জিততে হলে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে by ইশতিয়াক পারভেজ
কার্ডিফ
থেকে প্রস্তুতির মিশন শেষে এখন লন্ডনে বাংলাদেশ দল। লন্ডনের টেমস নদীর
কাছে রিভার ব্যাংক হোটেলে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজারা। গতকাল কোনো অনুশীলন
না থাকায় হোটেল রুমে বিশ্রামে আর ঘুরে ফিরেই সময় কেটেছে তাদের। আর একদিন
পরেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে টাইগারদের ২২ গজের যুদ্ধের দামামা বাজবে। ওভাল
স্টেডিয়ামে টাইগারদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ
আনুষ্ঠানিক অনুশীলনও করবে টাইগাররা। তবে এই ম্যাচকে ঘিরে টাইগারভক্তদের
চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
যারা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি তাদেরও চলছে দৌড়ঝাঁপ।
এ জন্য তারা কালোবাজারি থেকে বেশি দামে টিকিট কিনতেও দ্বিধা করছে না। বিশেষ করে বাঙ্গালী পাড়া খ্যাত ইস্ট লন্ডনের প্রায় সব এলাকাতেই চলছে প্রস্তুতি। স্যাডওয়েল স্টেশন সংলগ্ন প্রায় সব দোকানের মালিকই বাংলাদেশি। এমনকি সেখানে যারা কাজ করেন তারাও। বেশির ভাগ দোকানে ঢুকলেই খেলা নিয়ে প্রশ্ন শুনতেই হবে। কেমন হবে শুরুটা? ভক্ত-সমর্থকদের জন্য অবশ্য দলের তরুণ সদস্য লিটন কুমার দাস জানিয়ে দিলেন উত্তরটা। তিনি বলেন, ‘আসলে যে ভাবে চিন্তা করছি কোন কিছুই সহজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং- বোলিং ভাল। এই কন্ডিশনেও দারুণ অভ্যস্ত। যে কারনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। আবার এমন নয় যে পারবো না। জিততে হলে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।’
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন শুরুটা ভালো করতে হবে। এবার নতুন ফরম্যাটে ৯ টি দলের বিপক্ষেই খেলবে টাইগাররা। এরমধ্যে শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই থাকবে জয়ের চাপ। একটি হারলেই পরেরটিতে জয় দিয়ে ফিরতে হবে। নয়তো সেমিফাইনালের স্বপ্ন হয়ে পড়বে ভীষণ কঠিন। তাই প্রথম ম্যাচ থেকে শেষ পর্যন্ত জয়ের চাপই থাকছে বলে মনে করেন উইকেটকিপার লিটন। তিনি বলেন, ‘জয়ের চাপ সেটি প্রথম ম্যাচ বলেন আর শেষ প্রতিটিতে আছে। আমরা এখানে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। আর হার-জিত থাকবেই। কিন্তু আমাদের প্রতিটি ম্যাচে থাকবে জয়ের শক্তমানসিকতা।’
অন্যদিকে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেললাম। আমরা এই অনুশীলনটা যদি বাংলাদেশে করতাম তাহলে এত উন্নতি হতো না। আমার কাছে মনে হয় এখানে খেলাতে ভালো হয়েছে, কদিন ক্যাম্পও করেছি। ভারতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললাম।’ আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে শুরু করে প্রস্তুতি ম্যাচ লিটনকে পরীক্ষাই দিতে হয়েছে। কারণ ওপেনিংয়ে তামিম ইককালের সঙ্গে দারুণ অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন সৌম্য সরকার। তাই লিটন প্রথম ম্যাচের একাদশে থাকবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে বেশ প্রশ্ন। এ নিয়ে লিটন বলেন, ‘একাদশে খেলার দাবিদার ১৫ জনই। কিন্তু খেলবে তো ১১ জন। অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় অনেক সময় সাইডবেঞ্চে থাকে। দলের যেটায় কাজে আসবে, আর সেই কাজে আসায় আমি যেন থাকি সেই চেষ্টা করব। এতদিন ওপেনিং খেলেছি। যে পজিশনেই দিক চেষ্টা করব ভালো করতে।’ সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন সুযোগ পেলে ভালো করার কথাও। তিনি বলেন, ‘সুযোগ পেলে তো অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। সুযোগের অপেক্ষায় থাকব। দলের জন্য যেকোনো কিছুই করতে প্রস্তুুত। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে দায়িত্ব দেবে চেষ্টা করব সেটা পালন করতে।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ হবে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। এখানে ৩০০ এমনকি ৪০০ রান হচ্ছে ৫০ ওভারের ম্যাচে। তবে নিয়মিত ৩’শ স্কোর করা বা তা তাড়া করে জয়ের খুব একটা রেকর্ড নেই টাইগারদের। এ বিষয়টাই হবে দলের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তবে লিটন বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমরা সবশেষ যে ম্যাচগুলো খেলেছি সবগুলোই ৩০০ এর কাছাকাছি রান করেছি। মনে হয় না এটা ম্যাটার করবে যে ৩০০ বা ৩০০? প্লাস। যদি ৩০০ এর বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে হয় আমরা সে লক্ষ্য নিয়েই খেলব। ব্যাটিংয়ে গেলে ওটা মাথায় নিয়ে নামবো।’ অবশ্য তার জন্য উইকেট নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। লিটন বলেন, ‘উইেকেট নিয়ে কিছু বলার নেই। ভালো খেললে সবটাই ভালো, খারাপ হলে সবটাই খারাপ।’
যারা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি তাদেরও চলছে দৌড়ঝাঁপ।
এ জন্য তারা কালোবাজারি থেকে বেশি দামে টিকিট কিনতেও দ্বিধা করছে না। বিশেষ করে বাঙ্গালী পাড়া খ্যাত ইস্ট লন্ডনের প্রায় সব এলাকাতেই চলছে প্রস্তুতি। স্যাডওয়েল স্টেশন সংলগ্ন প্রায় সব দোকানের মালিকই বাংলাদেশি। এমনকি সেখানে যারা কাজ করেন তারাও। বেশির ভাগ দোকানে ঢুকলেই খেলা নিয়ে প্রশ্ন শুনতেই হবে। কেমন হবে শুরুটা? ভক্ত-সমর্থকদের জন্য অবশ্য দলের তরুণ সদস্য লিটন কুমার দাস জানিয়ে দিলেন উত্তরটা। তিনি বলেন, ‘আসলে যে ভাবে চিন্তা করছি কোন কিছুই সহজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং- বোলিং ভাল। এই কন্ডিশনেও দারুণ অভ্যস্ত। যে কারনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। আবার এমন নয় যে পারবো না। জিততে হলে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।’
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন শুরুটা ভালো করতে হবে। এবার নতুন ফরম্যাটে ৯ টি দলের বিপক্ষেই খেলবে টাইগাররা। এরমধ্যে শুরুতেই প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই থাকবে জয়ের চাপ। একটি হারলেই পরেরটিতে জয় দিয়ে ফিরতে হবে। নয়তো সেমিফাইনালের স্বপ্ন হয়ে পড়বে ভীষণ কঠিন। তাই প্রথম ম্যাচ থেকে শেষ পর্যন্ত জয়ের চাপই থাকছে বলে মনে করেন উইকেটকিপার লিটন। তিনি বলেন, ‘জয়ের চাপ সেটি প্রথম ম্যাচ বলেন আর শেষ প্রতিটিতে আছে। আমরা এখানে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। আর হার-জিত থাকবেই। কিন্তু আমাদের প্রতিটি ম্যাচে থাকবে জয়ের শক্তমানসিকতা।’
অন্যদিকে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেললাম। আমরা এই অনুশীলনটা যদি বাংলাদেশে করতাম তাহলে এত উন্নতি হতো না। আমার কাছে মনে হয় এখানে খেলাতে ভালো হয়েছে, কদিন ক্যাম্পও করেছি। ভারতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললাম।’ আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে শুরু করে প্রস্তুতি ম্যাচ লিটনকে পরীক্ষাই দিতে হয়েছে। কারণ ওপেনিংয়ে তামিম ইককালের সঙ্গে দারুণ অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন সৌম্য সরকার। তাই লিটন প্রথম ম্যাচের একাদশে থাকবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে বেশ প্রশ্ন। এ নিয়ে লিটন বলেন, ‘একাদশে খেলার দাবিদার ১৫ জনই। কিন্তু খেলবে তো ১১ জন। অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় অনেক সময় সাইডবেঞ্চে থাকে। দলের যেটায় কাজে আসবে, আর সেই কাজে আসায় আমি যেন থাকি সেই চেষ্টা করব। এতদিন ওপেনিং খেলেছি। যে পজিশনেই দিক চেষ্টা করব ভালো করতে।’ সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন সুযোগ পেলে ভালো করার কথাও। তিনি বলেন, ‘সুযোগ পেলে তো অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। সুযোগের অপেক্ষায় থাকব। দলের জন্য যেকোনো কিছুই করতে প্রস্তুুত। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে দায়িত্ব দেবে চেষ্টা করব সেটা পালন করতে।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ হবে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। এখানে ৩০০ এমনকি ৪০০ রান হচ্ছে ৫০ ওভারের ম্যাচে। তবে নিয়মিত ৩’শ স্কোর করা বা তা তাড়া করে জয়ের খুব একটা রেকর্ড নেই টাইগারদের। এ বিষয়টাই হবে দলের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তবে লিটন বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমরা সবশেষ যে ম্যাচগুলো খেলেছি সবগুলোই ৩০০ এর কাছাকাছি রান করেছি। মনে হয় না এটা ম্যাটার করবে যে ৩০০ বা ৩০০? প্লাস। যদি ৩০০ এর বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে হয় আমরা সে লক্ষ্য নিয়েই খেলব। ব্যাটিংয়ে গেলে ওটা মাথায় নিয়ে নামবো।’ অবশ্য তার জন্য উইকেট নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। লিটন বলেন, ‘উইেকেট নিয়ে কিছু বলার নেই। ভালো খেললে সবটাই ভালো, খারাপ হলে সবটাই খারাপ।’
No comments