প্রক্সি যুদ্ধের দিন শেষ, সরাসরি লড়াইয়ে ইরান-ইসরাইল!
গত
সাত বছর ধরে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এর মধ্যে শনিবারের আগ
পর্যন্ত একটি যুদ্ধ বিমানও হারায়নি দেশটির অপ্রতিরোধ্য বিমানবাহিনী।
কিন্তু, অবশেষে শনিবার ওই ধারাবাহিকতায় ফাটল ধরলো। একটি ইসরাইলি যুদ্ধ
বিমান গুলি করে বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয় সিরীয় বাহিনী। বাস্তবিকভাবে বলতে
গেলে, ইসরাইলের জন্য এটা তেমন কিছুই না। সাত বছরে সিরিয়ায় শতাধিক হামলা
চালিয়েছে ইসরাইল।
যেকোনো মানদণ্ডেই ধরা হোক না কেন একটি যুদ্ধ বিমান ঘাটিতে ফেরত না যাওয়া নিয়ে আহামরি আক্ষেপ করার কিছু নেই। সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, সিরিয়া এত বছরে এই প্রথম কেন একটি ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে? শনিবার ইসরাইল সিরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি ড্রোন ধ্বংস করে দেয়। তাদের দাবি ড্রোনটি ইরানি ও এটি ইসরাইলের আকাশসীমার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছিল। ইসরাইলের আকাশসীমার ভেতরে ২০০৬ সাল থেকে বহুবার ইরানে তৈরি ড্রোন দিয়ে গোপন অভিযান চালিয়েছে হিজবুল্লাহ বা হামাস। অবশ্যই, ইরানি অফিসাররাও অভিযান সম্বন্ধে অবগত ছিল। তবে সেগুলো ছিল প্রক্সি অভিযান। কিন্তু হারেৎসের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়, যতদূর আমরা জানি, শনিবার প্রথমবারের মতো ইরান নিজ থেকে ওই ড্রোন অভিযান চালিয়েছিল। সেটা কোনো প্রক্সি ছিল না। আর এমন নজির শুধুমাত্র ড্রোনের সঙ্গেই প্রাসঙ্গিক নয়।
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে আশির দশকের শুরু থেকেই। তখন লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইরানের সমর্থন নিয়ে শিয়া মিলিশিয়াদের নিয়ে গঠিত হয় হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ চলছেই, অনবরত। হিজবুল্লাহ, হামাস ও সিরিয়ার আসাদ প্রশাসনের মতো বিভিন্ন প্রক্সি ব্যবহার করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে ইরান। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, একইভাবে ইসরাইলও বিভিন্ন গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দু’পক্ষের মধ্যে কখনোই সরাসরি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়নি। এমনকি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যুদ্ধের কথাও কোথাও উল্লেখ করা নেই। যেমনটা ইসরাইলের আইনানুযায়ী ১৯৪৮ সালের পর থেকে কিছু আরব দেশের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে আইনটি সংশোধনের সময় কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা নিষেধ করা হয়। তখন ওই দেশগুলোর মধ্যে ইরানের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু ইরানের সঙ্গে তারা যুদ্ধ করছে এমন কিছু কোনো আইনে নেই।
কিন্তু হঠাৎ ইরান তাদের প্রতিষ্ঠিত কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। তাদের বিখ্যাত রেভুলিউশনারি গার্ডের ‘কুদস বাহিনী’ প্রথমবারের মতো নিজেরা ইসরাইলি আকাশসীমার ভেতরে অনুপ্রবেশের অভিযান চালিয়েছে। এই ঘটনায় বাকি অনেকের মতো হতভম্ব বহু ইসরাইলি কর্মকর্তাও। সোমবার এক সম্মেলনে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তমের বার স্বীকার করেন, শাহেদ-১৪১ নামের ইরানি ড্রোনটি কি অভিযান চালাতে ইসরাইলের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। তিনি বলেন, এটি একটি গোপন তথ্য-সংগ্রহ বিষয়ক অভিযান হতে পারে। আবার হামলা অভিযানও হতে পারে। তারা হয়তো আমাদের সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখছিল। আমাদের সতর্কতা ও আমরা কি মাত্রায় ইসরাইলের আকাশসীমা রক্ষা করি তা দেখতে চেয়েছিল। এই অভিযানের উদ্দেশ্য কি ছিল তা জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি কিছুই বলতে পারছি না।
এটা কোনো হামলা অভিযান হওয়ার সম্ভাবনা কম। ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষে কোনো অস্ত্র বা বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে, এটি একটি পরিদর্শন বিষয়ক অভিযান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটিই যদি হয় তাহলে, কুদস বাহিনী পূর্বের মতো কোনো প্রক্সি অভিযান কেন চালায়নি? কিছু ইসরাইলি বিশ্লেষকের ধারণা, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমানকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ফাঁদে ফেলতেই মূলত ওই ড্রোন অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এ তত্ত্বেও কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। এমনটি যদি হবে, তাহলে শাহেদ-১৪১ মডেলের ড্রোনটিই কেন ব্যবহার করা হয়েছে? এটা ইরানের সবচেয়ে নতুন গোয়েন্দা ড্রোন। পুরনো কোনো ড্রোন ব্যবহার করেও ইসরাইলকে ফাঁদে ফেলা যেত। ইরানি নির্বাসিতরা রেভুলিউশনারি গার্ডের বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সূত্রের ওপর ভিত্তি করে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যাটি হচ্ছে- ওই ড্রোন অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে মূল পরিকল্পনা ছিল ইসরাইলি ঘাঁটিগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করা। পরদিন (রোববার) ছিল ইসলামিক রেভুলিউশনের ৩৯তম বর্ষপূর্তি। ওইদিন সংগৃহীত ফুটেজগুলো ব্যবহার করা হতো। ফুটেজগুলো ইরানের কৌশলগত সক্ষমতার প্রমাণ হতো। তাদের ইহুদিবাদী শত্রুর চেয়ে নিজদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতো। এতে করে ইরানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ইরানি ড্রোনটির অভিযান যদি আদতেই তা হয়ে থাকে, তাহলে সে অভিযান সমপূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরাইলি আকাশসীমার ভেতর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তা গুলি করে ধ্বংস করে দেয়া হয়। রোববারের বর্ষপূর্তির কোনো আয়োজনেই ইসরাইল নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা করা হয়নি। বরঞ্চ সারাদিনে কর্মসূচিগুলোর মূল থিম ছিল ‘অভ্যন্তরীণ ঐক্য’।
চার দশক আগে, রেভুলিউশনের আগে, ইরান ও ইসরাইল ছিল কৌশলগত মিত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দুটি ‘নন-আরব’(আরব নয় এমন) দেশ দুটি ছিল একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রায়ই সুন্নি আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের শত্রুতা দেখা দিতো। আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীর জন্য ইসলামিক রেভুলিউশনের মূল ভিত্তির একটি ছিল ইসরাইলের সঙ্গে আজীবন ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ। কিন্তু এখন ৩৯ বছর পর, ওই বিপ্লবী উৎসাহ ধীরে ধীরে ক্ষীয়মাণ হয়ে আসছে ইরানে। তার উত্তরসূরিরা ভাবতে পারে যে, ওই বিপ্লবী উৎসাহ পুনরায় জাগিয়ে তুলতে ইসরাইলকে সরাসরি মোকাবিলা করা দরকার।
(হারেৎস ও দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে)
যেকোনো মানদণ্ডেই ধরা হোক না কেন একটি যুদ্ধ বিমান ঘাটিতে ফেরত না যাওয়া নিয়ে আহামরি আক্ষেপ করার কিছু নেই। সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, সিরিয়া এত বছরে এই প্রথম কেন একটি ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে? শনিবার ইসরাইল সিরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি ড্রোন ধ্বংস করে দেয়। তাদের দাবি ড্রোনটি ইরানি ও এটি ইসরাইলের আকাশসীমার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছিল। ইসরাইলের আকাশসীমার ভেতরে ২০০৬ সাল থেকে বহুবার ইরানে তৈরি ড্রোন দিয়ে গোপন অভিযান চালিয়েছে হিজবুল্লাহ বা হামাস। অবশ্যই, ইরানি অফিসাররাও অভিযান সম্বন্ধে অবগত ছিল। তবে সেগুলো ছিল প্রক্সি অভিযান। কিন্তু হারেৎসের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়, যতদূর আমরা জানি, শনিবার প্রথমবারের মতো ইরান নিজ থেকে ওই ড্রোন অভিযান চালিয়েছিল। সেটা কোনো প্রক্সি ছিল না। আর এমন নজির শুধুমাত্র ড্রোনের সঙ্গেই প্রাসঙ্গিক নয়।
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে আশির দশকের শুরু থেকেই। তখন লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইরানের সমর্থন নিয়ে শিয়া মিলিশিয়াদের নিয়ে গঠিত হয় হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ চলছেই, অনবরত। হিজবুল্লাহ, হামাস ও সিরিয়ার আসাদ প্রশাসনের মতো বিভিন্ন প্রক্সি ব্যবহার করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে ইরান। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, একইভাবে ইসরাইলও বিভিন্ন গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দু’পক্ষের মধ্যে কখনোই সরাসরি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়নি। এমনকি দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যুদ্ধের কথাও কোথাও উল্লেখ করা নেই। যেমনটা ইসরাইলের আইনানুযায়ী ১৯৪৮ সালের পর থেকে কিছু আরব দেশের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে আইনটি সংশোধনের সময় কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা নিষেধ করা হয়। তখন ওই দেশগুলোর মধ্যে ইরানের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু ইরানের সঙ্গে তারা যুদ্ধ করছে এমন কিছু কোনো আইনে নেই।
কিন্তু হঠাৎ ইরান তাদের প্রতিষ্ঠিত কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। তাদের বিখ্যাত রেভুলিউশনারি গার্ডের ‘কুদস বাহিনী’ প্রথমবারের মতো নিজেরা ইসরাইলি আকাশসীমার ভেতরে অনুপ্রবেশের অভিযান চালিয়েছে। এই ঘটনায় বাকি অনেকের মতো হতভম্ব বহু ইসরাইলি কর্মকর্তাও। সোমবার এক সম্মেলনে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তমের বার স্বীকার করেন, শাহেদ-১৪১ নামের ইরানি ড্রোনটি কি অভিযান চালাতে ইসরাইলের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। তিনি বলেন, এটি একটি গোপন তথ্য-সংগ্রহ বিষয়ক অভিযান হতে পারে। আবার হামলা অভিযানও হতে পারে। তারা হয়তো আমাদের সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখছিল। আমাদের সতর্কতা ও আমরা কি মাত্রায় ইসরাইলের আকাশসীমা রক্ষা করি তা দেখতে চেয়েছিল। এই অভিযানের উদ্দেশ্য কি ছিল তা জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি কিছুই বলতে পারছি না।
এটা কোনো হামলা অভিযান হওয়ার সম্ভাবনা কম। ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষে কোনো অস্ত্র বা বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে, এটি একটি পরিদর্শন বিষয়ক অভিযান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটিই যদি হয় তাহলে, কুদস বাহিনী পূর্বের মতো কোনো প্রক্সি অভিযান কেন চালায়নি? কিছু ইসরাইলি বিশ্লেষকের ধারণা, ইসরাইলি যুদ্ধ বিমানকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ফাঁদে ফেলতেই মূলত ওই ড্রোন অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এ তত্ত্বেও কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। এমনটি যদি হবে, তাহলে শাহেদ-১৪১ মডেলের ড্রোনটিই কেন ব্যবহার করা হয়েছে? এটা ইরানের সবচেয়ে নতুন গোয়েন্দা ড্রোন। পুরনো কোনো ড্রোন ব্যবহার করেও ইসরাইলকে ফাঁদে ফেলা যেত। ইরানি নির্বাসিতরা রেভুলিউশনারি গার্ডের বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরীণ সূত্রের ওপর ভিত্তি করে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যাটি হচ্ছে- ওই ড্রোন অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে মূল পরিকল্পনা ছিল ইসরাইলি ঘাঁটিগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করা। পরদিন (রোববার) ছিল ইসলামিক রেভুলিউশনের ৩৯তম বর্ষপূর্তি। ওইদিন সংগৃহীত ফুটেজগুলো ব্যবহার করা হতো। ফুটেজগুলো ইরানের কৌশলগত সক্ষমতার প্রমাণ হতো। তাদের ইহুদিবাদী শত্রুর চেয়ে নিজদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতো। এতে করে ইরানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ইরানি ড্রোনটির অভিযান যদি আদতেই তা হয়ে থাকে, তাহলে সে অভিযান সমপূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরাইলি আকাশসীমার ভেতর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তা গুলি করে ধ্বংস করে দেয়া হয়। রোববারের বর্ষপূর্তির কোনো আয়োজনেই ইসরাইল নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা করা হয়নি। বরঞ্চ সারাদিনে কর্মসূচিগুলোর মূল থিম ছিল ‘অভ্যন্তরীণ ঐক্য’।
চার দশক আগে, রেভুলিউশনের আগে, ইরান ও ইসরাইল ছিল কৌশলগত মিত্র। মধ্যপ্রাচ্যের দুটি ‘নন-আরব’(আরব নয় এমন) দেশ দুটি ছিল একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রায়ই সুন্নি আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের শত্রুতা দেখা দিতো। আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীর জন্য ইসলামিক রেভুলিউশনের মূল ভিত্তির একটি ছিল ইসরাইলের সঙ্গে আজীবন ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ। কিন্তু এখন ৩৯ বছর পর, ওই বিপ্লবী উৎসাহ ধীরে ধীরে ক্ষীয়মাণ হয়ে আসছে ইরানে। তার উত্তরসূরিরা ভাবতে পারে যে, ওই বিপ্লবী উৎসাহ পুনরায় জাগিয়ে তুলতে ইসরাইলকে সরাসরি মোকাবিলা করা দরকার।
(হারেৎস ও দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে)
No comments