প্রতিবেশী দেশগুলো চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ছে: ডানফোর্ড
প্রতিবেশী
দেশগুলোকে ঋণ দিয়ে ধীরে ধীরে আগ্রাসনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে চীন। আর
এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস
কমিটির কাছে গত বৃহস্পতিবার পুরো বিষয়টি জানিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন
মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জোসেফ ডানফোর্ড। ইকোনমিক টাইমস
সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
চীনের আর্থিক সহযোগিতায় পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গদর বন্দর বানাচ্ছে পাকিস্তান। গদর বন্দরসহ বিভিন্ন নির্মীয়মাণ প্রকল্পের জন্য চীনের কাছ থেকে ১ হাজার কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। ডানফোর্ড জানিয়েছেন, এভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে চীন। চীনের এই ঋণনীতি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সে সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেছেন ডানফোর্ড।
চীনের এই ‘ছদ্মবেশী ঋণনীতি’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের উদাহরণও তুলে ধরেন ডানফোর্ড। সমুদ্রবন্দর বানানোর জন্য চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পরিবর্তে ওই বন্দর ৯৯ বছর ব্যবহারের জন্য চীনকে ইজারা দেয় শ্রীলঙ্কা। শুধু তা-ই নয়, শর্ত অনুযায়ী বন্দরের ৭০ শতাংশই চীনের আয়ত্তে থাকবে। মালদ্বীপের ক্ষেত্রেও একই নীতি নিয়েছে চীন। মালদ্বীপের কাছে তার পাওনা ১৫০ কোটি ডলার, যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০ শতাংশ।
চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রধান শরিক হলো ইউরেশিয়া অঞ্চল। রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও তাজিকিস্তানকে চীন তেল ও গ্যাসে ডুবিয়ে দিতে চলেছে—এমন পরিকল্পনার কথা এখন সবার মুখে মুখে। গত কয়েক বছরে রেলপথেও ইউরেশিয়ার কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে ফেলেছে চীন। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে চীনা সামরিক ঘাঁটি বানানোর প্রত্যক্ষ তথ্য কারও হাতে নেই তা ঠিক, কিন্তু জিবুতিতে সেনা ঘাঁটি তৈরির পর ওই সব অঞ্চলেও তারা ঘাঁটি করতেই পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইউরেশিয়া অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য সি চিন পিং সরকার বিপুল পরিমাণ পুঁজির সংস্থান করেছে। আর তাতে কাজে লাগানো হচ্ছে চীন ও পূর্ব ইউরোপের ১৬টি দেশ নিয়ে গড়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনকে (এসসিও)। লক্ষণীয়, বেশ কিছু পূর্ব ইউরোপীয় দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও (ইইউ) সদস্য।
জর্জ বুশের সময় যুক্তরাষ্ট্রের যে রকম সক্রিয় মধ্য এশিয়া নীতি নিয়ে ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় তা অনেকটাই অনুপস্থিত। মনে করা হচ্ছে, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর মার্কিন বুটের ছাপ আরও কমবে ওই এলাকায়। আর চীনের সবচেয়ে বড় মিত্র হলো রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার এটাই মূল কারণ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছে চীন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও নিজেদের প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। ডানফোর্ড তাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এখনই যদি চীনের এই ছদ্মবেশী ঋণনীতি গুরুত্বসহকারে আমলে না নেওয়া হয়, তা হলে এর প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও পড়তে পারে।
চীনের আর্থিক সহযোগিতায় পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গদর বন্দর বানাচ্ছে পাকিস্তান। গদর বন্দরসহ বিভিন্ন নির্মীয়মাণ প্রকল্পের জন্য চীনের কাছ থেকে ১ হাজার কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। ডানফোর্ড জানিয়েছেন, এভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে চীন। চীনের এই ঋণনীতি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সে সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেছেন ডানফোর্ড।
চীনের এই ‘ছদ্মবেশী ঋণনীতি’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের উদাহরণও তুলে ধরেন ডানফোর্ড। সমুদ্রবন্দর বানানোর জন্য চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পরিবর্তে ওই বন্দর ৯৯ বছর ব্যবহারের জন্য চীনকে ইজারা দেয় শ্রীলঙ্কা। শুধু তা-ই নয়, শর্ত অনুযায়ী বন্দরের ৭০ শতাংশই চীনের আয়ত্তে থাকবে। মালদ্বীপের ক্ষেত্রেও একই নীতি নিয়েছে চীন। মালদ্বীপের কাছে তার পাওনা ১৫০ কোটি ডলার, যা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০ শতাংশ।
চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রধান শরিক হলো ইউরেশিয়া অঞ্চল। রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও তাজিকিস্তানকে চীন তেল ও গ্যাসে ডুবিয়ে দিতে চলেছে—এমন পরিকল্পনার কথা এখন সবার মুখে মুখে। গত কয়েক বছরে রেলপথেও ইউরেশিয়ার কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে ফেলেছে চীন। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে চীনা সামরিক ঘাঁটি বানানোর প্রত্যক্ষ তথ্য কারও হাতে নেই তা ঠিক, কিন্তু জিবুতিতে সেনা ঘাঁটি তৈরির পর ওই সব অঞ্চলেও তারা ঘাঁটি করতেই পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইউরেশিয়া অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য সি চিন পিং সরকার বিপুল পরিমাণ পুঁজির সংস্থান করেছে। আর তাতে কাজে লাগানো হচ্ছে চীন ও পূর্ব ইউরোপের ১৬টি দেশ নিয়ে গড়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনকে (এসসিও)। লক্ষণীয়, বেশ কিছু পূর্ব ইউরোপীয় দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও (ইইউ) সদস্য।
জর্জ বুশের সময় যুক্তরাষ্ট্রের যে রকম সক্রিয় মধ্য এশিয়া নীতি নিয়ে ছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় তা অনেকটাই অনুপস্থিত। মনে করা হচ্ছে, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর মার্কিন বুটের ছাপ আরও কমবে ওই এলাকায়। আর চীনের সবচেয়ে বড় মিত্র হলো রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার এটাই মূল কারণ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছে চীন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও নিজেদের প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। ডানফোর্ড তাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এখনই যদি চীনের এই ছদ্মবেশী ঋণনীতি গুরুত্বসহকারে আমলে না নেওয়া হয়, তা হলে এর প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও পড়তে পারে।
No comments