ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াই নয় by অনিম আরাফাত
ব্রেনটন
টেরেন্ট নামের এক সন্ত্রাসী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা
চালিয়ে হত্যা করেছে কমপক্ষে ৫০ জনকে। স্বঘোষিত শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এই
টেরেন্ট ঘৃণা করত মুসলিমদের, অভিবাসীদের। তাকে যখন আদালতে তোলা হল তখনও সে
হাসছে। এ হামলার জন্য তার কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ তার বিশ্বাসটিই ছিল এমন।
আমরা এর আগেও দেখেছি কোনো একজনের ভুল বিশ্বাসের কারণে শেষ হয়ে গেছে হাজার
হাজার প্রাণ।
যে সন্ত্রাসী ক্রাইস্টচার্চে হামলা চালিয়ে নিরিহ মুসলমানদের হত্যা করেছে আর আইএসের যে সদস্য ইউরোপের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে নিরিহ শিশুকে হত্যা করেছে তাদের মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য নেই। দুজনই কট্টোরপন্থী এবং তারা মনে করে তারা যাদের হত্যা করেছে এটাই তাদের প্রাপ্য।
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী নিজের কর্মকান্ডকে ইউরোপে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। অথচ ইউরোপে আইএস জঙ্গিরা যেমন কিছু নিরিহ মানুষকেই হত্যা করেছে, সে নিজেও নামাজরত কিছু নিরিহ মুসলমানকে হত্যা করল। এরপর যদি এই হামলায় স্বজন হারানো কেউ প্রতিশোধ নিতে আরো কয়েকজন নিরিহ মানুষ হত্যা করতে শুরু করে তাহলে এই পৃথিবীর অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না। এমনটাই বলছেন ম্যানচেস্টার বোমা হামলায় বেচে যাওয়া একজন রুথ মুরেল। সেখানে এক ধর্মান্ধ মুসলিম বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল কমপক্ষে ২৩ জনকে। সেই হামলা থেকে বেচে যাওয়া রুথ ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর হামলার পর বলেছেন, এ ঘটনা শুনে আমি বারবার সেই ম্যানচেস্টার বোমা হামলার সময়ে ফিরে যাচ্ছি। তিনি এই দুটি হামলাকেই একইভাবে দেখেন। ম্যানচেস্টার হামলার পর রুথ মুরেল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্বরব ছিলেন সবসময়। ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর তিনি টেরন্টসহ পৃথিবীর সকল উগ্রবাদীদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, তোমরা কখনো জয়ী হতে পারবে না। ওই হামলায় নিহত তিন বছরের শিশু মুসাদ ইব্রাহিমের বিষয়ে তিনি বলেন, নিরিহ শিশু হত্যা করা অসভ্যতা। ইব্রাহিমের জন্য হলেও আমাদেরকে ওই উগ্রদের কখনো জয়ী হতে দেয়া যাবে না।
তাই কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ নয়, লড়াই করতে হবে সকল উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। টেরেন্ট হামলার সময় যে বন্দুক ব্যবহার করেছিল তাতে লেখা ছিল, ‘রদারহ্যামে নির্যাতিত শিশুদের জন্য’। স্যামি উডহাউজ একজন যিনি রদারহ্যামে পাকিস্তানি যৌন নিপিরকদের হাত থেকে বেচে গিয়েছিলেন। ক্রাইস্টচার্চে তারপক্ষে হামলার পরেও তিনি হামলাকারীর প্রতি ঘৃণা দেখাতে পিছপা হননি। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই হত্যাজজ্ঞ আমার নামে হতে পারে না, এটি একটি পৈশাচিক কাজ। এছাড়া ওয়েস্টমিনিস্টারে জিহাদি হামলার শিকার হওয়া কেইথ চ্যাপম্যানও মুসলিমদের বিরুদ্ধে হওয়া হামলার বিরোধিতা করেন। তিনি সকল সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহবান জানান বিশ্ববাসীর প্রতি।
মানুষের প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে মানবিকতা। যার মধ্যে মানবিকতাই নেই সে মানুষ কি করে হয়? সে পশুর সমতুল্য। তাই বিশ্বজুড়ে যারা ধর্মের নামে অমানবিক কর্মকান্ডে লিপ্ত তাদের সকলের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে হবে। তাদের কর্মকান্ডের কোনো ব্যাখ্যা হতে পারে না। সে কৃষ্ণাঙ্গ হোক, শেতাঙ্গ হোক, মুসলমান হোক বা খ্রিস্টান হোক, একজন সন্ত্রাসী সকলের কাছেই ঘৃণ্য। আমরা যদি আজ সকল প্রকার উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এক হতে না পারি তাহলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে এ সভ্যতা। এ দেশে যখন লেখক-ব্লগারদের ওপর হামলা হয়েছিল তখনও দেখা গেছে অসংখ্য মানুষ এই উগ্রবাদী কর্মকান্ডকে সমর্থন দিয়েছে। একজন মানবগুণ সম্পন্ন মানুষ সব ধরনের উগ্রতাকে ঘৃণা করবে। তাই যারা কোনো ধরনের উগ্রবাদকে সমর্থন করে তাদেরকেও বর্জন করতে হবে। আর আমরা যদি সকল উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সে যে মতাদর্শেরই হোক না কেনো এক হতে না পারি তাহলে এ ধরনের বহু টুইটটাওয়ার হামলা, ক্রাইস্টচার্চ ট্রাজেডি কিংবা ব্লগার হত্যার মত উগ্রবাদী কর্মকান্ড চলতেই থাকবে। একইসঙ্গে, আমরা যে বৈষম্যহীন মানবিক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি তা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
যে সন্ত্রাসী ক্রাইস্টচার্চে হামলা চালিয়ে নিরিহ মুসলমানদের হত্যা করেছে আর আইএসের যে সদস্য ইউরোপের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে নিরিহ শিশুকে হত্যা করেছে তাদের মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য নেই। দুজনই কট্টোরপন্থী এবং তারা মনে করে তারা যাদের হত্যা করেছে এটাই তাদের প্রাপ্য।
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী নিজের কর্মকান্ডকে ইউরোপে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। অথচ ইউরোপে আইএস জঙ্গিরা যেমন কিছু নিরিহ মানুষকেই হত্যা করেছে, সে নিজেও নামাজরত কিছু নিরিহ মুসলমানকে হত্যা করল। এরপর যদি এই হামলায় স্বজন হারানো কেউ প্রতিশোধ নিতে আরো কয়েকজন নিরিহ মানুষ হত্যা করতে শুরু করে তাহলে এই পৃথিবীর অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না। এমনটাই বলছেন ম্যানচেস্টার বোমা হামলায় বেচে যাওয়া একজন রুথ মুরেল। সেখানে এক ধর্মান্ধ মুসলিম বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল কমপক্ষে ২৩ জনকে। সেই হামলা থেকে বেচে যাওয়া রুথ ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর হামলার পর বলেছেন, এ ঘটনা শুনে আমি বারবার সেই ম্যানচেস্টার বোমা হামলার সময়ে ফিরে যাচ্ছি। তিনি এই দুটি হামলাকেই একইভাবে দেখেন। ম্যানচেস্টার হামলার পর রুথ মুরেল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্বরব ছিলেন সবসময়। ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর তিনি টেরন্টসহ পৃথিবীর সকল উগ্রবাদীদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, তোমরা কখনো জয়ী হতে পারবে না। ওই হামলায় নিহত তিন বছরের শিশু মুসাদ ইব্রাহিমের বিষয়ে তিনি বলেন, নিরিহ শিশু হত্যা করা অসভ্যতা। ইব্রাহিমের জন্য হলেও আমাদেরকে ওই উগ্রদের কখনো জয়ী হতে দেয়া যাবে না।
তাই কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ নয়, লড়াই করতে হবে সকল উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। টেরেন্ট হামলার সময় যে বন্দুক ব্যবহার করেছিল তাতে লেখা ছিল, ‘রদারহ্যামে নির্যাতিত শিশুদের জন্য’। স্যামি উডহাউজ একজন যিনি রদারহ্যামে পাকিস্তানি যৌন নিপিরকদের হাত থেকে বেচে গিয়েছিলেন। ক্রাইস্টচার্চে তারপক্ষে হামলার পরেও তিনি হামলাকারীর প্রতি ঘৃণা দেখাতে পিছপা হননি। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই হত্যাজজ্ঞ আমার নামে হতে পারে না, এটি একটি পৈশাচিক কাজ। এছাড়া ওয়েস্টমিনিস্টারে জিহাদি হামলার শিকার হওয়া কেইথ চ্যাপম্যানও মুসলিমদের বিরুদ্ধে হওয়া হামলার বিরোধিতা করেন। তিনি সকল সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহবান জানান বিশ্ববাসীর প্রতি।
মানুষের প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে মানবিকতা। যার মধ্যে মানবিকতাই নেই সে মানুষ কি করে হয়? সে পশুর সমতুল্য। তাই বিশ্বজুড়ে যারা ধর্মের নামে অমানবিক কর্মকান্ডে লিপ্ত তাদের সকলের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে হবে। তাদের কর্মকান্ডের কোনো ব্যাখ্যা হতে পারে না। সে কৃষ্ণাঙ্গ হোক, শেতাঙ্গ হোক, মুসলমান হোক বা খ্রিস্টান হোক, একজন সন্ত্রাসী সকলের কাছেই ঘৃণ্য। আমরা যদি আজ সকল প্রকার উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এক হতে না পারি তাহলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে এ সভ্যতা। এ দেশে যখন লেখক-ব্লগারদের ওপর হামলা হয়েছিল তখনও দেখা গেছে অসংখ্য মানুষ এই উগ্রবাদী কর্মকান্ডকে সমর্থন দিয়েছে। একজন মানবগুণ সম্পন্ন মানুষ সব ধরনের উগ্রতাকে ঘৃণা করবে। তাই যারা কোনো ধরনের উগ্রবাদকে সমর্থন করে তাদেরকেও বর্জন করতে হবে। আর আমরা যদি সকল উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সে যে মতাদর্শেরই হোক না কেনো এক হতে না পারি তাহলে এ ধরনের বহু টুইটটাওয়ার হামলা, ক্রাইস্টচার্চ ট্রাজেডি কিংবা ব্লগার হত্যার মত উগ্রবাদী কর্মকান্ড চলতেই থাকবে। একইসঙ্গে, আমরা যে বৈষম্যহীন মানবিক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি তা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
No comments