ইতালিতে শতবর্ষীদের গ্রাম
গ্রামের
অধিকাংশ বাসিন্দার বয়স শতবর্ষের বেশি। ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ
সারদিনিয়ার একটি গ্রামের পরিস্থিতি এমন। সারদিনিয়ার মতো গ্রিসের ইকারিয়া,
কোস্টারিকার নিকোইয়া, জাপানের ওকিনওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের লোমা লিন্ডার মতো
জায়গাতেও মানুষের গড় আয়ু একশ’র কাছাকাছি। এসব জায়গায় প্রতি চারজনে একজন
শতায়ুর অধিকারী হন। কিন্তু সারদিনিয়ায় প্রতি দু’জনের একজন শতায়ুর অধিকারী।
শুধু তাই নয়, সারদিনিয়ায় শতায়ু অর্জনকারী নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় একই
রকম। এখানে সবচেয়ে বেশি বয়স লাভ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত
তিয়ানা গ্রামটি।
গ্রামটির বেশির ভাগ মানুষের বয়সই প্রায় একশ’ বছর। একশ’
বছরের বেশিদিন বেঁচে থাকা মানুষের ক্ষেত্রে তিনগুণ রয়েছে তিয়ানা গ্রামে। এ
কারণেই এই গ্রামটি অন্য সব অঞ্চল থেকে ব্যতিক্রম। তিয়ানা গ্রামের বাসিন্দা
অ্যান্থেনিয়ো টডেই হচ্ছেন পৃথিবীর একমাত্র স্বীকৃত মানুষ, যিনি একই সঙ্গে
তিনটি শতক পেয়েছেন। উনিশ শতকের শেষদিকে জন্মগ্রহণ করে অ্যান্থেনিয়ো
বেঁচেছিলেন একুশ শতকের শুরু পর্যন্ত। ১১০ বছর বয়সে ২০০২ সালে মারা যান
তিনি। তার ছেলে ৮৪ বছর বয়সী টোনিয়োর আশা করেন একশ’ বছর বেঁচে থাকবেন। মূলত
উন্নত জিনগত বৈশিষ্ট্য, সুষম খাবার এবং শারীরিক কসরতের কারণে এখানকার মানুষ
দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হয়। গবেষকদের মতে, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এখানে অন্যতম
নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। পরিবারের সদস্যদের সুসম্পর্ক, সেবা ও নিজস্ব
সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে পারস্পরিক কর্মকাণ্ড বেশি দিন বেঁচে থাকার শক্তি
জোগায়। তিয়নার বাসিন্দারা মনে করেন, বেশিদিন বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে জিনগত
বৈশিষ্ট্যের চেয়ে সামাজিক এবং মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ই বেশি ভূমিকা রাখে।
সিএনএন।
No comments