পিঠে ব্যথা! দায়ী কি শোয়ার ভঙ্গি?
সারা
দিন আমাদের দেহের অঙ্গভঙ্গি কেমন রয়েছে, তার উপর শরীরের ভালো-মন্দ যেমন
নির্ভর করে, তেমনি ঘুমনোর সময় আমাদের শরীরের পজিশন কেমন থাকে, তার ওপরও
কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই তো এই প্রবন্ধে ঘুমনোর সময়কার এমন কিছু
পসচার সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে, যা মেনে চললে দেখবেন কোনো দিন ব্যাক
পেইন-এর মতো সমস্যায় আক্রান্ত হবেন না। একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে সোজা
হয়ে দাঁড়ানোটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে শুয়েছেন তার
ওপরও। আসলে শোয়ার সময় আমাদের মেরুদণ্ড যদি শরীরের উপরের অংশের সঙ্গে ঠিক
অ্যালাইনমেন্ট না থাকে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে স্পাইনের
উপর এতটা চাপ পড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে তার কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই
সঙ্গে ব্যাকপেইনের মতো রোগ এত মাত্রায় ঘারে চেপে বসে যে দৈনন্দিন জীবন
একেবারে খারাপ হয়ে যায়। তাই আপনার জীবনও যন্ত্রণাপূর্ণ হোক, এমনটা না চান,
তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
১. ভুলেও পেটের উপর চাপ গিয়ে শোবেন না যেন : পেটের উপর চাপ দিয়ে শুলে কেবল মাত্র স্পাইনাল কর্ডের উপরই যে চাপ পরে, এমন নয়, সেই সঙ্গে পেশী, হিপস ও জয়েন্টের ওপরও মারাত্মক চাপ পরতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকপেইনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর তার সঙ্গ নেয় জয়েন্ট পেনের মতো সমস্যাও। তাই সকাল সকাল যদি যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়, তাহলে শোয়ার সময় এই ভুল কাজটি করবেন না যেন!
২. পিঠের উপর চাপ দিয়ে শুতে হবে : সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ পিঠের উপর চাপ দিয়ে ঘুমান। আর আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন, তাহলে একথা বলতেই হয় যে আপনি খুবই ভাগ্যবান! কারণ গবেষণা বলছে ঘুমনোর সময় এটাই সবথেকে আইডিয়াল পসচার। কারণ এইভাবে শুলে শিরদাঁড়া, ঘাড় ও মাথা একদম এক লাইনে থাকে। ফলে শরীরে কোথায় যন্ত্রণা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই ব্যাক পেইন-এর মতো সমস্যা থেকে যদি দূরে থাকতে চান, তাহলে পিঠের উপর চাপ দিয়ে শুতে ভুলবেন না যেন!
৩. কোনো একটা দিকে ফিরেও শুতে পারেন : অনেকেই আছেন যাদের পিঠের উপর চাপ দিয়ে শুলে ঠিক মতো ঘুম আসতে চায় না। তারা ইচ্ছা হলে ডান দিকে বা বাঁদিকে ফিরে শুতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও শিরদাঁড়া অনকেই স্বাভাবিক পজিশানে থাকার সুযোগ পায়। ফলে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৪. কেমন বিছানায় শুচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ : ঠিক পজিশনে শোয়ার পরও কি পিঠে ব্যথা হচ্ছে? তাহলে তো বন্ধু সমস্যা রয়েছে আপনার গদিতে। কারণ শোয়ার পর আপনার বিছানায় পাতা গদি যদি শিরদাঁড়াকে ঠিক মতো সাপোর্ট দিতে না পারে, তাহলেও কিন্তু ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে গদি কিনুন। কারণ অনেক টাকা খরচ করে, টপ ব্র্যান্ডের গদি কেনার পরও যদি যথার্থ আরাম না পান, তাহলে কিন্তু শান্তি এবং অর্থ, দুইই পালাবে।
সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব খুব বেশি মোটা হয় না, মাঝারি ধরনের মোটা হয়, তেমন গোদিতে শোয়া উচিত। কারণ এমন ধরনের ম্যাট্রেস শোয়ার সময় শিরদাঁড়াকে ঠিক মতো সাপোর্ট করতে পারে। ফলে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৫. ঠিক বালিশটা ব্যবহার করছেন তো? পিঠে ব্যথার সঙ্গে কী ধরনের বালিশ ব্যবহার করছেন, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকে। কারণ ঠিক ধরনের বালিশ ব্যবহার না করলে পিঠের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যা হওয়ার তাই হয়! তাই যে ধরনের বালিশে শুলে আপনার আরাম লাগে, তেমনটাই ব্যবহার করুন।আ রেকটা বিষয় এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, তা হল যদি কোনো একটা দিকে ফিরে শোন, তাহলে পায়ের মাঝে একটা বালিশ রাখতে ভুলবেন না। কারণ এমনটা করলে শিরদাঁড়ার উপর চাপ কম পরে। ফলে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি পিঠের উপর চাপ দিয়ে শোন, তাহলে হাঁটুর নিচে একটা বালিশ রেখে দিন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৬. ঘুম থেকে উঠবেন কীভাবে? শোয়ার সময় কীভাবে শুচ্ছেন, সেদিকে নজর রাখা যেমন জরুরি, তেমনি ঘুম ভাঙার পর কীভাবে উঠছেন, তাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুম ভাঙার পর হঠাৎ করে উঠবেন না। বরং ধীরে ধীরে কোনো একটা দিকে ফিরে তারপর ওঠবেন। এমনটা করলে শিরদাঁড়ার উপর চাপ কম পড়ে। ফলে ব্যাক পেইন-এর মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
১. ভুলেও পেটের উপর চাপ গিয়ে শোবেন না যেন : পেটের উপর চাপ দিয়ে শুলে কেবল মাত্র স্পাইনাল কর্ডের উপরই যে চাপ পরে, এমন নয়, সেই সঙ্গে পেশী, হিপস ও জয়েন্টের ওপরও মারাত্মক চাপ পরতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকপেইনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর তার সঙ্গ নেয় জয়েন্ট পেনের মতো সমস্যাও। তাই সকাল সকাল যদি যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়, তাহলে শোয়ার সময় এই ভুল কাজটি করবেন না যেন!
২. পিঠের উপর চাপ দিয়ে শুতে হবে : সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ পিঠের উপর চাপ দিয়ে ঘুমান। আর আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন, তাহলে একথা বলতেই হয় যে আপনি খুবই ভাগ্যবান! কারণ গবেষণা বলছে ঘুমনোর সময় এটাই সবথেকে আইডিয়াল পসচার। কারণ এইভাবে শুলে শিরদাঁড়া, ঘাড় ও মাথা একদম এক লাইনে থাকে। ফলে শরীরে কোথায় যন্ত্রণা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই ব্যাক পেইন-এর মতো সমস্যা থেকে যদি দূরে থাকতে চান, তাহলে পিঠের উপর চাপ দিয়ে শুতে ভুলবেন না যেন!
৩. কোনো একটা দিকে ফিরেও শুতে পারেন : অনেকেই আছেন যাদের পিঠের উপর চাপ দিয়ে শুলে ঠিক মতো ঘুম আসতে চায় না। তারা ইচ্ছা হলে ডান দিকে বা বাঁদিকে ফিরে শুতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও শিরদাঁড়া অনকেই স্বাভাবিক পজিশানে থাকার সুযোগ পায়। ফলে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৪. কেমন বিছানায় শুচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ : ঠিক পজিশনে শোয়ার পরও কি পিঠে ব্যথা হচ্ছে? তাহলে তো বন্ধু সমস্যা রয়েছে আপনার গদিতে। কারণ শোয়ার পর আপনার বিছানায় পাতা গদি যদি শিরদাঁড়াকে ঠিক মতো সাপোর্ট দিতে না পারে, তাহলেও কিন্তু ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে গদি কিনুন। কারণ অনেক টাকা খরচ করে, টপ ব্র্যান্ডের গদি কেনার পরও যদি যথার্থ আরাম না পান, তাহলে কিন্তু শান্তি এবং অর্থ, দুইই পালাবে।
সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব খুব বেশি মোটা হয় না, মাঝারি ধরনের মোটা হয়, তেমন গোদিতে শোয়া উচিত। কারণ এমন ধরনের ম্যাট্রেস শোয়ার সময় শিরদাঁড়াকে ঠিক মতো সাপোর্ট করতে পারে। ফলে কোনো ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৫. ঠিক বালিশটা ব্যবহার করছেন তো? পিঠে ব্যথার সঙ্গে কী ধরনের বালিশ ব্যবহার করছেন, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে থাকে। কারণ ঠিক ধরনের বালিশ ব্যবহার না করলে পিঠের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যা হওয়ার তাই হয়! তাই যে ধরনের বালিশে শুলে আপনার আরাম লাগে, তেমনটাই ব্যবহার করুন।আ রেকটা বিষয় এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, তা হল যদি কোনো একটা দিকে ফিরে শোন, তাহলে পায়ের মাঝে একটা বালিশ রাখতে ভুলবেন না। কারণ এমনটা করলে শিরদাঁড়ার উপর চাপ কম পরে। ফলে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি পিঠের উপর চাপ দিয়ে শোন, তাহলে হাঁটুর নিচে একটা বালিশ রেখে দিন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৬. ঘুম থেকে উঠবেন কীভাবে? শোয়ার সময় কীভাবে শুচ্ছেন, সেদিকে নজর রাখা যেমন জরুরি, তেমনি ঘুম ভাঙার পর কীভাবে উঠছেন, তাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুম ভাঙার পর হঠাৎ করে উঠবেন না। বরং ধীরে ধীরে কোনো একটা দিকে ফিরে তারপর ওঠবেন। এমনটা করলে শিরদাঁড়ার উপর চাপ কম পড়ে। ফলে ব্যাক পেইন-এর মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
No comments