বাইরের পৃথিবীর কাছে এই নিউজিল্যান্ড তো ‘অচেনা’
ক্রাইস্টচার্চের
মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ‘নিরাপদ নিউজিল্যান্ড’ ধারণাটা বড় ধাক্কা
খেয়েছে, প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে দেশটির নিরাপত্তাব্যবস্থাই
যে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ গিয়েছিল, আর যে নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ ফিরে এসেছে, দুটির মধ্যে বিস্তর ফারাক। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা এক ধাক্কায় খেলার দুনিয়াসহ বাইরের পৃথিবীর কাছে বদলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ভাবমূর্তি। এ হামলায় একটুর জন্য বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, এরপর থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে বাংলাদেশ কোনো সফরে যাবে না। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইটও স্বীকার করেছেন, এই ঘটনায় নিরাপদ নিউজিল্যান্ড ধারণাটা একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে। আসলে নিরাপত্তাব্যবস্থাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার পরই বাতিল করা হয়েছে এ শহরে হতে যাওয়া বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ টেস্ট। এ ছাড়া হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরই মধ্যে গতকাল নির্ধারিত ওটাগো হাইল্যান্ডারস ও ক্যান্টাবুরি ক্রুসেডারসের মধ্যকার সুপার রাগবি লিগের ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেটের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী ক্যান্টারবুরি। তাদের এই সিদ্ধান্তে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতে যাচ্ছে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস। একই টুর্নামেন্টে অকল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ না খেলার ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিল ও লকি ফার্গুসন। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর ডানেডিনে তাঁরা দলের সঙ্গে যাননি। অকল্যান্ডের হাইপারফরম্যান্স ম্যানেজার সাইমন ইনসলে বলছেন, ‘দুজনের কেউই ম্যাচ খেলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই।’
এ তো গেল এ ঘটনার সাময়িক প্রভাবের কথা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট মনে করছেন, এটার বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলা আয়োজন ও সামগ্রিক ভাবমূর্তিতে। নিউজিল্যান্ডকে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলেও মনে করেন হোয়াইট, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ওপর বড়সড় প্রভাব পড়বে এ ঘটনার। আমার মনে হয় এই ঘটনার পর সব বদলে যাবে। নিউজিল্যান্ড নিরাপদ স্বর্গ, এই ধারণাটাই তো একেবারে উবে গেল এই ঘটনায়। আমাদের এখন খুবই খুবই সতর্ক থাকতে হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় দীর্ঘদিন বড় কোনো দল পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট সফরে যাচ্ছে না। এই ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আইসিসির এটা ভেবে দেখা উচিত এবং এই সন্ত্রাসী হামলার পর নিউজিল্যান্ডেও সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ করা উচিত।’
এখনই এমন সিদ্ধান্ত আইসিসি বা এর সদস্য দেশগুলো নেবে কি না, সেটি দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে এই দুঃসময়ে নিউজিল্যান্ডকে ব্রাত্য করে না দিয়ে বরং পাশে থাকার জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেছেন দেশটির অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বাকি সবার মতো আমিও আসলে বুঝতে চেষ্টা করছি, ক্রাইস্টচার্চে কী হয়ে গেল! আমার দেশটার এখন আপনাদের সবার ভালোবাসা খুব দরকার। আমি আমার হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা দিলাম ক্রাইস্টচার্চে হামলায় নিহতদের প্রতি, তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, মুসলিম সম্প্রদায় ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিটি ভগ্নহৃদয় মানুষের প্রতি। চলুন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হই।’
যে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ গিয়েছিল, আর যে নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ ফিরে এসেছে, দুটির মধ্যে বিস্তর ফারাক। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা এক ধাক্কায় খেলার দুনিয়াসহ বাইরের পৃথিবীর কাছে বদলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ভাবমূর্তি। এ হামলায় একটুর জন্য বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, এরপর থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে বাংলাদেশ কোনো সফরে যাবে না। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইটও স্বীকার করেছেন, এই ঘটনায় নিরাপদ নিউজিল্যান্ড ধারণাটা একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে। আসলে নিরাপত্তাব্যবস্থাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার পরই বাতিল করা হয়েছে এ শহরে হতে যাওয়া বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ টেস্ট। এ ছাড়া হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরই মধ্যে গতকাল নির্ধারিত ওটাগো হাইল্যান্ডারস ও ক্যান্টাবুরি ক্রুসেডারসের মধ্যকার সুপার রাগবি লিগের ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেটের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী ক্যান্টারবুরি। তাদের এই সিদ্ধান্তে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতে যাচ্ছে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস। একই টুর্নামেন্টে অকল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ না খেলার ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিল ও লকি ফার্গুসন। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর ডানেডিনে তাঁরা দলের সঙ্গে যাননি। অকল্যান্ডের হাইপারফরম্যান্স ম্যানেজার সাইমন ইনসলে বলছেন, ‘দুজনের কেউই ম্যাচ খেলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই।’
এ তো গেল এ ঘটনার সাময়িক প্রভাবের কথা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট মনে করছেন, এটার বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলা আয়োজন ও সামগ্রিক ভাবমূর্তিতে। নিউজিল্যান্ডকে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলেও মনে করেন হোয়াইট, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ওপর বড়সড় প্রভাব পড়বে এ ঘটনার। আমার মনে হয় এই ঘটনার পর সব বদলে যাবে। নিউজিল্যান্ড নিরাপদ স্বর্গ, এই ধারণাটাই তো একেবারে উবে গেল এই ঘটনায়। আমাদের এখন খুবই খুবই সতর্ক থাকতে হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় দীর্ঘদিন বড় কোনো দল পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট সফরে যাচ্ছে না। এই ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আইসিসির এটা ভেবে দেখা উচিত এবং এই সন্ত্রাসী হামলার পর নিউজিল্যান্ডেও সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ করা উচিত।’
এখনই এমন সিদ্ধান্ত আইসিসি বা এর সদস্য দেশগুলো নেবে কি না, সেটি দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে এই দুঃসময়ে নিউজিল্যান্ডকে ব্রাত্য করে না দিয়ে বরং পাশে থাকার জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেছেন দেশটির অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বাকি সবার মতো আমিও আসলে বুঝতে চেষ্টা করছি, ক্রাইস্টচার্চে কী হয়ে গেল! আমার দেশটার এখন আপনাদের সবার ভালোবাসা খুব দরকার। আমি আমার হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা দিলাম ক্রাইস্টচার্চে হামলায় নিহতদের প্রতি, তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, মুসলিম সম্প্রদায় ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিটি ভগ্নহৃদয় মানুষের প্রতি। চলুন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হই।’
No comments