রাজপরিবারে বিপাকে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান
ওয়াশিংটন
পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড সৌদি আরবের রাজ পরিবারে ব্যাপক
প্রভাব ফেলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমালোচনার মুখে ক্রাউন
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে রাজপরিবারের
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রভাবশালী সদস্য। এদের মধ্যে কয়েকজন প্রভাবশালী
যুবরাজও রয়েছেন, যারা বিন সালমানকে সৌদি সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি
নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খাসোগি হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন
প্রিন্সের ভূমিকা প্রকাশ হয়ে পড়ার পর এখন তারা এই বিন সালমানের বাদশাহ হওয়া
ঠেকাতে তৎপর হয়েছেন। সৌদি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা
রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, রাজকীয় আল সউদ পরিবারের কয়েক ডজন প্রভাবশালী যুবরাজ ও তাদের ঘনিষ্ঠরা সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর পরিবর্তন চান। তবে ক্রাউন প্রিন্সের পিতা ও বর্তমান বাদশাহ সালমান বেঁচে থাকা অবস্থায় তারা প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা চালাবেন না। একটি সূত্র বলেছে, ৮২ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান তার পুত্র বিন সালমানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চান না।
তাই সালমানের জীবনাবসানের পরই তারা ক্রাউন প্রিন্সকে ক্ষমতা গ্রহণ থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালাবেন বিরোধীরা। এক্ষেত্রে বিন সালমানের বিকল্প হিসেবে এগিয়ে যুবরাজ আহমেদ বিন আবদুল আজিজ। রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, ক্রাউন প্রিন্সের বিরোধী পক্ষের প্রচেষ্টা সফল হলে এই আহমেদ বিন আবদুল আজিজই সৌদি সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী হবেন। তিনি রাজপরিবারের বেশিরভাগ সদস্যের সমর্থন পাবেন। এ ছাড়া তার প্রতি পশ্চিমা বিশ্ব ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থনও রয়েছে। তিনি লন্ডন থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে তাকে সৌদি আরবের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন দিতে দেখা গেছে। দুইটি সূত্র বলছে, সৌদি আরবে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে অ্যালিজেন্স কাউন্সিল নামে একটি পরিষদ রয়েছে। বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স করার সময় এই পরিষদের তিনজন সদস্য বিরোধিতা করেছিলেন। আহমেদ বিন আবদুল আজিজ এই তিনজনের একজন। এ বিষয়ে যুবরাজ আহমেদ বা তার প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারাও এতে সাড়া দেননি।
এদিকে, রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যুবরাজ আহমেদকে সমর্থন দিতে পারে। সৌদি সূত্রগুলো বলছে, তারা নিশ্চিত যে, বিন সালমানের নেয়া কোনো সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার পদক্ষেপ যুবরাজ আহমেদ বন্ধ করবেন না বা পরিবর্তন করবেন না। তিনি বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের সম্মান করেন। উত্তরাধিকারী হলে যুবরাজ আহমেদ রাজ পরিবারকে আবারো একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হবেন। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে হোয়াইট হাউসের কোনো তাড়া নেই। তবে সম্প্রতি কংগ্রেস ও সিআইএ’র রিপোর্ট কিছুটা চাপ তৈরি করেছে। খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ক্রাউন প্রিন্সকে দোষারোপ না করলেও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার প্রতি অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেননা সম্প্রতি ক্রাউন প্রিন্স যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার বিষয়ে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বছরের ১৫ই মে বিন সালমান এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন। রয়টার্সের প্রতিবেদক এ চিঠি দেখেছেন। তবে এ বিষয়ে রাশিয়া বা রিয়াদ সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের রাজ পরিবারে শত শত যুবরাজ রয়েছেন। ইউরোপিয়ান রাজতন্ত্রের মতো সৌদি আরবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বড় ছেলে উত্তরাধিকারী নির্বাচনের প্রথা নেই। এর পরিবর্তে বাদশাহ ও পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা একত্রিত হয়ে উপযুক্ত কোনো যুবরাজ বা বাদশাহর ভাইদের মধ্য থেকে কাউকে উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন।
খবরে বলা হয়, রাজকীয় আল সউদ পরিবারের কয়েক ডজন প্রভাবশালী যুবরাজ ও তাদের ঘনিষ্ঠরা সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর পরিবর্তন চান। তবে ক্রাউন প্রিন্সের পিতা ও বর্তমান বাদশাহ সালমান বেঁচে থাকা অবস্থায় তারা প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা চালাবেন না। একটি সূত্র বলেছে, ৮২ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান তার পুত্র বিন সালমানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চান না।
তাই সালমানের জীবনাবসানের পরই তারা ক্রাউন প্রিন্সকে ক্ষমতা গ্রহণ থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালাবেন বিরোধীরা। এক্ষেত্রে বিন সালমানের বিকল্প হিসেবে এগিয়ে যুবরাজ আহমেদ বিন আবদুল আজিজ। রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, ক্রাউন প্রিন্সের বিরোধী পক্ষের প্রচেষ্টা সফল হলে এই আহমেদ বিন আবদুল আজিজই সৌদি সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী হবেন। তিনি রাজপরিবারের বেশিরভাগ সদস্যের সমর্থন পাবেন। এ ছাড়া তার প্রতি পশ্চিমা বিশ্ব ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থনও রয়েছে। তিনি লন্ডন থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে তাকে সৌদি আরবের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন দিতে দেখা গেছে। দুইটি সূত্র বলছে, সৌদি আরবে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে অ্যালিজেন্স কাউন্সিল নামে একটি পরিষদ রয়েছে। বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স করার সময় এই পরিষদের তিনজন সদস্য বিরোধিতা করেছিলেন। আহমেদ বিন আবদুল আজিজ এই তিনজনের একজন। এ বিষয়ে যুবরাজ আহমেদ বা তার প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারাও এতে সাড়া দেননি।
এদিকে, রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যুবরাজ আহমেদকে সমর্থন দিতে পারে। সৌদি সূত্রগুলো বলছে, তারা নিশ্চিত যে, বিন সালমানের নেয়া কোনো সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার পদক্ষেপ যুবরাজ আহমেদ বন্ধ করবেন না বা পরিবর্তন করবেন না। তিনি বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের সম্মান করেন। উত্তরাধিকারী হলে যুবরাজ আহমেদ রাজ পরিবারকে আবারো একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হবেন। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে হোয়াইট হাউসের কোনো তাড়া নেই। তবে সম্প্রতি কংগ্রেস ও সিআইএ’র রিপোর্ট কিছুটা চাপ তৈরি করেছে। খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ক্রাউন প্রিন্সকে দোষারোপ না করলেও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার প্রতি অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেননা সম্প্রতি ক্রাউন প্রিন্স যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার বিষয়ে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বছরের ১৫ই মে বিন সালমান এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন। রয়টার্সের প্রতিবেদক এ চিঠি দেখেছেন। তবে এ বিষয়ে রাশিয়া বা রিয়াদ সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের রাজ পরিবারে শত শত যুবরাজ রয়েছেন। ইউরোপিয়ান রাজতন্ত্রের মতো সৌদি আরবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বড় ছেলে উত্তরাধিকারী নির্বাচনের প্রথা নেই। এর পরিবর্তে বাদশাহ ও পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা একত্রিত হয়ে উপযুক্ত কোনো যুবরাজ বা বাদশাহর ভাইদের মধ্য থেকে কাউকে উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন।
No comments