খালেদার রায় ঘিরে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা
বিএনপি
চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হলে
কূটনৈতিক অঙ্গনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া বা চাপ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি
নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে পূর্ব-পশ্চিম, দূরের এবং কাছের সব দেশ এবং
আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী দূতদের
পরিস্থিতি সম্পর্কে যে কোনো জিজ্ঞাসার জবাবের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় ঢাকায় খণ্ড খণ্ড কূটনৈতিক ব্রিফিং আয়োজনেরও
চিন্তা রয়েছে। কূটনৈতিক অঙ্গনে কাজ করা সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক
প্রতিনিধি মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র মতে, এখনও সেই অর্থে
বন্ধু রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার রায় ও কারাদণ্ড
নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, জাতিসংঘসহ
আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের তরফে রায় পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে
পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে কারাগারে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন প্রদানে দেরি হওয়ায় অনেক কূটনীতিক বিএনপির নেতৃত্বের সঙ্গে নিজে থেকে যোগাযোগ করেছেন। তারা বেগম জিয়ার বিষয়ে খোঁজ-খবরসহ বিরোধী জোটের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন। বিএনপির তরফে এ নিয়ে ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংও করা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, রায় ও কারাবাসের বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিবেচনায় এ নিয়ে বিশ্বাঙ্গনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় সরকার ও শাসক দলের সমন্বিত পদেক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কোথাও কোনো সমন্বয়হীনতা যেন না থাকে তাতে খেয়াল রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হলে এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির তৎপরতা জোরদার হলে বিদেশে ঢাকার দূতরা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন। এ নিয়ে সরাসরি উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়াও আসতে পারে। এটি যেন কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যায় সেজন্য সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক রায়ের সংক্ষিপ্তসার এবং এর বিশ্লেষণ বিদেশে থাকা বাংলাদেশের সব মিশনে পাঠানো হয়েছে। ওই সব দেশকে প্রয়োজন অনুসারে অবহিত করতে দূতাবাসকে বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকেরা যে কোনো বিষয় জানতে আগ্রহী হলে, উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে তাৎক্ষণিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে তাদের পরিস্থিতির বিষয়ে অবহিত করার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারের পাশাপাশি শাসক দলের পক্ষ থেকেও সমান প্রস্তুতি রয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ দলের কূটনৈতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিদের এ কাজে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
বিশেষ করে কারাগারে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন প্রদানে দেরি হওয়ায় অনেক কূটনীতিক বিএনপির নেতৃত্বের সঙ্গে নিজে থেকে যোগাযোগ করেছেন। তারা বেগম জিয়ার বিষয়ে খোঁজ-খবরসহ বিরোধী জোটের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন। বিএনপির তরফে এ নিয়ে ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংও করা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, রায় ও কারাবাসের বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিবেচনায় এ নিয়ে বিশ্বাঙ্গনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় সরকার ও শাসক দলের সমন্বিত পদেক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কোথাও কোনো সমন্বয়হীনতা যেন না থাকে তাতে খেয়াল রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হলে এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির তৎপরতা জোরদার হলে বিদেশে ঢাকার দূতরা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন। এ নিয়ে সরাসরি উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়াও আসতে পারে। এটি যেন কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যায় সেজন্য সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক রায়ের সংক্ষিপ্তসার এবং এর বিশ্লেষণ বিদেশে থাকা বাংলাদেশের সব মিশনে পাঠানো হয়েছে। ওই সব দেশকে প্রয়োজন অনুসারে অবহিত করতে দূতাবাসকে বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকেরা যে কোনো বিষয় জানতে আগ্রহী হলে, উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে তাৎক্ষণিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে তাদের পরিস্থিতির বিষয়ে অবহিত করার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারের পাশাপাশি শাসক দলের পক্ষ থেকেও সমান প্রস্তুতি রয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ দলের কূটনৈতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিদের এ কাজে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
No comments