মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবেন -পর্যবেক্ষকদের ইসি সচিব
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণে থাকা পর্যবেক্ষকরা কেন্দ্রের ছবি
তুলতে পারবেন না। কেন্দ্রের পরিবেশ ভিডিও করতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকদের
উদ্দেশে এমন নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে
দেয়া মৌখিক নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষণের সময় গণমাধ্যমের কাছে
সাক্ষাৎকার দেয়া যাবে না। এমনকি পর্যবেক্ষকরা মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে
পারবেন না। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে তারা শুধু ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।
নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে- এমন কর্মকাণ্ড ঘটালে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্রিফিংয়ে এসব নির্দেশনা দেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ইসি প্রণীত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালায় এমন কোনো নির্দেশনা নেই যে, পর্যবেক্ষকরা ভোটকেন্দ্রে ছবি তুলতে পারবেন না।
তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়েও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার প্রদানের বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন পর্যবেক্ষকরা মিডিয়ার সামনে এমন কোনো মন্তব্য করবেন না যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত বা প্রভাবিত করতে পারে। ইসি সচিব যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মৌখিক নির্দেশনা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সচিব বলেন, যখন আপনারা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন তখন কয়েকটি সাবধান বাণী উচ্চারণ করবেন। কেন্দ্রে কোনো মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না, কোনো ছবি তুলতে পারবেন না, কোনো কমেন্টস করতে পারবেন না, শুধু মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন। সেই কেন্দ্রে যত প্রবলেমই হোক তা পর্যবেক্ষণ করে আপনার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন। তারপর আপনি সবার কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে কম্পাইল করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। সচিব আরো বলেন, পর্যবেক্ষণের সময় গোপন কক্ষে যাওয়া যাবে না, কাউকে নির্দেশনা দিতে পারবেন না, প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারকে কোনো পরামর্শ দিতে পারবেন না। এগুলো ক্লিয়ার করে বলে দেবেন। যদি কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, এটা তারা কমিশনকে অবহিত করতে পারেন বা আপনাকে লিখিতভাবে অবহিত করতে পারেন।
গণমাধ্যমের কাছে পর্যবেক্ষকরা কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না উল্লেখ করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক সাংবাদিক পর্যবেক্ষকদের সামনে ক্যামেরা ধরবেন, উনি কিন্তু কথা বলতে পারবেন না। কোনো সংবাদ মাধ্যমে লাইভে কথা বলতে পারবেন না, কমেন্টস করতে পারবেন না। বৃটেনের পুলিশের মতো মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবে। আপনাদের কাছে লিখিত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে কোনো মন্তব্য করবে না। আপনারাও যখন কম্পাইল করে জমা দেবেন, তার আগে আপনারাও কোনো কমেন্টস করবেন না। রিপোর্ট কম্পাইল হলে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। এবং আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন। আপনাদের আচরণ হবে নিউট্রাল। এমন কোনো ব্যক্তিকে আপনারা নিয়োগ করবেন না যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য। এগুলো আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।
পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করে সচিব বলেন, একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন নিবন্ধন যাতে বাতিল না হয়। আপনারা অনেকে কিন্তু এনজিও হিসেবে কাজ করেন। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনারা নির্বাচনেও কাজ করেন। কিন্তু এখান থেকে যদি আমরা রিপোর্ট দেই যে, আপনি এই ধরনের একটি আচরণ করেছেন। যার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। তাহলে কিন্তু আপনার নিবন্ধনটা বাতিল করার জন্য যারা নিবন্ধন দেয় তাদেরকেও আমরা চিঠি দিয়ে দেবো। সুতরাং বি কেয়ারফুল। আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না, এমন কোনো কাজ করবেন না- যার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াটা ভণ্ডুল হতে পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এসময় সচিব আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের ১১৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা ছিল। তার মধ্যে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে এনজিও ব্যুরো থেকে এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থেকে অভিযোগ আসায় নির্বাচন পর্যাবেক্ষক নীতিমালা অনুসরণ করে তার নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এজন্য খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ফলো করে দায়িত্ব পালন করবেন। ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান ও এসএম আসাদুজ্জামান।
নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে- এমন কর্মকাণ্ড ঘটালে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্রিফিংয়ে এসব নির্দেশনা দেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ইসি প্রণীত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালায় এমন কোনো নির্দেশনা নেই যে, পর্যবেক্ষকরা ভোটকেন্দ্রে ছবি তুলতে পারবেন না।
তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়েও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার প্রদানের বিষয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন পর্যবেক্ষকরা মিডিয়ার সামনে এমন কোনো মন্তব্য করবেন না যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত বা প্রভাবিত করতে পারে। ইসি সচিব যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মৌখিক নির্দেশনা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সচিব বলেন, যখন আপনারা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন তখন কয়েকটি সাবধান বাণী উচ্চারণ করবেন। কেন্দ্রে কোনো মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না, কোনো ছবি তুলতে পারবেন না, কোনো কমেন্টস করতে পারবেন না, শুধু মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন। সেই কেন্দ্রে যত প্রবলেমই হোক তা পর্যবেক্ষণ করে আপনার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন। তারপর আপনি সবার কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে কম্পাইল করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। সচিব আরো বলেন, পর্যবেক্ষণের সময় গোপন কক্ষে যাওয়া যাবে না, কাউকে নির্দেশনা দিতে পারবেন না, প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারকে কোনো পরামর্শ দিতে পারবেন না। এগুলো ক্লিয়ার করে বলে দেবেন। যদি কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, এটা তারা কমিশনকে অবহিত করতে পারেন বা আপনাকে লিখিতভাবে অবহিত করতে পারেন।
গণমাধ্যমের কাছে পর্যবেক্ষকরা কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না উল্লেখ করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক সাংবাদিক পর্যবেক্ষকদের সামনে ক্যামেরা ধরবেন, উনি কিন্তু কথা বলতে পারবেন না। কোনো সংবাদ মাধ্যমে লাইভে কথা বলতে পারবেন না, কমেন্টস করতে পারবেন না। বৃটেনের পুলিশের মতো মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবে। আপনাদের কাছে লিখিত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে কোনো মন্তব্য করবে না। আপনারাও যখন কম্পাইল করে জমা দেবেন, তার আগে আপনারাও কোনো কমেন্টস করবেন না। রিপোর্ট কম্পাইল হলে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। এবং আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন। আপনাদের আচরণ হবে নিউট্রাল। এমন কোনো ব্যক্তিকে আপনারা নিয়োগ করবেন না যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য। এগুলো আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।
পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করে সচিব বলেন, একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন নিবন্ধন যাতে বাতিল না হয়। আপনারা অনেকে কিন্তু এনজিও হিসেবে কাজ করেন। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনারা নির্বাচনেও কাজ করেন। কিন্তু এখান থেকে যদি আমরা রিপোর্ট দেই যে, আপনি এই ধরনের একটি আচরণ করেছেন। যার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। তাহলে কিন্তু আপনার নিবন্ধনটা বাতিল করার জন্য যারা নিবন্ধন দেয় তাদেরকেও আমরা চিঠি দিয়ে দেবো। সুতরাং বি কেয়ারফুল। আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না, এমন কোনো কাজ করবেন না- যার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াটা ভণ্ডুল হতে পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এসময় সচিব আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের ১১৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা ছিল। তার মধ্যে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে এনজিও ব্যুরো থেকে এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থেকে অভিযোগ আসায় নির্বাচন পর্যাবেক্ষক নীতিমালা অনুসরণ করে তার নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এজন্য খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ফলো করে দায়িত্ব পালন করবেন। ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান ও এসএম আসাদুজ্জামান।
No comments