ইসলামপুর ও মেলান্দহে নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতি
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা ও মেলান্দহ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, শতশত একর ফসলি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসার পানির তোড়ে ভেঙে চলেছে যমুনাপাড়ের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। গত কয়েক দিনে যমুনার ভাঙনে ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়নের শতাধিক ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে মেলান্দহের দুরমুঠ ইউনিয়নের ২০/২৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাপধরী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (দ্বিতল ভবন) নিলাম করা হয়েছে। ইউনিয়নের চেঙ্গানিংয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, চলতি বন্যায় নদী ভাঙনে তার ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত মঙ্গলবার জামালপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ইসলামপুরের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুধীসমাজের সাথে মতবিনিময় করতে আসেন।
ওই অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন সাপধরী ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিত আশ্রয়হীনদের জন্য দ্রুত আশ্রয়ের দাবী জানান। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের হাতিজা গ্রামের ২০/২৫টি পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদী ভাঙনের কারণে ওই ইউনিয়নের সুরুজ আলী নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হয়েছে। জানা যায়, গত শনিবার ওই গ্রামের আজু সেকের একটি গাছ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তার ছেলে সুরুজ গাছটি নদী থেকে উঠাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তোতা মিয়া জানান, নদী ভাঙন হাতিজা গ্রামের মূল্যবান জমি ও ঘরবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হলেও ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে ভিটামাটি হারিয়ে দুই উপজেলার শতাধিক পরিবারের প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
No comments