রোহিঙ্গা নিধন: সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯ বছর আগেই মুক্ত মিয়ানমারের সেনারা
রাখাইনে
১০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যার দায়ে জেলপ্রাপ্ত সাত সেনা সদস্যকে মুক্তি
দিয়েছে মিয়ানমার। ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যে
নৃশংসতা চালায়, গণহত্যা করে, তার জন্য অভিযুক্ত ওই সেনাদের ১০ বছর করে জেল
দেয়া হয়। কিন্তু সাজার মেয়াদ এক বছর পুরো হওয়ার আগেই গত নভেম্বরে তাদেরকে
মুক্তি দেয়া হয়েছে। বিলম্বে এ খবরটি প্রকাশ পেয়েছে। জেলখানার দু’জন
কর্মকর্তা, সাবেক দু’জন বন্দি এবং একজন সেনা সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, রাখাইনে ওই ১০ মুসলিমকে হত্যার দৃশ্য ধারণ এবং তা নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কাইওয়ো সোয়ে ও’কে জেল দেয় দেশটির আদালত। তারা দেড় বছরের বেশি জেলে বন্দি ছিলেন। অবশেষে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমতার অধীনে ৬ই মে মুক্তি পান তারা। ওই হত্যাযজ্ঞের রিপোর্ট করার কারণে তারা দেড় বছরের বেশি জেল খাটলেও, যারা সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, সেই সেনা সদস্যদের শাস্তির মেয়াদ এক বছরও পূরণ হতে দেয়া হয় নি। তার আগেই তারা মুক্তি পেয়েছে।
রাখাইনের সিতওয়ে জেলখানার প্রধান ওয়ার্ডেন উইন নাইং এবং রাজধানী ন্যাপিড’র একজন সিনিয়র জেল কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ওই অভিযুক্ত সেনা সদস্যরা বেশ কয়েক মাস জেলে নেই। ন্যাপিড থেকে সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের শাস্তি কমিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তারা আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে কবে ওই সেনা সদস্যদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না তারা। এ বিষয়ে সেনা মুখপাত্র জাওয়া মিন তুন এবং তুন তুন নইই মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন চালানোর জন্য দেশটির সেনাবাহিনী মাত্র ৭ জন সেনা সদস্যকে দায়ী করে। ওই নৃশংসতার কারণে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় তদন্ত করে জাতিসংঘ বলেছে, গণহত্যার উদ্দেশে এটা করা হয়েছে। এ নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ব্যাপক আকারে অগ্নিসংযোগ। তবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সুচিও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী ও কর্তৃপক্ষ ইন ডিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে গণহত্যায় ৭ সেনা সদস্যকে জেল দেয়ার উদাহরণ টেনে তোলেন। তারা দেখাতে চান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কাউকে সাধারণ ক্ষমা দেয় নি। কিন্তু ওই ৭ সেনা সদস্যকে ১০ বছরের জেল দেয়া হলেও এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদেরকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। প্রায় ৭ মাস আগে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলেও বিষয়টি সবেমাত্র খবরে প্রকাশ পেয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, ওই সেনা সদস্যদেরকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
এতে বলা হয়, রাখাইনে ওই ১০ মুসলিমকে হত্যার দৃশ্য ধারণ এবং তা নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কাইওয়ো সোয়ে ও’কে জেল দেয় দেশটির আদালত। তারা দেড় বছরের বেশি জেলে বন্দি ছিলেন। অবশেষে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমতার অধীনে ৬ই মে মুক্তি পান তারা। ওই হত্যাযজ্ঞের রিপোর্ট করার কারণে তারা দেড় বছরের বেশি জেল খাটলেও, যারা সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, সেই সেনা সদস্যদের শাস্তির মেয়াদ এক বছরও পূরণ হতে দেয়া হয় নি। তার আগেই তারা মুক্তি পেয়েছে।
রাখাইনের সিতওয়ে জেলখানার প্রধান ওয়ার্ডেন উইন নাইং এবং রাজধানী ন্যাপিড’র একজন সিনিয়র জেল কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ওই অভিযুক্ত সেনা সদস্যরা বেশ কয়েক মাস জেলে নেই। ন্যাপিড থেকে সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের শাস্তি কমিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তারা আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে কবে ওই সেনা সদস্যদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না তারা। এ বিষয়ে সেনা মুখপাত্র জাওয়া মিন তুন এবং তুন তুন নইই মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন চালানোর জন্য দেশটির সেনাবাহিনী মাত্র ৭ জন সেনা সদস্যকে দায়ী করে। ওই নৃশংসতার কারণে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় তদন্ত করে জাতিসংঘ বলেছে, গণহত্যার উদ্দেশে এটা করা হয়েছে। এ নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ব্যাপক আকারে অগ্নিসংযোগ। তবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সুচিও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী ও কর্তৃপক্ষ ইন ডিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে গণহত্যায় ৭ সেনা সদস্যকে জেল দেয়ার উদাহরণ টেনে তোলেন। তারা দেখাতে চান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কাউকে সাধারণ ক্ষমা দেয় নি। কিন্তু ওই ৭ সেনা সদস্যকে ১০ বছরের জেল দেয়া হলেও এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদেরকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। প্রায় ৭ মাস আগে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলেও বিষয়টি সবেমাত্র খবরে প্রকাশ পেয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, ওই সেনা সদস্যদেরকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
No comments