তিন কিশোরের হাতে সহপাঠী খুন!
ফারদিন আলম রূপক |
কিশোরগঞ্জের
ভৈরবে তিন কিশোর তাদের এক সহপাঠীকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ
ঘটনায় পুলিশ ওই তিনজনকে আটক করেছে। কিশোরেরা সবাই চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায়
অংশ নেয়। এদের মধ্যে দুজন ফল জিপিএ-৫।
নিহত কিশোরের নাম ফারদিন আলম ওরফে রূপক (১৬)। শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সরণি সড়ক লাগোয়া একটি ভবনের ছাদ থেকে তার গলাকাটা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রূপককে শুক্রবার রাতে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও রূপকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রূপক ও অভিযুক্ত কিশোরেরা সবাই শহরের সরকারি কেবি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি তিনজন চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে নিহত রূপক পায় জিপিএ-৩.৮৯। আর আটক তিন কিশোরের মধ্যে একজন নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায় চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। অপর দুজন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায়।
আটক কিশোরেরা পুলিশ ও গণমাধ্যমকরীদের ঘটনার বিবরণ দেয়। তাদের ভাষ্য, চাকরির জন্য টাকা লাগে। তাই তারা ভবিষ্যতের জন্য টাকা জোগাড় করতে চাচ্ছিল। একপর্যায়ে বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে তারা। তবে অপহরণের পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যা করে ফেলে। পুরো ঘটনা ঘটাতে তাদের ৩০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।
আটক কিশোরেরা আরও জানায়, জিপিএ-৫ পাওয়া দুই বন্ধু ‘পার্টি’ দেবে—এ কথা বলে তারা রূপককে মুঠোফোনে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, আটক কিশোরদের দুজনের পরিবার একই ভবনে থাকে। নিহত ও আটক কিশোরদের সবার পরিবারই অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। নিহত রূপকের বাবার নাম নূরে আলম বিপ্লব। তিনি পেশায় রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে রূপক বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে। পরিবার নিয়ে তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব শহরের টিনপট্টি এলাকায় বসবাস করছেন।
রূপকের চাচা সজীব আহমেদ বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা ২১ মিনিট পর্যন্ত রূপকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সচল ছিল। সাড়ে দশটার পর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকালে একই ভবনে বসবাসরত দুই কিশোরের কাছে রূপকের সন্ধান চাওয়া হয়। তখন তারা বলে, রাতে তাদের সঙ্গে রূপকের দেখা হয়েছিল। তিনি জানান, কথা বলার সময় ওই দুই কিশোরের চেহারায় সন্দেহের ছাপ পাওয়া যায়।
আটক এক কিশোরের চাচা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে ভাতিজাকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে সে রূপক হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন কিশোর রূপক হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাদের থানায় রাখা হয়েছে। শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।
নিহত কিশোরের নাম ফারদিন আলম ওরফে রূপক (১৬)। শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সরণি সড়ক লাগোয়া একটি ভবনের ছাদ থেকে তার গলাকাটা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রূপককে শুক্রবার রাতে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও রূপকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রূপক ও অভিযুক্ত কিশোরেরা সবাই শহরের সরকারি কেবি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি তিনজন চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে নিহত রূপক পায় জিপিএ-৩.৮৯। আর আটক তিন কিশোরের মধ্যে একজন নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায় চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। অপর দুজন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায়।
আটক কিশোরেরা পুলিশ ও গণমাধ্যমকরীদের ঘটনার বিবরণ দেয়। তাদের ভাষ্য, চাকরির জন্য টাকা লাগে। তাই তারা ভবিষ্যতের জন্য টাকা জোগাড় করতে চাচ্ছিল। একপর্যায়ে বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে তারা। তবে অপহরণের পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যা করে ফেলে। পুরো ঘটনা ঘটাতে তাদের ৩০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।
আটক কিশোরেরা আরও জানায়, জিপিএ-৫ পাওয়া দুই বন্ধু ‘পার্টি’ দেবে—এ কথা বলে তারা রূপককে মুঠোফোনে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, আটক কিশোরদের দুজনের পরিবার একই ভবনে থাকে। নিহত ও আটক কিশোরদের সবার পরিবারই অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। নিহত রূপকের বাবার নাম নূরে আলম বিপ্লব। তিনি পেশায় রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে রূপক বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে। পরিবার নিয়ে তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব শহরের টিনপট্টি এলাকায় বসবাস করছেন।
রূপকের চাচা সজীব আহমেদ বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা ২১ মিনিট পর্যন্ত রূপকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সচল ছিল। সাড়ে দশটার পর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকালে একই ভবনে বসবাসরত দুই কিশোরের কাছে রূপকের সন্ধান চাওয়া হয়। তখন তারা বলে, রাতে তাদের সঙ্গে রূপকের দেখা হয়েছিল। তিনি জানান, কথা বলার সময় ওই দুই কিশোরের চেহারায় সন্দেহের ছাপ পাওয়া যায়।
আটক এক কিশোরের চাচা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে ভাতিজাকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে সে রূপক হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন কিশোর রূপক হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাদের থানায় রাখা হয়েছে। শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।
No comments