পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে গেলেন মিলার by মিজানুর রহমান
রাষ্ট্রদূত
হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় পৌঁছানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেগুনবাগিচা ঘুরে
গেলেন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিক আর্ল রবার্ট মিলার। সঙ্গে মার্কিন
দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জুয়েল রিফম্যানও। নয়া দূত পরিচিত হলেন
রাষ্ট্রাচার প্রধানসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
সঙ্গে। কথা বললেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া পরিচয়পত্র প্রেসিডেন্ট
আবদুল হামিদের কাছে পেশ করার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে। ধারণা দিলেন তিনি
বাংলাদেশকে নিয়ে কী ভাবছেন সেই বিষয়েও।
দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টায় পূর্ব নির্ধারিত অ্যাপয়েনমেন্ট অনুযায়ী সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেগুনবাগিচায় যান আর্ল রবার্ট মিলার। এরপর বৈঠকে বসেন চিফ অব প্রটোকল মো. শহীদুল করিমের সঙ্গে। পরিচিতিমূলক এ বৈঠকে নানা বিষয়ে কথা বলেন তারা। নবাগত মার্কিন দূত বাংলাদেশ নিয়ে বিশেষত রাষ্ট্রাচার বিষয়ে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেন।
দূতাবাসের তরফে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার পরিচয়পত্র পেশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়। সেগুনবাগিচার পক্ষ থেকে অতি দ্রুত বঙ্গভবনের বিবেচনায় বিষয়টি উপস্থাপনের অঙ্গীকার করা হয়। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ আগামী ২রা ডিসেম্বর ৪ দিনের সফরে পোল্যান্ড যাচ্ছেন।
ওই সফরের আগে তার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। সেটি বাতিল হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, গতকালই মার্কিন দূতের পরিচয়পত্র পেশের সময় চেয়ে বঙ্গভবন বরাবর নোট পাঠানো হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীসহ সামনে কয়েক দিন ছুটি থাকায় হয়তো আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত রোববার বিকাল ৪টা ৪১ মিনিটে এমিরেটস-এর নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান নয়া মার্কিন দূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক ফেরদৌসি শাহরিয়ার এবং মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জয়েল রিফম্যানসহ সরকার ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান। পরে ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি পরিচিত হন এবং কুশল বিনিময় করেন।
প্রথম সাক্ষাতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ঢাকার জন্য মনোনীত মার্কিন দূত আর্ল রবার্ট মিলার। বলেন, আমি আমার পূর্বসূরিদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। তারা এখানকার অনেক ঘটনার সাক্ষী। বাংলাদেশের অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে উল্লেখ করে মিলার বলেন, পূর্বসূরিদের কাছ থেকে লব্ধ জ্ঞান আমার চলার পথে সহায়ক হবে। আমি তাদের দেখানো পথেই হাঁটতে চাই। আমাদের উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধকরণে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য মনোনীত হওয়ার আগে আর্ল রবার্ট মিলার বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগ দেন।
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কন্সাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন তিনি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কপস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মিলার মার্কিন মেরিন কোরে অফিসার এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মেরিন কোর রিজার্ভে অফিসার পদে ছিলেন।
দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টায় পূর্ব নির্ধারিত অ্যাপয়েনমেন্ট অনুযায়ী সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেগুনবাগিচায় যান আর্ল রবার্ট মিলার। এরপর বৈঠকে বসেন চিফ অব প্রটোকল মো. শহীদুল করিমের সঙ্গে। পরিচিতিমূলক এ বৈঠকে নানা বিষয়ে কথা বলেন তারা। নবাগত মার্কিন দূত বাংলাদেশ নিয়ে বিশেষত রাষ্ট্রাচার বিষয়ে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেন।
দূতাবাসের তরফে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার পরিচয়পত্র পেশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়। সেগুনবাগিচার পক্ষ থেকে অতি দ্রুত বঙ্গভবনের বিবেচনায় বিষয়টি উপস্থাপনের অঙ্গীকার করা হয়। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ আগামী ২রা ডিসেম্বর ৪ দিনের সফরে পোল্যান্ড যাচ্ছেন।
ওই সফরের আগে তার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। সেটি বাতিল হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, গতকালই মার্কিন দূতের পরিচয়পত্র পেশের সময় চেয়ে বঙ্গভবন বরাবর নোট পাঠানো হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীসহ সামনে কয়েক দিন ছুটি থাকায় হয়তো আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত রোববার বিকাল ৪টা ৪১ মিনিটে এমিরেটস-এর নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান নয়া মার্কিন দূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক ফেরদৌসি শাহরিয়ার এবং মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স জয়েল রিফম্যানসহ সরকার ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান। পরে ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি পরিচিত হন এবং কুশল বিনিময় করেন।
প্রথম সাক্ষাতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ঢাকার জন্য মনোনীত মার্কিন দূত আর্ল রবার্ট মিলার। বলেন, আমি আমার পূর্বসূরিদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। তারা এখানকার অনেক ঘটনার সাক্ষী। বাংলাদেশের অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে উল্লেখ করে মিলার বলেন, পূর্বসূরিদের কাছ থেকে লব্ধ জ্ঞান আমার চলার পথে সহায়ক হবে। আমি তাদের দেখানো পথেই হাঁটতে চাই। আমাদের উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধকরণে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য মনোনীত হওয়ার আগে আর্ল রবার্ট মিলার বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগ দেন।
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কন্সাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন তিনি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কপস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মিলার মার্কিন মেরিন কোরে অফিসার এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মেরিন কোর রিজার্ভে অফিসার পদে ছিলেন।
No comments