পরিবার নাকি বাজার!
সু
এবং নোয়েল র্যাডফোর্ডের সংসারে সন্তান ১৯ জন। আরো একটি সন্তান আসার পথে।
আগামী সেপ্টেম্বরে তারা নতুন সন্তানের পিতামাতা হতে চলেছেন। ফলে তাদের
সংসারে সন্তান সংখ্যা দাঁড়াবে ২০। এ সংসারকে বলা হচ্ছে বৃটেনের সবচেয়ে বড়
পরিবার। ল্যাঙ্কাশায়ারের মরকোম্বের অধিবাসী এ পরিবারের রাতের খাবারে লাগে
৬০ টি সস এবং ৩০টি মুরগির রান। আর লাগে সাড়ে ৬ পাউন্ড আলু। পরিবারে রয়েছে
১০ রুমের বাসা। সেখানে ভাগাভাগি করে ঘুমায় সবাই। তবে সমস্যা হলো অন্য এক
জায়গা। তা হলো তাদের গোসলখানা মাত্র একটি। ফলে যখন গোসলের পালা আসে তখন
সবাইকে একসঙ্গে গাদাগাদি করে গোসল করতে হয়। এ সময় যে কেউ তাদেরকে দেখে বলবে
ভেড়ার পাল গোসল করানো হচ্ছে। পরিবারটির ১৯ ছেলেমেয়ে হলো ক্রিস (২৭), সোফি
(২২), ক্লোলে (২১), জ্যাক (১৯), ডানিয়েল (১৭), লুক (১৫), মিলি (১৪), কেটি
(১৩), জেমস (১২), ইলি (১১), এমি (১০), জোশ (৯), ম্যাক্স (৭), টিল্লি (৬),
অস্কার (৪), ক্যাসপার (৩), ফোয়েবে (১), একেবারে ছোট্টটি হলো হ্যালি। এ
দম্পতির রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ডের একটি নিজস্ব বাড়ি। তারা বাচ্চাদের
সুবিধা বাদে অন্য কোন সুবিধা নেয় না রাষ্ট্রের কাছ থেকে। এবার তারা ২০
নম্বর সন্তানের পিতামাতা হতে চলেছেন। এরপর কি আরো? জবাবে সু এবং নোয়েল
র্যাডফোর্ড বলেন, আর না। ২০শেই থামতে চাই। এটাই হবে শেষ সন্তান। প্রথমে
তাদের পরিকল্পনা ছিল তিনটি সন্তান নেয়ার। কিন্তু প্রতিদিন বাচ্চাদের যে
‘কিচিরমিচির’ তা শুনতে ভাল লাগে তাদের। ব্যাস, একে একে তাই এক কুড়ি পুরিয়ে
ফেললেন। র্যাডফোর্ড (৪৬) হলেন র্যাডফোর্ডস পাই কোম্পানির মালিক। তিনি
সাংবাদিকদের বলেছেন, ছোট্ট বাচ্চাদের যখন এক সঙ্গে গোসল করাই তখন মনে হয়
ভেড়ার পাল গোসল করাচ্ছি। তাদেরকে গোসল করাতে কয়েক গ্যালন শ্যাম্পু লাগে।
গোসলের পালা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ছোট্টরা গোসল করে বিছানায় চলে যায়
সন্ধ্যা ৭টায়। বড়রা জেগে থাকে রাত ৯টা অবধি। কিন্তু সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
আসে হলো বড়দিনে। ওই সময় সবার জন্য কেনাকাটা শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকেই। গত
বছর তারা রাতের খাবারের জন্য কিনেছিলেন তিনটি টার্কি, আট পাউন্ড আলু,
ইয়র্কশায়ারের ৫৬টি পুডিং। বাইরে কাজে থাকে বড় দু’সন্তান ক্রিস ও সোফি। আর
বাকিরা থাকে বাড়িতে।
No comments