‘পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’ -ইমরান খান
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের কড়া
সমালোচনা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শ’ শ’ কোটি ডলারের সহায়তা পাওয়া
সত্ত্বেও আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের জন্য পাকিস্তান ছিল
নিরাপদ আশ্রয়। এর জবাব দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি টুইটে বলেছেন, ২০১১ সালের
১১ই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলায় কোনো পাকিস্তানি জড়িত না
থাকলেও ৭৫ হাজার পাকিস্তানি হতাহত হয়েছেন। দেশ ১২৩০০ কোটি ডলার ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা বাবদ দিয়েছে মাত্র ২০০ কোটি ডলার, যা
অতি নগণ্য। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা না বানানোর
আহ্বান জানান ইমরান খান। বার্তা সংস্থা এপি এ খবর দিয়েছে।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আত্মগোপন করে থাকা ওসামা বিন লাদেনের ডেরায় অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল। যে বাড়িটিতে থাকতেন লাদেন তা ছিল সামরিক একাডেমির কাছেই। এ বিষয়ে অভিযোগ আছে যে, লাদেনের ওই অবস্থান সম্পর্কে জানতো পাকিস্তান। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান। অ্যাবোটাবাদে লাদেনের ওই অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে সন্ধান দিয়েছিলেন পাকিস্তানি চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদি। তিনি টিকা দানের ভুয়া এক প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হন। পরে পাকিস্তান সরকারের অজ্ঞাতেই লাদেনের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে নেভি সিল। এরপর ডাক্তার শাকিল আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান।
এ নিয়ে ফক্স নিউজ সানডে’তে একটি সাক্ষাৎকার দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন কোথায় ছিলেন তা জানতেন প্রতিজন পাকিস্তানি। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে বছরে সহায়তা হিসেবে ১৩০ কোটি ডলার সহায়তা দিলেও তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলে নি। ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের জন্য কিছু করে নি। তারা আমাদের জন্য খারাপ কাজ করেছে। তাই আমরা সহায়তা কর্তন করেছি। এ ছাড়া সোমবার তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছি। কিন্তু তারা কখনোই আমাদেরকে বলে নি বিন লাদেন পাকিস্তানে বসবাস করছিলেন। যত সব বোকা!’
শুধু তাই নয়, ইসলামপন্থি উগ্রবাদীদের বিষয়ে পাকিস্তান চোখ বন্ধ করে রেখেছে বলে দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান। অভিযোগ করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের তালেবানদেরকেও আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। এমন সব অভিযোগকে অস্বীকার করেছে দেশটি।
ট্রাম্পের অভিযোগ ও এসব কথার জবাবে ইমরান খান বলেছেন, সীমান্তবর্তী উপজাতি এলাকাগুলো বছরের পর বছর যুদ্ধে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ তাদের ভিটেবাড়ি থেকে উৎখাত হয়েছেন। এক্ষেত্রে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে কীভাবে পাকিস্তান লজিস্টিক সমর্থন দিয়ে গেছে তা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা বানাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আত্মগোপন করে থাকা ওসামা বিন লাদেনের ডেরায় অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল। যে বাড়িটিতে থাকতেন লাদেন তা ছিল সামরিক একাডেমির কাছেই। এ বিষয়ে অভিযোগ আছে যে, লাদেনের ওই অবস্থান সম্পর্কে জানতো পাকিস্তান। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান। অ্যাবোটাবাদে লাদেনের ওই অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে সন্ধান দিয়েছিলেন পাকিস্তানি চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদি। তিনি টিকা দানের ভুয়া এক প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হন। পরে পাকিস্তান সরকারের অজ্ঞাতেই লাদেনের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে নেভি সিল। এরপর ডাক্তার শাকিল আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান।
এ নিয়ে ফক্স নিউজ সানডে’তে একটি সাক্ষাৎকার দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন কোথায় ছিলেন তা জানতেন প্রতিজন পাকিস্তানি। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে বছরে সহায়তা হিসেবে ১৩০ কোটি ডলার সহায়তা দিলেও তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলে নি। ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের জন্য কিছু করে নি। তারা আমাদের জন্য খারাপ কাজ করেছে। তাই আমরা সহায়তা কর্তন করেছি। এ ছাড়া সোমবার তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছি। কিন্তু তারা কখনোই আমাদেরকে বলে নি বিন লাদেন পাকিস্তানে বসবাস করছিলেন। যত সব বোকা!’
শুধু তাই নয়, ইসলামপন্থি উগ্রবাদীদের বিষয়ে পাকিস্তান চোখ বন্ধ করে রেখেছে বলে দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান। অভিযোগ করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের তালেবানদেরকেও আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। এমন সব অভিযোগকে অস্বীকার করেছে দেশটি।
ট্রাম্পের অভিযোগ ও এসব কথার জবাবে ইমরান খান বলেছেন, সীমান্তবর্তী উপজাতি এলাকাগুলো বছরের পর বছর যুদ্ধে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ তাদের ভিটেবাড়ি থেকে উৎখাত হয়েছেন। এক্ষেত্রে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে কীভাবে পাকিস্তান লজিস্টিক সমর্থন দিয়ে গেছে তা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা বানাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
No comments