উভয় সংকটে অর্থমন্ত্রী by ওয়েছ খছরু
উভয়
সংকটে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন-
আর নির্বাচন করবেন না। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতারা তাকে এখনই ছুটি দিতে চান
না। আরো কিছু দিন তাদের সঙ্গে চান। সরকার, রাজনীতি সব কিছুতেই যেনো সরব
থাকেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে পরিবারের কাছে বন্দি তিনি। ছোট ভাই ড. একে
আবদুল মোমেনকে তার নিজের আসন ছাড় দিয়েছেন অনেক আগেই। ড. মোমেনও সিলেট-১
আসনে নির্বাচন করতে প্রস্তুত।
নিজে সঙ্গে গিয়ে ড. মোমেনের মনোনয়ন জমাও দিয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় উভয়কূল রক্ষা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। যেকোনো একটিকেই বেছে নিতে হবে। এ কারণে এখনো সিলেট-১ আসন নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে। শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে এ আসনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রার্থী।
স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর হঠাৎ করেই সিলেটের রাজনীতিতে আসেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি সিলেটের রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছেন। গেল এক দশক ধরে তিনি সিলেট আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবুল মাল আবদুল মুহিত বিএনপি দলীয় সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে পরাজিত করে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বিগত দশ বছর তিনি দক্ষতার সঙ্গে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিলেট থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ফের তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এক নাগাড়ে টানা ১০ বছর তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বয়স প্রায় ৮৫ বছর। কিন্তু এখনো সমানতালে সরকার ও রাজনীতি দুটিই চালিয়ে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এরপরও দায়িত্ব পালনে নিজেই হাঁপিয়ে উঠেছেন। গত তিন বছর ধরে তিনি বার বার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন, রাজনীতি সবকিছুকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক আগেই। আর এই বিদায়ের সঙ্গে নিজের স্থলাভিষিক্ত করেছেন ছোট ভাই ড. একে আবদুল মোমেনকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৩ বছর আগে ড. মোমেনকে জাতিসংঘ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে নিয়ে আসেন দেশে। গত তিন বছর অর্থমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী হয়ে সিলেটে কাজ করেছেন ড. মোমেন। ফলে তার পরিচিতি বেড়েছে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর প্রার্থী হচ্ছেন না- ঘোষণা দিয়ে আপন ছোট ভাই ড. মোমেনকে সমর্থন দেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি তার দেয়া ৩০ হাজার টাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কেনেন ড. মোমেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনেও অর্থমন্ত্রী ভাই মোমেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের কার্যালয়ে যান।
তবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে তার পুত্র সাহেদ মুহিতও
একটি মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। সেটি জমা দেয়া হয়েছে বলে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার পরেও অর্থমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে ‘ডামি’ প্রার্থী বলেও আখ্যায়িত করেন। আর নির্বাচন করছেন না বলে জানিয়েও দেন। এদিকে একাধিক জরিপে সিলেটে এখনো জনপ্রিয় ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত। জনপ্রিয় থাকার পরও অর্থমন্ত্রী নিজ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না- এটা অবাক করার মতো বিষয়। অর্থমন্ত্রীর পারিবারিক ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন- ড. মোমেনের জন্য সব ছাড় দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। ড. মোমেনও হাই প্রোফাইল ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী তাকে জাতিসংঘ থেকে নিয়ে এসেছেন। এ কারণে ভাইয়ের জন্য সব ছাড় দিতেই অর্থমন্ত্রী অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আর ড. মোমেনও ইতিমধ্যে নিজ থেকে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে রেখেছেন।
চলতি মাসের শুরুতেই সিলেট সফর করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি সিলেটে এসে সবার সামনেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘অর্থমন্ত্রী সিলেটে নির্বাচন করবেন। তাকে আমরা ছাড়ছি না।’ এ সময় তার কাছে দাঁড়িয়ে থাকলেও অর্থমন্ত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নি। অর্থমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন ও সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘অর্থমন্ত্রী এখনো নির্বাচন না করার পক্ষে। কিন্তু আমরা তাকে বুঝাচ্ছি। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাকে চাওয়া হচ্ছে। জনপ্রিয়তার জরিপেও এগিয়ে তিনি।’ তিনি বলেন, ‘এখনো অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। সিলেটের উন্নয়নের একনিষ্ঠ নেতা হিসেবে তার চাহিদা ভোটার মহলে বেশি। তিনি প্রার্থী হলে সহজে জয় ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন আশফাক আহমদ।’
অর্থমন্ত্রী প্রার্থী হলে অনেক হাই প্রোপাইল নেতা কিংবা প্রার্থী তালিকার দৌড়ে থাকছেন না। এ কারণে সিলেট-১ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে তেমন জল্পনা নেই। অর্থমন্ত্রী কিংবা তার ভাই- এই দুইজনের মধ্য থেকে যে কেউ এখানে প্রার্থী হয়ে আসছেন বলে ধারণা করছেন নেতারা। দুজনের যেকোনো একজনকে নিয়েই তারা প্রার্থী নির্বাচনে জয় ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান। সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও অর্থমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন আলম খান মুক্তি জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী কিংবা ড. মোমেন যেকোনো একজন প্রার্থী হলে আমরা লড়াইয়ে নেমে জয়ী হতে পারবো। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। নৌকায় যাকেই প্রার্থী করা হবে তার পক্ষে আমরা কাজ করবো। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষ থেকে দলীয় ফোরামে মনোনয়ন জমা দেয়া হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করবে।
নৌকার সমর্থনে বৈঠক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থনে নুরানী সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার নগরীর পাঠানতুলাস্থ সংস্থার কার্যালয়ে এ উঠান বৈঠক হয়। নুরানী সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সমাজকর্মী ফাতেমা জান্নাতের সভাপতিত্বে ও সদস্য কামরুন নাহার পিয়ারীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেনের সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাভেদ সিরাজ, লায়ন্স হেলেনা আহমেদ, সাজনা সুলতান হক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম, প্রবাসী আলহাজ মো. আবু বকর। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের, সাফায়েত খান, নুরানী সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমদ, সদস্য ফারজানা বিলকিছ, দিলরুবা মজুমদার, রেজুওয়ান আহমদ, মো. আল আমিন, রেওয়ান আহমদ হিরা, রায়হান আহমদ প্রমুখ।
নিজে সঙ্গে গিয়ে ড. মোমেনের মনোনয়ন জমাও দিয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় উভয়কূল রক্ষা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। যেকোনো একটিকেই বেছে নিতে হবে। এ কারণে এখনো সিলেট-১ আসন নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে। শেষ মুহূর্তে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে এ আসনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রার্থী।
স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর হঠাৎ করেই সিলেটের রাজনীতিতে আসেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি সিলেটের রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছেন। গেল এক দশক ধরে তিনি সিলেট আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে রয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবুল মাল আবদুল মুহিত বিএনপি দলীয় সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে পরাজিত করে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বিগত দশ বছর তিনি দক্ষতার সঙ্গে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিলেট থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ফের তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এক নাগাড়ে টানা ১০ বছর তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বয়স প্রায় ৮৫ বছর। কিন্তু এখনো সমানতালে সরকার ও রাজনীতি দুটিই চালিয়ে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এরপরও দায়িত্ব পালনে নিজেই হাঁপিয়ে উঠেছেন। গত তিন বছর ধরে তিনি বার বার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন, রাজনীতি সবকিছুকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক আগেই। আর এই বিদায়ের সঙ্গে নিজের স্থলাভিষিক্ত করেছেন ছোট ভাই ড. একে আবদুল মোমেনকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৩ বছর আগে ড. মোমেনকে জাতিসংঘ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে নিয়ে আসেন দেশে। গত তিন বছর অর্থমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী হয়ে সিলেটে কাজ করেছেন ড. মোমেন। ফলে তার পরিচিতি বেড়েছে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর প্রার্থী হচ্ছেন না- ঘোষণা দিয়ে আপন ছোট ভাই ড. মোমেনকে সমর্থন দেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি তার দেয়া ৩০ হাজার টাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কেনেন ড. মোমেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনেও অর্থমন্ত্রী ভাই মোমেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের কার্যালয়ে যান।
তবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে তার পুত্র সাহেদ মুহিতও
একটি মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। সেটি জমা দেয়া হয়েছে বলে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার পরেও অর্থমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে ‘ডামি’ প্রার্থী বলেও আখ্যায়িত করেন। আর নির্বাচন করছেন না বলে জানিয়েও দেন। এদিকে একাধিক জরিপে সিলেটে এখনো জনপ্রিয় ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত। জনপ্রিয় থাকার পরও অর্থমন্ত্রী নিজ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না- এটা অবাক করার মতো বিষয়। অর্থমন্ত্রীর পারিবারিক ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন- ড. মোমেনের জন্য সব ছাড় দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। ড. মোমেনও হাই প্রোফাইল ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী তাকে জাতিসংঘ থেকে নিয়ে এসেছেন। এ কারণে ভাইয়ের জন্য সব ছাড় দিতেই অর্থমন্ত্রী অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আর ড. মোমেনও ইতিমধ্যে নিজ থেকে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে রেখেছেন।
চলতি মাসের শুরুতেই সিলেট সফর করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি সিলেটে এসে সবার সামনেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘অর্থমন্ত্রী সিলেটে নির্বাচন করবেন। তাকে আমরা ছাড়ছি না।’ এ সময় তার কাছে দাঁড়িয়ে থাকলেও অর্থমন্ত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নি। অর্থমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন ও সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ‘অর্থমন্ত্রী এখনো নির্বাচন না করার পক্ষে। কিন্তু আমরা তাকে বুঝাচ্ছি। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাকে চাওয়া হচ্ছে। জনপ্রিয়তার জরিপেও এগিয়ে তিনি।’ তিনি বলেন, ‘এখনো অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। সিলেটের উন্নয়নের একনিষ্ঠ নেতা হিসেবে তার চাহিদা ভোটার মহলে বেশি। তিনি প্রার্থী হলে সহজে জয় ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন আশফাক আহমদ।’
অর্থমন্ত্রী প্রার্থী হলে অনেক হাই প্রোপাইল নেতা কিংবা প্রার্থী তালিকার দৌড়ে থাকছেন না। এ কারণে সিলেট-১ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে তেমন জল্পনা নেই। অর্থমন্ত্রী কিংবা তার ভাই- এই দুইজনের মধ্য থেকে যে কেউ এখানে প্রার্থী হয়ে আসছেন বলে ধারণা করছেন নেতারা। দুজনের যেকোনো একজনকে নিয়েই তারা প্রার্থী নির্বাচনে জয় ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান। সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও অর্থমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন আলম খান মুক্তি জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী কিংবা ড. মোমেন যেকোনো একজন প্রার্থী হলে আমরা লড়াইয়ে নেমে জয়ী হতে পারবো। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। নৌকায় যাকেই প্রার্থী করা হবে তার পক্ষে আমরা কাজ করবো। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষ থেকে দলীয় ফোরামে মনোনয়ন জমা দেয়া হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করবে।
নৌকার সমর্থনে বৈঠক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থনে নুরানী সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার নগরীর পাঠানতুলাস্থ সংস্থার কার্যালয়ে এ উঠান বৈঠক হয়। নুরানী সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি সমাজকর্মী ফাতেমা জান্নাতের সভাপতিত্বে ও সদস্য কামরুন নাহার পিয়ারীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেনের সহধর্মিণী মিসেস সেলিনা মোমেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাভেদ সিরাজ, লায়ন্স হেলেনা আহমেদ, সাজনা সুলতান হক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম, প্রবাসী আলহাজ মো. আবু বকর। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের, সাফায়েত খান, নুরানী সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমদ, সদস্য ফারজানা বিলকিছ, দিলরুবা মজুমদার, রেজুওয়ান আহমদ, মো. আল আমিন, রেওয়ান আহমদ হিরা, রায়হান আহমদ প্রমুখ।
No comments