢাকার নয়াবাজারে মহানগর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও ইফতার সামগ্রি বিতরণ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সকালে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়। সেখানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ২০০জন দুঃস্থ রোগীদের মেডিসিন, সার্জারি, চর্মরোগ, সার্জারি, চক্ষু রোগ, চোখ ও নাক, কান গলা; ও শিশু রোগ বিষয়ে পরামর্শপত্র দেন। তাদের বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত পরিস্কার করে আমরা বলতে চাই- নির্বাচনের নামে যে নাটক হয়েছে, অবিলম্বে সে নির্বাচন বাতিল করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নতুন নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি সংসদ গঠন করতে হবে। আজকের দিনে এটাই আমাদের শপথ। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকালমৃত্যু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও দেশের গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করেছে। তার উত্তরসূরি খালেদা জিয়া এই পতাকাকে ধারণ করে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দর্শন আদর্শকে প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি কারাগারে। আজ আমরা এই শপথ নেবো, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশকে অনুসরণ করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করব। এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন অর রশীদ ও মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে জাতীয়বাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মির্জা আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান তার স্বল্প রাজনীতিক জীবনে এই দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মৌলিক পরিবর্তন করেছিলেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। বাক স্বাধীনতা দিয়েছিলেন এবং অর্থনীতিকে মুক্ত করেছিলেন। আজ গণতন্ত্র হত্যা ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো দেশে কায়েম করা হয়েছে দুঃশাসন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এইদিনকে ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ২৫মে থেকে দশ দিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুস্পমাল্য অর্পনেব নেতৃত্ব দিতেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এই কর্মসূচিটি দলের সিনিয়র নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে মাজার প্রাঙ্গণে দোয়া-মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষি অংশ নেন। গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশে একটা দুঃশাসনের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই দিনে স্বাধীনতার শত্রুরা জিয়াউর রহমানকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিলো।
তাই এই দিনটিকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
স্বল্প দিনের রাজনৈতিক জীবনে জিয়া দেশের মৌলিক পরিবর্তন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। বাক্?স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, গণতন্ত্রের মাতাকে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে তার দর্শন ও আদর্শকে সামনে নিয়ে তাকে অনুসরণ করে শপথ গ্রহণ করছি- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, হাজার চেষ্টা করলেও জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া যাবে না। জিয়াকে এদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন শহীদ জিয়াকে মানুষ স্মরণ করবে। কারণ একদলীয় শাসনের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সেই আন্দোলনে এখনো আমরা আছি। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় আছেন। কিন্তু বিএনপি এখনো সজাগ, সচেষ্ট ও শক্তিশালী। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাবো যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র- ফিরে না আসবে। যতদিন আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে না আসবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি মানুষের সঙ্গে থাকবে এবং আন্দোলনে করে যাবে। মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পনের সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, শামীমুর রহমান শামীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সেলিম রেজা হাবিব, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, মহানগর উত্তরের সাধারণ আহসান উল্লাহ হাসান, যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, কৃষক দল সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির পর মহানগর বিএনপি, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে জিয়ার মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
এদিকে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুরে বিএনপি মহাসচিব তেজগাঁওয়ের আজরত পাড়ায় স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত একটি দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রি বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। অন্যদিকে মহানগর দক্ষিণের পুরান ঢাকার নয়াবাজারে মহানগর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও ইফতার সামগ্রি বিতরণ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সকালে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খোলা হয়। সেখানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ২০০জন দুঃস্থ রোগীদের মেডিসিন, সার্জারি, চর্মরোগ, সার্জারি, চক্ষু রোগ, চোখ ও নাক, কান গলা; ও শিশু রোগ বিষয়ে পরামর্শপত্র দেন। তাদের বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত পরিস্কার করে আমরা বলতে চাই- নির্বাচনের নামে যে নাটক হয়েছে, অবিলম্বে সে নির্বাচন বাতিল করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নতুন নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি সংসদ গঠন করতে হবে। আজকের দিনে এটাই আমাদের শপথ। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকালমৃত্যু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও দেশের গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করেছে। তার উত্তরসূরি খালেদা জিয়া এই পতাকাকে ধারণ করে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দর্শন আদর্শকে প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি কারাগারে। আজ আমরা এই শপথ নেবো, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশকে অনুসরণ করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করব। এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন অর রশীদ ও মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে জাতীয়বাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মির্জা আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান তার স্বল্প রাজনীতিক জীবনে এই দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মৌলিক পরিবর্তন করেছিলেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। বাক স্বাধীনতা দিয়েছিলেন এবং অর্থনীতিকে মুক্ত করেছিলেন। আজ গণতন্ত্র হত্যা ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো দেশে কায়েম করা হয়েছে দুঃশাসন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এইদিনকে ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ২৫মে থেকে দশ দিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুস্পমাল্য অর্পনেব নেতৃত্ব দিতেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এই কর্মসূচিটি দলের সিনিয়র নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
No comments