জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসব, না আসলেও আফসোস নেই -সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন জনগণ ভোট দিলে আবার ক্ষমতায় আসবো। না দিলেও আফসোস নেই।
তিনি বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলার পথ কখনই
মসৃণ ছিল না, কন্টকাকীর্ণ ছিল, তবুও আমরা এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। অনেক
প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আমি
এটুকুই বলবো, আমি এগিয়ে যেতে চাই যতই অন্ধকার আসুক, ঘন দুর্যোগ আসুক, যতই
গভীর হোক জঙ্গল কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার পথ সে পথ করে নিতেই হবে। সশস্ত্র
বাহিনী আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক উল্লেখ করে
প্রধানমন্ত্রী বলেন আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করবো না। যুদ্ধ করতে আমরা চাই
না।
কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের যে সশস্ত্র বাহিনী হবে সেটাকে স্বাধীন দেশের উপযুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করবো না কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে আমরা ছেড়ে দেব না, অন্তত যতক্ষণ আমাদের শ্বাস আছে আমরা প্রতিরোধ করবো। সেজন্য আমরা প্রত্যেকটি বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের যোগান দেয়া, তাঁদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সব পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি এই অল্প সময়ের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘দেশে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪০ ভাগের ওপর থেকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এই দারিদ্র্যের হারকে আরো অন্তত পাঁচভাগ নামিয়ে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ সে বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। দেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় আমরা এক হাজার ৭১৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। গ্রামের প্রতিটি মানুষের আয়-উপার্জনের পথ আমরা করে দিয়েছি। যেন দেশের মানুষ ভালভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে, সেটা বাস্তবায়নই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য তিনি বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সেই জন্যই আজকে সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, একের পর এক টেলিভিশন চ্যানেল হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য তাঁর সরকারের সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান যাতে হয়, রপ্তানী বৃদ্ধি পায়, বিদেশে দেশের যাতে বাজার সৃষ্টি হয়- সে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। এতটুকু দাবি করতে পারি আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম- দিন বদলের সনদ, আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। দিন বদলের যাত্রা শুরু হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনী প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সংস্থার প্রধান, উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও তাঁদের সহধর্মিনী, বিদেশী কূটনীতিক এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন। বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের যে সশস্ত্র বাহিনী হবে সেটাকে স্বাধীন দেশের উপযুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করবো না কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে আমরা ছেড়ে দেব না, অন্তত যতক্ষণ আমাদের শ্বাস আছে আমরা প্রতিরোধ করবো। সেজন্য আমরা প্রত্যেকটি বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের যোগান দেয়া, তাঁদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সব পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি এই অল্প সময়ের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘দেশে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪০ ভাগের ওপর থেকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এই দারিদ্র্যের হারকে আরো অন্তত পাঁচভাগ নামিয়ে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ সে বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। দেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় আমরা এক হাজার ৭১৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। গ্রামের প্রতিটি মানুষের আয়-উপার্জনের পথ আমরা করে দিয়েছি। যেন দেশের মানুষ ভালভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে, সেটা বাস্তবায়নই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য তিনি বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সেই জন্যই আজকে সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, একের পর এক টেলিভিশন চ্যানেল হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য তাঁর সরকারের সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান যাতে হয়, রপ্তানী বৃদ্ধি পায়, বিদেশে দেশের যাতে বাজার সৃষ্টি হয়- সে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। এতটুকু দাবি করতে পারি আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম- দিন বদলের সনদ, আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। দিন বদলের যাত্রা শুরু হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনী প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সংস্থার প্রধান, উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও তাঁদের সহধর্মিনী, বিদেশী কূটনীতিক এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন। বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
No comments