আমাদের দায়, আমাদের দায়িত্ব...by জোবাইদা নাসরীন
সাত
কলেজ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বছর ধরেই কুঁজো হয়ে হাঁটছে। গত বছরের ১৬
ফেব্রুয়ারি কোনো ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত
হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম
বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায়
দুই লাখ শিক্ষার্থী পড়ছেন। সাত কলেজের হঠাৎ এই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দুমুখো
ফিসফাস রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো এই অন্তর্ভুক্তি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের
ইচ্ছার বাস্তবায়ন, আর অন্য ভাষ্য হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসির মধ্যকার বিরোধের ফল। গত বছরের বিভিন্ন
সময়েই এই দুই ভিসি এ বিষয়ে রকমফের বক্তব্য দিয়েছেন। তবে সারকথা হলো এই যে
অনুরোধে ঢেঁকি কেন, ছোট আঁটি গেলার আগেও জানার, বোঝার দরকার ছিল এটি
গ্রহণের সামর্থ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে কি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কতটুকু খুশি হয়েছেন এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা, তা জানা
না গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে আসার পর অধিভুক্ত কলেজের
শিক্ষার্থীদের এক বছর না ঘুরতেই তিন দফা আন্দোলন কুঁজো হয়ে থাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষফোড়া হয়ে আবির্ভূত হয়। গত বছরের ২০ জুলাই ফল প্রকাশ ও
পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন থামে সিদ্দিকুরের চোখের বিনিময়ে।
সেই সময়েও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা
দোষারোপের প্রতিযোগিতায় নামেন।
দ্বিতীয় দফার আন্দোলন চোখ মেলে গত অক্টোবরে।
শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
তবে কোনো কিছু ঘটার আগেই প্রশাসনের ফল প্রকাশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা
আন্দোলন তুলে নিলে প্রশাসন তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলে। কিন্তু এই স্বস্তি ছিল
তাসের ঘরের মতোই। দুই মাস বিরতির পর আবারও আন্দোলন। ১১ জানুয়ারি ২০১৪-১৫
শিক্ষাবর্ষের ফল প্রকাশ ও তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরুর দাবিতে আবারও নীলক্ষেত
মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। আবারও আশ্বাসই হয়ে ওঠে একমাত্র সমাধান।
অবরোধ, আন্দোলন আর আশ্বাসের মোড়কেই ওঠানামা করছিল দুই লাখ শিক্ষার্থীর
সনদ-ভাগ্য। তখনো প্রশাসনের মাথা ‘বাম ষড়যন্ত্র’ বিশ্লেষণে যায়নি। আন্দোলন
‘আপাত’ ঠেকা দেওয়াটা ছিল মূল লক্ষ্য। গত এক বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে বড়সড় আন্দোলন করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজের
প্রতি ‘হ্যাঁ’-বাচক মনোভাবে তাঁরা যে মনে মনে ক্ষুব্ধ ছিলেন, তার প্রমাণ
মিলেছে সাম্প্রতিক। প্রথমবারের মতো আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। তাঁরা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন ও
উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন। তবে গত দুই দশকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ ধরনের আন্দোলন থামাতে ক্ষমতাসীন
ছাত্রসংগঠনগুলো মাঠে নামে। এ ক্ষেত্রেও ছিল একই চিত্রেরই পুনঃ উপস্থাপন। ১৫
জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি দুই দফায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের
হাতে মার খেয়েছেন ক্যাম্পাসে সক্রিয় বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা-কর্মী ও
সাধারণ শিক্ষার্থীরা, হয়েছে ছাত্রী নিপীড়নও।
দুই. এই নিপীড়নের বিচার চেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা, সময় বেঁধে দিয়েছিলেন প্রশাসনকে। সময় পার হলেও বিচার না পেয়ে ২৩ জানুয়ারি ঘেরাও করা হয়েছে উপাচার্য অফিস এবং পরে তাঁর অফিস গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। তবে এবারের চিত্রনাট্যটি একটু ব্যতিক্রম। প্রশাসন ছাত্রলীগকে ডেকে এনেছে। অনুরোধের অপেক্ষায় থাকা ছাত্রলীগ নিমেষেই আন্দোলন ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিয়ে মুক্ত করেছেন উপাচার্যকে, পরিস্থিতিও ‘ডান্ডা মেরে ঠান্ডা’ করেছেন। এই ‘ডান্ডা’ মারার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সংগঠনটির নারী নেত্রীরাও, তাঁদের সেই নিপীড়নের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ওড়াউড়ি করছে। অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে ছাত্রলীগকে ডেকে এনেছে প্রশাসন। পুলিশ ডাকার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অদক্ষতাই প্রমাণ হতো এবং এই পুলিশ আহ্বানের কৌশলেই সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্যাহ চৌধুরীকে গদি ছাড়তে হয়েছিল। তাই প্রশাসন সেই কৌশল মাড়াতে চায়নি। তবে যেটি করেছে, সেটির পক্ষে সাফাই গাইতেই এখন ব্যস্ত সবাই। যার মধ্যে চাউর আছে তিনটি পুরোনো কিন্তু দাপুটে বয়ান, ‘বামদের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতা তত্ত্ব ও বহিরাগত তত্ত্ব’। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকেরা এইগুলোই বলছেন চর্বিতচর্বণের মতো। শামসুন্নাহার হলের আন্দোলনের সময় সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্যাহ চৌধুরীও বলেছিলেন, ‘আন্দোলনকারীরা গার্মেন্টস কর্মী, কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়।’
দুই. এই নিপীড়নের বিচার চেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা, সময় বেঁধে দিয়েছিলেন প্রশাসনকে। সময় পার হলেও বিচার না পেয়ে ২৩ জানুয়ারি ঘেরাও করা হয়েছে উপাচার্য অফিস এবং পরে তাঁর অফিস গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। তবে এবারের চিত্রনাট্যটি একটু ব্যতিক্রম। প্রশাসন ছাত্রলীগকে ডেকে এনেছে। অনুরোধের অপেক্ষায় থাকা ছাত্রলীগ নিমেষেই আন্দোলন ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিয়ে মুক্ত করেছেন উপাচার্যকে, পরিস্থিতিও ‘ডান্ডা মেরে ঠান্ডা’ করেছেন। এই ‘ডান্ডা’ মারার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সংগঠনটির নারী নেত্রীরাও, তাঁদের সেই নিপীড়নের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ওড়াউড়ি করছে। অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে ছাত্রলীগকে ডেকে এনেছে প্রশাসন। পুলিশ ডাকার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অদক্ষতাই প্রমাণ হতো এবং এই পুলিশ আহ্বানের কৌশলেই সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্যাহ চৌধুরীকে গদি ছাড়তে হয়েছিল। তাই প্রশাসন সেই কৌশল মাড়াতে চায়নি। তবে যেটি করেছে, সেটির পক্ষে সাফাই গাইতেই এখন ব্যস্ত সবাই। যার মধ্যে চাউর আছে তিনটি পুরোনো কিন্তু দাপুটে বয়ান, ‘বামদের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতা তত্ত্ব ও বহিরাগত তত্ত্ব’। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকেরা এইগুলোই বলছেন চর্বিতচর্বণের মতো। শামসুন্নাহার হলের আন্দোলনের সময় সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্যাহ চৌধুরীও বলেছিলেন, ‘আন্দোলনকারীরা গার্মেন্টস কর্মী, কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়।’
বর্তমান প্রশাসনও সেই ‘বাম’ এবং ‘বহিরাগত’
তত্ত্বের ক্যাসেট বাজিয়েই ছাত্রলীগ দিয়ে আন্দোলন দমানোর কৌশলের বৈধতা দিতে
চাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতা এবং ছাত্রলীগের ক্ষমতাকে
ব্যবহার করে ব্যক্তিগত গদি ঠিক রাখার অভিলাষ একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে, তেমনি ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কেও এনেছে পরিবর্তন।
সাধারণ শিক্ষকেরা ছাত্রনেতাদের ভয়ে তটস্থ থাকেন। আবার ক্ষমতামনস্ক
শিক্ষকেরা নিজেদের ক্ষমতা ঠিক রাখতে তাঁদের ব্যবহার করেন। প্রশাসন আর
ক্ষমতাসীন সংগঠনের ক্ষমতার ভাগ-বাঁটোয়ারার জমিনেই দাঁড়িয়ে আছে বর্তমানে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এই কয় দিন আগেই জেনেছিলাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাবেক উপাচার্য নিজের আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতির জন্য।
ছাত্রলীগের কাছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের এই সমর্পণ তাঁদের ‘ছাত্র’ পরিচয়
ছাপিয়ে অন্য পরিচয়কেই সামনে নিয়ে আসে। এই কয় দিন আগেও শুনছিলাম,
ছাত্রলীগের এক নেতা বক্তৃতায় বলেছেন, ছাত্রলীগই হল ও প্রশাসন চালাচ্ছে। আর
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আসলে ‘নেতা’ আর
‘ক্যাডার’ বানানোর কারখানা হিসেবে নিজেদের আবিষ্কার করছে। আর আমরাই এর
কারিগর। এ বিষয়ে অন্তত সবাই একমত হবেন যে ক্ষোভে, উত্তেজনায়, প্রতিবাদে
তালা ভাঙলেও শিক্ষকের ওপর আক্রমণ করার রেকর্ড কোনো বাম সংগঠনের
শিক্ষার্থীদের নেই। তাঁরা হিম্মত দেখাতে পারেন, পেশিশক্তি নয়। ছাত্ররা
আন্দোলন করলে তা শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করার সাহস, দক্ষতা ও বিচক্ষণতা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের থাকতে হবে। ছাত্রলীগের সহায়তায় আন্দোলন বন্ধ করা
কাম্য হতে পারে না।
তিন. ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের প্রতি প্রশাসনিক আনুগত্য ও নির্ভরশীলতার কারণে একজন শিক্ষক হিসেবে আমাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের হয় শিক্ষার্থীরা যখন শুধু হলে একটি সংগঠনের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দাপটে টেবিল চাপড়িয়ে, ধমক দিয়ে কথা বলেন, আবাসিক শিক্ষকেরা অসম্মানে কাঁপতে থাকেন, কেউ কেউ মানসিক যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারেন না, আর কখনো হয়তো মনে মনে বলেন, ‘এমন শিক্ষার্থী আমাদের হাত দিয়েই তৈরি হচ্ছে, এদের দায়ও আমাদেরই নিতে হবে।’ গত শুক্রবারের প্রথম আলো পত্রিকায় দেখলাম, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আবু বকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান। আবু বকরের খুনিরা শাস্তি পায়নি-এই দায়ও প্রশাসন এড়াতে পারে না।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail
তিন. ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের প্রতি প্রশাসনিক আনুগত্য ও নির্ভরশীলতার কারণে একজন শিক্ষক হিসেবে আমাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের হয় শিক্ষার্থীরা যখন শুধু হলে একটি সংগঠনের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দাপটে টেবিল চাপড়িয়ে, ধমক দিয়ে কথা বলেন, আবাসিক শিক্ষকেরা অসম্মানে কাঁপতে থাকেন, কেউ কেউ মানসিক যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারেন না, আর কখনো হয়তো মনে মনে বলেন, ‘এমন শিক্ষার্থী আমাদের হাত দিয়েই তৈরি হচ্ছে, এদের দায়ও আমাদেরই নিতে হবে।’ গত শুক্রবারের প্রথম আলো পত্রিকায় দেখলাম, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আবু বকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান। আবু বকরের খুনিরা শাস্তি পায়নি-এই দায়ও প্রশাসন এড়াতে পারে না।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail
No comments