হামলার ৯ মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রীকে মেইল
নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলার আগে হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন
টারান্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেনের কার্যালয়ে ইশতেহার
(মেনিফেস্টো) পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ব্রেনটন টারান্টের শুক্রবারের হামলার
কারণের ব্যাখ্যা ছিল। একই মেনিফেস্টো পাঠানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন
প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কাছেও।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলাকারী ৩০ জায়গায় তাঁর ইশতেহার পাঠিয়েছেন। এর মধ্য আমার কার্যালয়ও আছে। হামলার ৯ মিনিট আগে এই ই-মেইল পাওয়া যায়। তবে এটা কোথা থেকে পাঠানো, তার অবস্থান জানা যায়নি।’ তিনি বলেন, এই মেইল পাওয়ার দুই মিনিট পরই তা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যে অ্যাকাউন্টে হামলার ৯ মিনিট আগে মেইলটি পাঠানো হয়েছে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত না। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা মেইলটি ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা মেইলে পাঠানো ওই ইশতেহার দেখতে পান। তিনি সেটা সংসদীয় নিরাপত্তা বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে পাঠানো হয় পুলিশের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই কর্মকর্তা ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্টের পাঠানো ইশতেহার হয়তো ততটা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেননি। মেইল পাঠানোর ৯ মিনিট পরে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলা হয়। এত প্রাণ হারান ৫০ মুসল্লি।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একই ইশতেহার পাঠানো হয় নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেন, যেসব গ্রাহকের কাছে ওই মেইল পাঠানো হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম। তালিকায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ট্রেভর মালার্ড ও ন্যাশনাল পার্টির নেতা সাইমন ব্রিজ। মুখপাত্র বলেন, ‘মেইলে ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট এই কাজের কারণ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কী করতে যাচ্ছেন, তা বলেনি। তাই এটা আটকে দেওয়া বা রুখে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি।’
ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট তাঁর শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী হামলার কারণ ইশতেহারে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ইশতেহারের বলা হয়েছে, আরেক সন্ত্রাসী অ্যান্ডার্স ব্রেইভিকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিউজিল্যান্ডে হামলা চালিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং লন্ডনের মেয়র সাদেক খানের মৃত্যু কামনা করেছেন। ওই ইশতেহারের নাম তিনি দিয়েছেন ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’।
হ্যারিসন টারান্টের নৃশংসতার কবল থেকে কয়েক মিনিটের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে তাঁরা ওই সময় গিয়েছিলেন মসজিদে। একজন নারী তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। তাঁর নিষেধেই তড়িঘড়ি করে ওই স্থান ছেড়ে চলে যান ক্রিকেটাররা।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে সন্ত্রাসী হামলা হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়। দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত প্রায় ৫০ জন। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়।
আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। আল নুর মসজিদে আনুমানিক ৩০০ এবং লিনউড মসজিদে শ খানেক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন বলে জানা গেছে।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। মরদেহগুলো শনাক্তের কাজ দ্রুত করা হচ্ছে।
অনলাইনে এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে হামলায় হতাহত হওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের আগে এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত কাজ শেষ করা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধর্মীয় রীতি মেনে যাতে দ্রুত দাফনের কাজ শেষ করা যায়, সে জন্য তাঁরা তৎপর রয়েছেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলাকারী ৩০ জায়গায় তাঁর ইশতেহার পাঠিয়েছেন। এর মধ্য আমার কার্যালয়ও আছে। হামলার ৯ মিনিট আগে এই ই-মেইল পাওয়া যায়। তবে এটা কোথা থেকে পাঠানো, তার অবস্থান জানা যায়নি।’ তিনি বলেন, এই মেইল পাওয়ার দুই মিনিট পরই তা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যে অ্যাকাউন্টে হামলার ৯ মিনিট আগে মেইলটি পাঠানো হয়েছে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত না। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা মেইলটি ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা মেইলে পাঠানো ওই ইশতেহার দেখতে পান। তিনি সেটা সংসদীয় নিরাপত্তা বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে পাঠানো হয় পুলিশের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই কর্মকর্তা ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্টের পাঠানো ইশতেহার হয়তো ততটা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেননি। মেইল পাঠানোর ৯ মিনিট পরে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলা হয়। এত প্রাণ হারান ৫০ মুসল্লি।
নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একই ইশতেহার পাঠানো হয় নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেন, যেসব গ্রাহকের কাছে ওই মেইল পাঠানো হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম। তালিকায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ট্রেভর মালার্ড ও ন্যাশনাল পার্টির নেতা সাইমন ব্রিজ। মুখপাত্র বলেন, ‘মেইলে ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট এই কাজের কারণ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কী করতে যাচ্ছেন, তা বলেনি। তাই এটা আটকে দেওয়া বা রুখে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি।’
ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট তাঁর শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী হামলার কারণ ইশতেহারে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ইশতেহারের বলা হয়েছে, আরেক সন্ত্রাসী অ্যান্ডার্স ব্রেইভিকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিউজিল্যান্ডে হামলা চালিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং লন্ডনের মেয়র সাদেক খানের মৃত্যু কামনা করেছেন। ওই ইশতেহারের নাম তিনি দিয়েছেন ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’।
হ্যারিসন টারান্টের নৃশংসতার কবল থেকে কয়েক মিনিটের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে তাঁরা ওই সময় গিয়েছিলেন মসজিদে। একজন নারী তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। তাঁর নিষেধেই তড়িঘড়ি করে ওই স্থান ছেড়ে চলে যান ক্রিকেটাররা।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে সন্ত্রাসী হামলা হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়। দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত প্রায় ৫০ জন। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়।
আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। আল নুর মসজিদে আনুমানিক ৩০০ এবং লিনউড মসজিদে শ খানেক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন বলে জানা গেছে।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। মরদেহগুলো শনাক্তের কাজ দ্রুত করা হচ্ছে।
অনলাইনে এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে হামলায় হতাহত হওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের আগে এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত কাজ শেষ করা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধর্মীয় রীতি মেনে যাতে দ্রুত দাফনের কাজ শেষ করা যায়, সে জন্য তাঁরা তৎপর রয়েছেন।
No comments