নারী দেখলেই আপত্তিকর আচরণ বন্দিদের
বিশ্বজুড়ে
শুরু হয়েছে যৌন নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন মি-টু। তবে এর অনেক আগেই
যুক্তরাষ্ট্রে জেলখানায় যৌন নির্যাতনের বিষয়টি আলোর মুখ দেখতে পায়। ২০১০
সালে ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপর্চুনিটি কমিশন (ইইওসি) একটি রিপোর্টকে অবজ্ঞা
করে বলে যে, ব্যুরো অব প্রিজনস পর্যায়ক্রমিকভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো
ভুলভাবে ‘হ্যান্ডেল’ করছে। ব্যুরো অব প্রিজন্সে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি
নারী কর্মী আছেন। তবে তারা বলছেন, যেসব নারী যৌন নির্যাতিত হয়ে মুখ খোলার
সাহস দেখান তাদের বিষয়ে কোন পরিবর্তন হয় নি বললেই চলে। মিয়ামিতে একজন
সংশোধনাগারের কর্মকর্তা কুইনটিনা পন্ডার। তিনি বলেন, একবার যদি কোন নারী এ
নিয়ে মুখ খোলেন তাহলে তাকে ব্লাকমেইল করবে সরকারই। কুইনটিনা পন্ডার উচ্চ
পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন।
সেই ঘটনাটি স্থগিত করা হয় ২০১৫ সালে।
২০১৭ সালের মে। হাউস অপারসাইট কমিটি ওই এজেন্সির বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করে। তাবেম বলা হয়, যৌন অসদাচরণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের বা শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হন নি জেলে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা।
এসব নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৩৫ জনেরও বেশি নারী। তাদের একজন বলেছেন, জেলখানার বন্দিরা নারী প্রহরীদের সামনে আপত্তিকর আচরণ করে। তারা মাস্টারবেট করে। এমন ঘটনা ঘটে চলার পথে, গোসল করার সময়। এমন কি একটিভিটি রুমে। ওই নারী বলেছেন, এক শিফটে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সম্ভবত এ কাজ করতে দেখেছি আমি ২৫ থেকে ৩০ জন বন্দিকে। আরেকটি সাক্ষ্যে বলা হয়েছে ৭০ জন বন্দিকে দেখাশোনার জন্য রাখা হয়েছিল দু’জন নারী প্রহরী বা কর্মকর্তাকে। কিন্তু ওইসব বন্দি এই নারী অফিসারদের সামনে তাদের স্পর্শকাতর অঙ্গ বের করে দেখাতে থাকে। এ সময় ওই নারী অফিসার সহায়তা চান কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোনো সহায়তা আসে নি। একজন অফিসার বলেছেন, আমার জীবনে এত ভয়াবহ অবমাননাকর ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি নি কখনো। আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
ক্যালিফোর্নিয়ার ভিক্টরভিলে কেন্দ্রীয় একটি কারাগারে সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সান্দ্রা কার্পেন্টার। সেখানে তার প্রথম বছরে সেখানে তিনিও একই দৃশ্য দেখেছেন।
সেই ঘটনাটি স্থগিত করা হয় ২০১৫ সালে।
২০১৭ সালের মে। হাউস অপারসাইট কমিটি ওই এজেন্সির বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করে। তাবেম বলা হয়, যৌন অসদাচরণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের বা শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হন নি জেলে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা।
এসব নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৩৫ জনেরও বেশি নারী। তাদের একজন বলেছেন, জেলখানার বন্দিরা নারী প্রহরীদের সামনে আপত্তিকর আচরণ করে। তারা মাস্টারবেট করে। এমন ঘটনা ঘটে চলার পথে, গোসল করার সময়। এমন কি একটিভিটি রুমে। ওই নারী বলেছেন, এক শিফটে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সম্ভবত এ কাজ করতে দেখেছি আমি ২৫ থেকে ৩০ জন বন্দিকে। আরেকটি সাক্ষ্যে বলা হয়েছে ৭০ জন বন্দিকে দেখাশোনার জন্য রাখা হয়েছিল দু’জন নারী প্রহরী বা কর্মকর্তাকে। কিন্তু ওইসব বন্দি এই নারী অফিসারদের সামনে তাদের স্পর্শকাতর অঙ্গ বের করে দেখাতে থাকে। এ সময় ওই নারী অফিসার সহায়তা চান কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোনো সহায়তা আসে নি। একজন অফিসার বলেছেন, আমার জীবনে এত ভয়াবহ অবমাননাকর ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি নি কখনো। আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
ক্যালিফোর্নিয়ার ভিক্টরভিলে কেন্দ্রীয় একটি কারাগারে সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সান্দ্রা কার্পেন্টার। সেখানে তার প্রথম বছরে সেখানে তিনিও একই দৃশ্য দেখেছেন।
No comments